আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

এখন থেকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে উড়বে জাতীয় পতাকা। ওইদিনটিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক করে সম্প্রতি জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ সংশোধন করেছে সরকার।

সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সই করা পতাকা বিধির সংশোধনী ২৬ এপ্রিল গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পতাকা উত্তোলনের বিষয়টি ৪৮ বছর পর আবারও আইনি কাঠামোয় এলো।

অবশ্য সরকার গত তিন বছর ধরে পতাকা রুলের বিধান মতে, নির্বাহী আদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়ে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় পতাকা-সংক্রান্ত বিধিমালা জারি করা হয়। দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ রুলস, ১৯৭২ শিরোনামের এই বিধিমালায় জাতীয় পতাকার রঙ, আকার এবং উত্তোলনের নিয়ম সুনির্দিষ্ট করা ছাড়াও সরকারিভাবে পতাকা উত্তোলনের কয়েকটি দিন নির্ধারণ করা হয়।

ওই বিধিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ, বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর এবং সরকার ঘোষিত অন্য যেকোনও দিবসে, সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্য যেকোনও দিবসে বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রাঙ্গণে এবং কনসুলার কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাধ্যতামূলকের বিষয়টি ছিল। তবে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৬ সালের ১০ আগস্ট জাতীয় পতাকা বিধিমালায় এক সংশোধনী এনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পতাকা উত্তোলনের বিধান বিলোপ করা হয়। নতুন বিধিতে মহানবী (স.)-এর জন্ম দিবস (ঈদে মিলাদুন্নবী), স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্য যেকোনও দিবসে পতাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়।

সর্বশেষ সংশোধনী এনে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ১৭ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধানটি পতাকা বিধিতে অন্তর্ভুক্ত হলো। এর আগে ২০২১ সালে বিধি সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটিতে পতাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা করা হয়।

অবশ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পতাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা করে বিধিমালা সংশোধনীর আগে জাতির পিতার জন্মশবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিধিমালার (সরকার ঘোষিত যেকোনও দিবসে) আলোকে নির্বাহী আদেশে ১৭ মার্চ পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে পতাকা বিধিতে উল্লিখিত দিনগুলোতে পতাকা উত্তোলন ছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং সরকার ঘোষিত অন্য কোনও দিবসে পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান রয়েছে। পতাকা রুল তৈরির শুরুতে কেবল জাতীয় শহীদ দিবস ও সরকার ঘোষিত অন্য কোনও দিবসে পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান ছিল। পরে ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি পতাকা বিধিতে সংশোধনী এনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান যুক্ত হয়। এর আগে অবশ্য সরকার নির্বাহী আদেশে শোক দিবসে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে আসছিল।


আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর



দেশব্যাপী নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ থেকে দেশব্যাপী নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন?

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ থেকেই সারাদেশে মোটরসাইকেল আরোহীদের নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকর করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশেই আজ থেকে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরও খবর



পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অনাবৃষ্টি আর পাট পচানোর পানি সংকটের কারণে পাটের আবাদ কমেছে মেহেরপুরে। চলতি বছরে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চাষিদের দাবী, প্রতি বছরে পাট চাষে একরকম লোকসান গুণতে হয়। বাধ্য হয়ে অন্য ফসল আবাদ করছেন তারা। তবে কৃষি অফিস বলছে, পাট চাষে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা ও বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্যনুযায়ি, কৃষি নির্ভরশীল এ জেলায় চাষিদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে বিবেচিত সোনালী আঁশ পাট। চলতি বছরে এ জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার হেক্টর। আর পাট চাষ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর কম। চাষিরা জেআরও ৫২৪, বি জে আর আই তোষাপাট-৮, ভারতীয় কৃষি কল্যাণ, মহারাষ্ট্র ও চাকা জাতের পাট আবাদ করে থাকেন।

চাষিরা জানান, গেল বছর অনাবৃষ্টি থাকলেও তেমন তাপদাহ ছিল না তাই সেচ দিয়ে পাট চাষ করেছেন চাষিরা। কিন্তু পাট জাগ দেয়ার মতো পানির ব্যবস্থা ছিল না। অনেকেই কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেয়ার পাটের মান নষ্ট হওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির সাথে যোগ হয় তীব্র তাপদাহ। ফলে অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। উপরন্ত পাট পচানোর জন্য কোন উম্মুক্ত জলাশয় না থাকায় চাষিরা পাট চাষ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। অনেকেই খাল বিল সংস্কার ও দখল হয়ে যাওয়া জলাশয় উম্মুক্ত ঘোষণা করার আহবান জানান।

গাংনীর পলাশীপাড়ার পাট চাষি জুলফিকার আলী জানান, প্রতিবছর চাষিরা এ পাট আবাদ করে মোটা অংকের টাকা আয় করেন। কিন্তু পানি সংকটের কারণে চাষিদের পাট পচাতে সইতে হয় নানা বিড়ম্বনা। অনেকেই খালে বিলে পানি না পেয়ে বাড়ির পাশে গর্তে সামান্য পানি দিয়ে পাট পচাতে দেন। এতে এক দিকে যেমন চাষিদের খরচ বেড়ে যায় তেমনি পাটের রং নষ্ট হয়। ফলে পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

পাট চাষি তেতুঁলবাড়িয়ার মিজান জানান, গেল বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহের কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাট বীজ বপন করতে পারেনি। উপরন্তু পাটক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে পাট গাছ বাড়ছে না। অন্যদিকে পাট পচানোর ব্যবস্থা না করতে পারলে সামনে বছর আর পাট চাষ করবেন না বলেও জানান এই চাষি।

চাষিদের দাবি, হাজা মজা খাল বিল সংস্কার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে পাট পচানো সম্ভব। চাষিরা উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দিতে পারলে পাট চাষ বৃদ্ধি পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অনাবৃষ্টির কারণে অনেকেই পাট বীজ বপন করতে পারেনি। আর যারা আবাদ করেছেন পানির অভাবে পাটগাছ বাড়েনি। অন্যদিকে পাট পচানো নিয়েও চাষিরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন। তবুও চাষিদেরকে প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে পাট চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য। বিকল্প পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। কয়েক দিনের তাপপ্রবাহে বিভিন্ন স্থানে মানুষ মারা গেছেন। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েছেন। একের পর এক বিভিন্ন অঞ্চলে জারি করা হচ্ছে হিট অ্যালার্ট। এবার চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এ ছাড়া গত এপ্রিলে বেশ কয়েকবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

অপর এক আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার (১৮ মে) সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া পুরো সপ্তাহজুড়ে দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমতে পারে।


আরও খবর



ঢাকায় আজ তাপমাত্রার সব রেকর্ড ভাঙার শঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড আজ সোমবার ভাঙার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডটকম।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ওয়েবসাইটটির পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত, দাবদাহসহ আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তুলে ধরেছে তারা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল হলেও গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই চলছে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ। এর আগে ২০১৯ সালে একটানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে সিলেট বিভাগের ওপর মাঝারি থেকে ভারি এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এ মেঘ থেকে আজ সন্ধ্যার পূর্বে শুধু সিলেট বিভাগে জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম বা নাই বললেই চলে। ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আকাশে হালকা ঘনত্বের মেঘের সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মেঘ বাষ্পীভূত হয়ে আকাশ মেঘমুক্ত থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া ডটকমের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সোমবার দেশের সাতটি বিভাগের আকাশ মেঘমুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ছয়টার মধ্যে। দেশব্যাপী চলমান এই তাপপ্রবাহ মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওপরে অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, চলমান তাপপ্রবাহের সময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আগামীকাল ৩০ এপ্রিলের থেকে ধীরে ধীরে তাপ-প্রবাহের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জেলাভিত্তিক তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় সর্বকালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।

কোন জেলায় তাপমাত্রা কেমন হতে পারে :

অতি তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস: যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলা।

তীব্র তাপপ্রবাহ: ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ঢাকা শহরসহ ঢাকা শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সব জেলা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া) ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট সব জেলা (১ নম্বর লিস্টে উল্লেখিত জেলাগুলো ছাড়া)।

মধ্যম তাপপ্রবাহ: ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস: ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও ঢাকা বিভাগের উত্তর দিকের সব জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী।

মৃদু তাপপ্রবাহ: ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: রংপুর বিভাগের জেলাগুলো, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।

৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: সিলেট বিভাগের জেলাগুলো।

উল্লেখ্য, দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র দুইটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখি হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।


আরও খবর