আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু টানেলে নির্মাণ কাজ ৮৬ ভাগ সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজ। চট্টগ্রাম অঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্নের এই টানেল প্রায় প্রস্তুত। টিউব বা সুড়ঙ্গপথ, সংযোগ সড়কসহ অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। এখন চলছে টানেলে রাস্তা, লেন তৈরিসহ যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কাজ। এই বছরের মে পর্যন্ত এ মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। ফলে নির্ধারিত সময় আগামী ডিসেম্বরের আগেই ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যাবে। এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম ও দীর্ঘতম রোড টানেল।

এ টানেল চালু হলে এই অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। টানেল হয়ে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সংযোগ সৃষ্টি হবে। টানেলের কারণে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরীর সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সেতুবন্ধন তৈরি হবে। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও বন্দরের কার্যক্রম প্রসারিত হবে। মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত গড়ে উঠবে শিল্প করিডোর। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হওয়ার পর চট্টগ্রাম হয়ে যানবাহন এই টানেল দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারবে।

ইতোমধ্যে চালু হয়েছে সিটি আউটার রিং রোড। বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ-ও এগিয়ে চলছে। কর্ণফুলী টানেলে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আর মহানগরীতে প্রবেশ করতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে চট্টগ্রাম নগরীতে যানবাহনের চাপ কমে যাবে।

এ মেগা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের জটিল কাজ শেষ। এখন কিছু টেকনিক্যাল কাজ চলছে। তাতে তেমন কোন চ্যালেঞ্জ নেই। এর ফলে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে প্রকল্পের কাজ। টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কি.মি.। এরমধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কি.মি.। দুটি টানেলে লেন থাকছে চারটি। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্বপ্রান্তের ৫ দশমিক ৩৫ কি.মি. সংযোগ সড়ক থাকছে। আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মি. দীর্ঘ ফ্লাইওভার। প্রথম টানেল খননে সময় লেগেছে ১৭ মাস। আর মাত্র ১০ মাসেই নির্মাণ হয়েছে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ। ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় তৈরি করা হয়েছে দুটি টানেল। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। মহানগরী প্রান্তের পতেঙ্গা নেভাল অ্যাকাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এ টানেল আনোয়ারা প্রান্তের সিইউএফএল এবং কাফকোর মাঝামাঝি স্থান দিয়ে দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে।

প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বুধবার জানান, টানেলে অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। এখন ভেতরে লেন নির্মাণসহ কিছু টেকনিক্যাল কাজ চলছে। নির্ধারিত সময় ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

দেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে একের পর এক সময় এবং ব্যয় বাড়লেও একমাত্র ব্যতিক্রম কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প। এ প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় কোনটাই বাড়েনি। শুরু থেকে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নির্ধারিত বাজেটে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে।

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কারণে চট্টগ্রাম মহানগরী অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেলেও কর্ণফুলীর ওপাড়ে আনোয়ারা থেকে যায় অবহেলিত। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় কর্ণফুলী নদীর ওপাড়ে বন্দর সম্প্রসারিত হয়নি। কর্ণফুলী নদীর দুপাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন গড়ে তুলতে নেয়া হয় এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ প্রকল্প।

নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে সিইউএফএল, কাফকো, কোরিয়ান ইপিজেড, প্রস্তাবিত চায়না ইপিজেড, পারকি সমুদ্র সৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে যেতে হয়। মাতারবাড়িকে ঘিরে মেগা প্রকল্প বহর, অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল এবং মীরসরাই ও ফেনীর সোনাগাজীর বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের সাথে যোগাযোগের লক্ষ্যেই নেয়া হয় এ টানেল প্রকল্প।

টানেল নির্মাণের চুক্তি সই হয় ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। এর আগে ২০১৪ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। আর চীন সরকার এ টানেল নির্মাণের জন্য মনোনীত করে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে। নকশা ও অন্যান্য কাজ শেষে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে টানেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্প পরিচালক জানান, নির্মাণ কাজের প্রায় পুরোটাই যন্ত্র নির্ভর হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করা যাচ্ছে। এটি চালু হলে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে উন্নয়ন, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, পর্যটন ও আবাসন খাতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।


আরও খবর



আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ হিলির খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। যা গতকালকে বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়। ভারত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে মোকামে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবু মুসা বলেন, গতকাল পেঁয়াজ কিনলাম এক কেজি, দাম ছিল ৭০ টাকা। আর সেই পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা কেজি। ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে হিলির খুচরা বাজারে কমেছে দাম। আমদানির খবরে দাম কমেছে এইটা কেমন কথা? তার মানে দেশের কৃষক, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে এটাই তার প্রমাণ। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

হিলির পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম। কারণ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে আরও দাম কমে যাবে।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



এক রাতে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

একে একে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এসব ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া প্রশাসন এসব এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একের পর এক আঘাত হানা এসব ভূমিকম্পের কয়েকটি আবার রাজধানী তাইপেইর ভবনগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করে।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ওই এলাকায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। অবশ্য আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে জবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এসময় মিছিলের নেতৃত্ব দেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন।

সোমবার (৬ মে) বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়। "জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু "স্লোগান দিয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী মিছিলটি শুরু করেন।

গাজায় যুদ্ধকে গণহত্যা উল্লেখ করে “স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক” “গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো” ; “ছাত্রলীগের এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন” স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে বিক্ষোভ মিছিলটি।

মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কাঁঠালতলা, বিজ্ঞান অনুষদ, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্কের পাশ দিয়ে এসে ভিসি ভবনের সামনে শেষ হয়। মিছিল শেষে ভিসি ভবন চত্বরে বক্তব্য রাখেন জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি।

সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন বলেন, যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বতার সাথে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর সন্ত্রাসী ইসরায়েল এর তুলনা করে গাজায় ইসরায়েল নৃশংসতা তুলে ধরেন। এসময় তিনি গাজায় চালানো ভয়াবহ গণহত্যার জন্য ইসরায়েল এর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ধর্ম হচ্ছে আবেগের জায়গা যে এখানে হাত দিবে তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা। গাজা যুদ্ধে ইন্ধনদাতা সন্ত্রাসী আমেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। এসময় তিনি বলেন যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, কেউ ধর্ম নিয়ে খেলা করলে তাকে পুঁতে দেয়া হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪