আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোপন নথি গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ দলিল’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাস গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনে হোটেল ক্ল্যারিজে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি নিয়ে প্রকাশিত সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানএবং মুজিব অ্যান্ড ইন্ট্রোডাকশন বই দুইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানবইটি প্রকাশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এসবি থেকে ডকুমেন্টগুলো জোগাড় করলাম। আমার সঙ্গে আমার বান্ধবী বেবি মওদুদসহ আমরা ডকুমেন্টটা নিয়েছি। এখানে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার পাতার কাগজ আছে। প্রায় ৪৮টি ফাইল। ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কাগজ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমার ছোট বোন রেহানার সঙ্গে কথা বললাম। আমি তাকে বললাম যেতটুকু পেয়েছি এর মধ্যে অনেক তথ্য। কারণ আমার আব্বার নাম ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে ওনার যে কোন অবদান আছে বা স্বাধীনতা আন্দোলনে ওনার যে কোন অবদান আছে সেটা ইতিহাসে নাই। একজন মেজর কোন ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে একটা বাঁশি বাজালো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেলো, এ ছিল ইতিহাস। তো এ বই থেকে পুরো ইতিহাসটা পাওয়া যাবে। আমি এটা প্রকাশ করবো।

শেখ হাসিনা তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, যখন আব্বা জেলে থাকতেন আমার মা কাজ করতেন। তবে আমার মার ব্যাপারে বলবো যে উনি সত্যিকার গেরিলা ছিলেন। উনার কোন কর্মকাণ্ড কোনদিন গোয়েন্দারা ধরতে পারেননি। '

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও ব্রিটেন' শীর্ষক এক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।

সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বই প্রকাশে ব্রিটিশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের আগ্রহের কারণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা আমাকে বলেছেন এটার ভেতরে এমন কিছু তারা পেয়েছেন যেটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সারাবিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এখনও গোয়েন্দা সংস্থায়  প্রশিক্ষণের জন্যও এটা কাজে লাগতে পারে।

বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথিতে রাজনীতি ও বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,  এ বই থেকে পুরো ইতিহাসটা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, মানুষ বইটি পড়বে, এটি নিয়ে গবেষনা করবে এবং অনেক কিছু শিখবে, তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে, শুধু বাঙালি জাতি নয় সারাবিশ্বের মানুষ। এটা সত্যিই অসাধারণ।

আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা অন্তত বলতে পারি এটা বের হওয়ার পর থেকে আর ইতিহাস বিকৃত কেউ করতে পারেনি, করতে পারবে না।

অনুষ্ঠান দুটোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা জনগণকে প্রতারিত করে ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন। এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায়-সম্পদ আত্মসাৎ করে গণতন্ত্রকে কবর দিচ্ছে। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে। নিখুঁত ধূর্ততায় জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রিজভী বলেন, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণের পকেট কাটার কারণে এখন দেশে হাহাকার পড়েছে। অনাহার-অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশার মাঝে দিন কাটিয়েছে। বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত-তরকারী যোগাড় করা যেখানে কষ্টকর সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কিভাবে?

রুহুল কবির বলেন, আওয়ামী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, দেশে বিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে, যারা মূলত বেনজীর শ্রেণির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই বিত্তশালী কারা? এই বিত্তশালী শ্রেণি হচ্ছে বেনজীর (পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ) শ্রেণি। যারা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এছাড়া মেগা প্রজেক্ট ও অবাধে ব্যাংক লুটের কথা এখন কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে, যা অতি বাস্তব। এটা বাস্তব সত্য যে, দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার উপরের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট আজ বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, বিএনপি নেতা আনোয়ার পারভেজ বাদল এবং সাঈদ হোসেন সোহেল জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাদের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা আছে যেখানে অনেক জীবাণু জমে থাকে। অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় সেই অঙ্গে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে থাকে, আর একারণেই সেই স্থানকে সবচেয়ে অপরিষ্কার বলা হয়। এর মানে এই নয় যে সেই স্থান পরিষ্কার করা হয় না। কিন্তু তারপরও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারণে সেটিই শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান বলে মনে করা হয়।

অনেকের কাছেই মনে হতে পারে শরীরের সবচেয়ে নোংরা স্থান হলো আমাদের পা। এর কারণ হিসেবে বলতে পারেন সারাদিনে পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলোময়লা জমে। কেউ হয়তো বলতে পারেন, মূত্রনালীর মুখ হলো শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার জায়গা। কেউ বলতে পারেন পায়ুদ্বারের কথা। কিন্তু এসব স্থান নয়, ব্যাকটেরিয়ার হিসাব করা হলে এর থেকেও অপরিষ্কার স্থান শরীরে রয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অংশে অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় বেশি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। আর সেই স্থানটি হলো আমাদের নাভি। নাভিকেই শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান বলা হয়ে থাকে। এখানে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে তাই নিয়মিত নাভির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান হওয়ায় নাভি নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। শরীর থেকে কিংবা পোশাক থেকে নাভিতে ময়লা জমতে থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণও। নাভি মূলত মানব শরীরের একটি ক্ষতস্থান। শিশুর জন্ম হলে মায়ের শরীর থেকে তাকে আলাদা করার জন্যই এই ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শিশু গর্ভে থাকার সময় এই নাভির মাধ্যমেই পুষ্টি পেয়ে থাকে।

নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করা হলে বের হতে পারে দুর্গন্ধ। যে কারণে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে নাভি পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। সেটি হলো, নাভিতে যখন তখন হাত দেওয়া উচিত নয়। কখনো হাত দেওয়া হলে সেই হাত না ধুয়ে কোনোকিছু খাওয়া কিংবা ধরা উচিত নয়। আবার নাভিতেও অপরিষ্কার হাত দেওয়া উচিত নয়।


আরও খবর



বাংলাদেশে ভেসে আসল ‘টর্পেডো’

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে একটি টর্পোডো সদৃশ্য বস্তু। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭ ফুট ও প্রস্থ ৩ ফুট। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের ভাঙ্গার খালে এ টর্পেডোটি ভেসে আসে। অচেনা এ বস্তুটি দেখে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূলের সৃষ্টি হয়েছে।

মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তুহিন মাঝি জানান, নিজকাটা খালের সঙ্গে সাগরের সরাসরি সংযোগ আছে। জোয়ার-ভাটার পানি ওঠা-নামা করে। আজ জোয়ারের পানির সঙ্গে এটি ভেসে আসে। খবর পেয়ে এটি দেখার জন্য খালের উভয় তীরে শতাধিক নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে এই টর্পেডোটি ভাঙ্গার খালে প্রবেশ করতে পারে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা ছবি দেখে এটি প্রাথমিকভাবে টর্পেডো বলে জানিয়েছেন।

টর্পেডো হচ্ছে এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র। এটি জলের নিচে বা উপরে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর