আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বন্ধ হচ্ছে ফেসবুকের গেমিং অ্যাপ

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনার ঘরবন্দি সময়টাতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল প্রযুক্তির উপর। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমের জনপ্রিয়তা সে সময়ে বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে জীবন স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততাও বেড়েছে, অন্যদিকে কমেছে অনলাইন গেমের গ্রাহক। এজন্য অনেক কোম্পানি তাদের গেম অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছে।

সম্প্রতি ফেসবুকও তাদের জনপ্রিয় গেম অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছে। ২০১৮ সালে গেমিং অ্যাপ টুইচ লঞ্চ করেছিল ফেসবুক। তবে ২০২০ সালের এপ্রিলে মহামারির সময়টাতে এর জনপ্রিয়তা এবং গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে এবছর ফেসবুক গেমিং অ্যাপটি খুব বেশি ব্যবহার হচ্ছে না। এজন্য গেমিং অ্যাপই বন্ধ করে দিচ্ছে ফেসবুক।

মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয় জায়গা থেকেই সরানো হবে ফেসবুক গেমিং অ্যাপটিকে। টুইচ এবং ইউটিউবকে টেক্কা দেওয়ার জন্য ফেসবুক এই গেম স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করে। সেই সময়ে ই-স্পোর্টস কমিউনিটি এই গেমিং অ্যাপের জন্য ফেসবুকের উপরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল। তবে সেদিকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি ফেসবুক। এখন কী কারণে টেক জায়ান্টটি তার গেম স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধ করছে, তা স্পষ্ট নয়। এই গেমিং অ্যাপ বন্ধের কোনও কারণ জানায়নি মেটা। যদিও ফেসবুক তার গেমিং পরিষেবার ওয়েব-ভিত্তিক সংস্করণ চালিয়ে যাবে। এটি ফেসবুকের প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপেও পাওয়া যাবে।

ফেসবুক অ্যাপ থেকেই অ্যাক্সেস করা যেত গেমটি। পরবর্তীতে জনপ্রিয়তার পরে সংস্থাটি ২০২০ সালের এপ্রিলে একটি আলাদা ফেসবুক গেমিং চালু করে। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের তাদের প্রিয় স্ট্রিমারগুলো দেখতে, তাৎক্ষণিক গেম খেলতে এবং গেমিং গ্রুপগুলোতে সংযুক্ত হতে দেয়। যদিও গেম স্ট্রিমিং কোভিড অতিমারির সময় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

স্ট্রিমল্যাবস থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ফেসবুক, টুইচ এবং ইউটিউবে গেম স্ট্রিমিং দেখার জন্য ব্যয় করা ঘণ্টার সংখ্যা ৮.৪ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফেসবুক গেমিং-এর দর্শক সবচেয়ে কম ছিল। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম কোয়ার্টারে ৮০৩ মিলিয়ন এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ছিল ৫৮০ মিলিয়ন।


আরও খবর



মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘অপহরণের’ ভিডিও পোস্ট, তোপের মুখে ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অপহরণের ভিডিও পোস্ট করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন ডেমোক্রেট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান ট্রাম্প। একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে জো বাইডেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে আছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

প্রায় সাত সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পিকআপের পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের একটি ছবি প্রিন্ট করে লাগানো হয়েছে।  অর্থাৎ তাকে অপহরণ করা হয়েছে- এমনটাই বোঝানো হয়েছে ছবিতে। যদিও ছবিটি পুরোপুরি ড্ক্টরেট (সম্পাদিত)। পতাকা ও ডেকাল সম্বলিত দুটি ট্রাক ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে যেখানে দ্বিতীয় ট্রাকের পেছনে ছিল বাইডেনের ছবি।

এ ঘটনায় ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা ট্রাম্পকে দানব বলেও আখ্যা দিয়েছেন।  ভিডিওটি শেয়ার করে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপশন লিখেছেন, ৩/২৮/২৪, লং আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক।

ভিডিও পোস্ট করা মাত্রই বাইডেনের সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। বাইডেনের প্রচারণার যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক মাইকেল টেইলর বলেন, শুক্রবার রাতে ট্রাম্পের পোস্ট করা ছবিটি তার বিরোধীদের শারীরিকভাবে ক্ষতির করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রতিনিয়তই রাজনৈতিক সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন। এখন সময় এসেছে যেন মানুষ তাকে বয়কট করার।

এদিকে, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে বলেন, ছবিটি একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে ছিল, পিকআপটি হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শুধু ঘৃণ্য সহিংসতার ডাকই দেয়নি, তারা আসলে তার বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ভিডিওতে বাইডেনের ছবির উপস্থিতি নিছকই কাকতালীয় ঘটনা তা মনে হচ্ছে না। কারণ ভিডিওর শেষের দিকে বাইডেনের সম্পাদিত ছবিটি জুম করে দেখানো হয়েছে।

এদিকে ছবিটি নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হাভার্ডের আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স ট্রাইব এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, দানব এটা পোস্ট করেছে। ট্রাকের পেছনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাত-পা বাঁধা একটি ছবি। তিনি (ট্রাম্প) প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিচ্ছেন। এটি একটি অপরাধ। অন্য কেউ এটা করলে, তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। এখন কী করা হবে?

ওবামা প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমান সিএনএন জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জুলিয়েট কায়েম লিখেছেন, ট্রাম্প সবকিছু ফেলে সহিংসতাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন।


আরও খবর



চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাজু ইসলাম (২৫) নামে একজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম নগরপাড়ার হাসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সাইফুলসহ আরও কয়েকজন রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। সেসময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাইফুল। পরে বিএসএফ সাইফুলের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।

রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ এখন ভারতেই আছে।

১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন রোকনপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আজাদ রহমান বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের জেরে দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ১১ বিজিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

বর্তমানে সেখানে মিয়ানমারের মোট ২৭৪ জন আশ্রয় রয়েছে। তিনি আরও জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। তার আগের দিন সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ সদস্য। তারও আগে ওখানে মিয়ানমারের ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেয় আরও ১৭৭ বিজিপি ও সেনা সদস্য। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর



সিলেটে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় কন্ট্রোল রুমে ঢুকে প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে সিসিক কাউন্সিলর কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। মো. মাসুদ রানা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে এ ঘটনা ঘটে। তবে কাউন্সিলর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কাউন্সিলরের ভাষ্য, ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর তিনি সেটা রাতেই সরাতে অনুরোধ করতে কন্ট্রোল রুমে ঢুকেছিলেন।

জানা যায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে ১১ কেভি ফিডার ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। এই বন্ধ লাইন চালু করতে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দুইজনকে নিয়ে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে ঢুকে মাসুদ রানাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রকৌশলী মাসুদ রানা।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান হোসেনকে। মামলায় ওই এলাকার আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, 'ফল্টের কারণে বন্ধ হওয়া ১১ কেভি বরইকান্দি ফিডার জোরপূর্বক চালু করতে চাইছিলেন কাউন্সিলর। কিন্তু এভাবে এই ফিডার চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তিন আমার কোনো কথা না শুনে আমার উপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন বলেন, মারামারি বা হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে রাস্তায় পড়েছিলো। সেই ছেড়া লাইন সরানোর জন্য আমরা তাদের বলি। কিন্তু তারা সেটা রাতে সরাতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলেই দপ্তরে এসে প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের মারধর করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা খুব বাজে কাজ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন। আমরা তো রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে এসব ব্যাপারে কঠোর হতে পারিনা। কিন্তু এবার আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করবো।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এর আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনের ফলে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকা ছাত্র রাজনীতি নতুনভাবে ফিরে আসার পথ তৈরি হচ্ছে, এরই প্রতিবাদে আজকের অবস্থান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে।

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর