বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের মধ্য দিয়ে জিয়া পরিবারের উত্থান বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ’খুনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল এবং ক্ষমতায় টিকে ছিল। জিয়াউর রহমানের সময় ১৯ বার ক্যু হয়েছিল। আর সেই ক্যু দমন করার জন্য, সেনা অভ্যুত্থান দমন করার জন্য, জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা অফিসার ও জওয়ান হত্যা করেছিল। ফাঁসির রায় হয়েছে পরে, কার্যকর হয়েছে আগে। একজনের বদলে আরেকজনকে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমান যখন প্রেসিডেন্ট ছিল তৎকালীন মিলিটারি সেক্রেটারি অর্থাৎ তার পিএস, তিনি এখন কানাডায় থাকেন। তিনি সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ’জিয়াউর রহমানকে যখন জানানো হলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘তাতে কী হয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন।’ অথচ তার উচিত ছিল ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কর্নেল ফারুক রশিদের সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে।’
বিএনপির বর্তমান আন্দোলনের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ’আন্দোলনের নামে বিএনপি আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে নিজেই চিৎপটাং হয়ে পড়ে গেছে। আজকে বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করছে, কিন্তু জনগণ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা ভবিষ্যৎ তাদের হামাগুড়ি কর্মসূচি দিতে হবে।’
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা।
শোকসভায় জেলার পুঠিয়া, দুর্গাপুর চারঘাট এবং বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।