জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলেই দেশের মানুষ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ ১৩৫ প্রকার ভাতা চালু রয়েছে। যাদের ঘর নাই তাদেরকে জমিসহ বাড়ি করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ছাড়া এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় এককালীন আর্থিক সহায়তার চেক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল সকল ধরনের ভাতা বন্ধ করা হয়েছিল। সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল এদেশের মানুষ। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেই এতিমের টাকা আত্মাসাৎ করে এখন কারাদন্ড মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তারা লুটপাট ছাড়া আর কিছু করতে জানে না। তার পুত্র তারেক রহমান এদেশের টাকা লুট করে নিয়ে বিদেশে গিয়ে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তার সাহস থাকলে ও দেশকে ভালোবাসলে দেশে এসে নেতৃত্ব দিত। কিন্তু তার টাকার নেশায় বিদেশে বসে দেশ ও দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দেশের মানুষ বিএনপি ও তার দোষর জামায়াতের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে তাদেরকে এবার ভোটের মাধ্যমে সঠিক জবাব দিবে।
অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রমিজ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন জেসমিন আরা জোস্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাথী দাস, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক প্রামানিক, শহর সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাইনুল ইসলাম, দিনাজপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোকসেদ আলী রানা, আতাউর রহমান, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান গোপারল কিসকু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শহর সমাজসেবা কার্যালয় দিনাজপুরের ৭৫ জন রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে ৩৭ লাখ ৫০,০০০ হাজার টাকার চেক এবং উপজেলা সমাজসেবা কাযালয়, সদর, দিনাজপুরে ১০১জন রোগীকে ৫০,০০০/- টাকা করে ৫০,৫০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ১৭৬জন রোগীকে প্রায় ১ কোটি টাকার চেক প্রদান করা হয়।