রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে সকাই থেকেই ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। এছাড়া ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরাও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। কয়েক হাজার মানুষ একসঙ্গে ভিড় করার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
উৎসুক জনতার জন্য কাজ করা কিছুটা কঠিন। তাদের জন্য ব্যবসায়ীরা মালামালও সরাতে পারছেন না বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মাইকে করে এলাকাবাসীকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সবাইকে ফায়ার সার্ভিসের কাজে সহায়তার কথা বলা হচ্ছে। অল্প কিছু মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করলেও বেশিরভাগ মানুষ ছবি তোলার জন্য ভিড় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফায়ার ফাইটার আলতাফ হোসেন জানান, উৎসুক জনতার জন্য কাজ করা কিছুটা কঠিন। তাদের জন্য ব্যবসায়ীরা মালামালও সরাতে পারছেন না ঠিকমতো।
পুলিশ সদস্য মাহমুদ জানান, আমরা চেষ্টা করছি উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিতে। তাদের জন্য কাজ করা কঠিন।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সংস্থাটির সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে উৎসুক জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
আগুনের ভয়াবহতার কারণে বঙ্গ বাজার মার্কেটের আশপাশের এলাকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট চত্বর থেকে বঙ্গবাজার হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কটি বন্ধ রয়েছে। গুলিস্তান থেকে নর্থসাউথ রোডে আসার সড়কটিতেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাশ দিয়ে হানিফ ফ্লাইওভার ওঠানামার জন্য ফ্লাইওভারটিতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বঙ্গবাজার মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ ১০ কোটি মার্কেট, আদর্শ মার্কেট- এই চারটি মার্কেট এক জায়গায় হওয়ায় মূলত সবগুলোকেই লোকজন বঙ্গবাজার মার্কেট হিসেবে ডেকে থাকেন। এই চারটি মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।