আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু টানেলে ২৩ গাড়ির টোল মওকুফ চায় পুলিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বঙ্গবন্ধু টানেল যাত্রা শুরুর পর থেকে সম্প্রতি কার রেসিং, প্রাইভেটকারের পেছনে দ্রুত গতির বাসের ধাক্কা দেওয়া, টানেলের ভেতর সেলফি তোলা এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজার ব্যারিয়ারে ধাক্কা দেওয়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতে ২৩টি গাড়ির টোলমুক্ত সুবিধা চেয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। একই সাথে কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে দ্রুততার সাথে যেকোন ঘটনার সাড়া পেলে চারটি গাড়ি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

যেসব কর্মকর্তার গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে যাবে সেগুলো টোলের আওতায় থাকবে; কিন্তু দুর্ঘটনাসহ টানেলের বিভিন্ন কাজে যাওয়া ২৩টি গাড়ির টোলমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে।

সড়ক ও সেতু বিভাগে সম্প্রতি এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এসএম মোস্তাইন হোসাইন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধনের পরদিন থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। টানেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী। কিন্তু টানেলের অভ্যন্তরে দুর্ঘটনাসহ নানা বিষয়ে আইনগত কাজ করে পুলিশ।

উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, টানেলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার জন্য পুলিশকে ডাকা হয়। পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী থানার ওসির গাড়ি ছাড়া পুলিশের যেসব গাড়ি টানেলে প্রবেশ করে সেগুলোকে টোল পরিশোধ করতে হয়। অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিএমপির ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগের বন্দর জোনের ২৩টি গাড়ির টোলমুক্ত রাখার জন্য সড়ক ও সেতু বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারিতে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, কোন কর্মকর্তার গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে টানেলে যাবে, সেগুলো টোলের আওতায় থাকবে। শুধুমাত্র গাড়ি অপারেশনাল কাজে থাকবে সেসব ধরনের ২৩টি গাড়িতে টোলমুক্ত সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।

টোলমুক্ত সুবিধা চাওয়া গাড়িগুলো হলো- ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগের বন্দর জোনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, টহল গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, রেকার ও ফোর্স আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সেতুতেও পারাপারের জন্য টোল দিতে হয়। কিন্তু সেতুতে দুর্ঘটনা ও টানেলের অভ্যন্তরে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে। টানেলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাড়াতাড়ি গিয়ে উদ্ধার করতে হয়। আমাদের গাড়ির সংকট আছে। টানেলের অভ্যন্তরে কোনো ঘটনা ঘটলে থানা থেকে ফোর্স আসতে সময় লাগে, সেজন্য দুই প্রান্তে আমরা দুটি করে চারটি গাড়ি স্ট্যান্ডবাই রাখার জন্য বলেছি। যাতে যে কোনো ঘটনা-দুর্ঘটনার জন্য পুলিশ দ্রুত মুভ করতে পারে। তাই টানেলের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য ডাবল কেবিনের চারটি গাড়ি চাওয়া হয়েছে। টানেলে কোনো গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে সেটি উদ্ধারে গেলে পুলিশকেও টোল দিতে হয়।

পতেঙ্গা প্রান্ত দিয়ে টানেলে প্রবেশ করলে বের হতে হয় অপর প্রান্তে। ফলে পতেঙ্গা থানার যেসব গাড়ি টানেলে প্রবেশ করে সেগুলোকে ফিরে আসতে হয় অপর প্রান্ত হয়ে। যার কারণে টানেলে প্রবেশ ও বাহির উভয়ক্ষেত্রে টোল দিতে হয়। আমরা সরকারি কাজে যাই, টোল দেওয়ার কোনো টাকা বরাদ্দ থাকে না। কিন্তু পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী থানার ওসির গাড়ি ছাড়া অন্যসব গাড়িকে টানেলে প্রবেশ ও বের হতে উভয় দিকের টোল দিতে হয়।

উল্লেখ্য, কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন গড়ে তুলতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পের শুরুর দিকে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। অনুমোদনের দুই বছর পরে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা করা হয়। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে একটি নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বানানো হয়েছে এ টানেল। নির্মাণ কাজ করেছে চীনা কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড- সিসিসি

এ টানেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে নৌবাহিনী। টানেলের দুই প্রান্তে দুটি থানা নির্মাণের প্রস্তাব চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের ২৮ অক্টেবার টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সেটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের হামলার হুঁশিয়ারির পর থেকে হার্ট অ্যালার্ট জারি করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যেই হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব পাঠ্যক্রম বহির্ভূত শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করেছে তারা। খবর: জেরুজালেম পোস্ট

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে আক্রমণের জন্য উচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলা প্রতিহত করতে কয়েক ডজন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ইরান সমর্থিতদের দ্বারা পাঠানো বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রেখেছি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ইরানি জেনারেল নিহত হয়। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় পারস্য অঞ্চলের দেশটি। যেকোনো সময় ইসরায়েলের যেকোনো স্থাপনায় হামলা চালানো হবে বলে সে সময় হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।


আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে বসে সালমান খানের বাসায় গুলির পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় ৪০ বছর ধরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারসহ থাকেন বলিউড তারকা সালমান খান। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে এই অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সালমানের বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

এরই মধ্যে সালমানের বাসার বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। সেখানে দেখা গেছে, রবিবার ভোরে দুজন বাইকে চেপে সালমানের বাসার বাইরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা টি-শার্টের ওপর কালো শার্ট, আর একজনকে লাল টি-শার্টে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় কালো টুপি, অপরজনের মাথায় সাদা টুপি রয়েছে।

ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণইয়ের (বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লিডার) ভাই আনমোল বিষ্ণই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার কাছে শুটার বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। গোদারার পেশাদার শুটারদের নেটওয়ার্ক পুরো ভারতজুড়ে। গোদারা এ হামলার পুরো দায়িত্ব দেন শুটার বিশালকে।

বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেল খাটা আসামি। ২০২০ সালে প্রথমবার পুলিশের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দী ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তার। এবার সালমানের বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি আলোচনায় এলেন এই ব্যক্তি।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। এই গ্যাংয়ের লিডার লরেন্স বিষ্ণোই এর আগেও সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তার হয়েই এবার সামাজিকমাধ্যমে হুমকি দিলেন তারই ভাই আনমোল বিষ্ণোই।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রী রাম।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর বদলা নিতে সালমানকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দী গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে হত্যার তালিকায় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। এরপর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে এই গ্যাংস্টার। এবার তো অভিনেতার বাড়িতে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তারা।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপদাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপদাহ। যা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর