আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে পরিবারে ফিরছে স্বচ্ছলতা

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাবনা প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল বিশ্বমানের সেরা একটি ছাগল। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু তেমনি চামড়া আন্তজার্তিক উন্নতমানের বলে স্বীকৃত। এছাড়াও ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এবং তারা দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল প্রধানত গোশত ও চামড়া উৎপাদনকারী জাত হিসেবে বিশ্বে সেরা।

আমাদের দেশে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের  গড় ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজি। কখনও কখনও ৩০ থেকে ৩২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ক্ষুদে মাঝারি কিংবা বড় খামারিদের জন্য ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন বেশি লাভজনক। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের পশ্চিম বাংলা, আসাম ও অন্যান্য রাজ্যে পাওয়া যায়। ব্লাক বেঙ্গল বছরে দুইবার এবং এক সাথে একাধিক বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। তবে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা তুলনামূলক কম। স্ত্রী ছাগল ৯ থেকে ১০ মাস বয়স হলেই প্রজননের যোগ্য হয় এবং ১৪ থেকে ১৫ মাস বয়সে প্রথম বাচ্চা প্রসব করে। গোশতের জন্য ব্লাক বেঙ্গল সবচেয়ে ভালো।

ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে একদিকে যেমন আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় তেমনি পরিবারের গোশত ও দুধের চাহিদা মেটে। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের দুধ খুবই পুষ্টিকর। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না, এই জাতটির দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ঘটে এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। ব্লাক বেঙ্গল ক্ষেতের আইলে, রাস্তার ধারে, বাড়ির আশপাশের অনাবাদি জায়গার ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে। দেশে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়িত গ্রামগঞ্জে বাড়ছে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

ছাগল পালন ও প্রজনন কর্মসূচির আওতায় জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক মানুষ। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্য তারা খামারে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল লালন পালন করছেন। গ্রামীন দরিদ্রজনগোষ্ঠীর দারিদ্রবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ছাগল পালন। দেশে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামার করে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন অনেক খামারি তবে পিছেয়ে নেই পাবনার খামারিরাও।

কথা হয় পাবনা সদর গাছপাড়া এলাকার ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামারি ফরিদা খাতুনের সাথে তিনি প্রায় ২০ বছর যাবত ছাগল লালন পালন করছেন। বর্তমানে তার খামারে ৮ থেকে ১০ টি ব্লাক বেঙ্গল ছাগল রয়েছে। তিনি জানান, একটি ছাগল বছরে দুইবার এক থেকে একাধিক বাচ্চা দিয়ে থাকে। প্রতি ছাগলের বাচ্চা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকেন তিনি। ফরিদা খাতুন জানান, একসময় অভাবেই দিন কাটতো তাদের ছাগল লালন পালন করায় ৫ সদস্যর পরিবার নিয়ে এখন ভালো আছেন তিনি।

তেমনি একজন খুশিনা বেগম পাঠা পালন লাভজনক হওয়ায় তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে পাঠা লালন পালন করছেন। তার খামারে দুইটি পাঠা থাকলেও ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তাকে বিনামূল্যে পিওর ব্লাক বেঙ্গল পাঠা দেওয়ায় তার খামারে এখন পাঠা রয়েছে চারটি। এগুলো পাঠা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকনে তিনি।

কথা হয় পাবনা সদর দাপুনিয়া ইউনিয়নের সাহাদিয়ার গ্রামের অঞ্জনা খাতুনের সাথে তার স্বামী পেশায় একজন অটোচালক। পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। তিনি প্রায় ৫ বছর যাবত ব্লাক বেঙ্গল ছাগল লালন পালন করছেন। অঞ্জনা খাতুন জানান, বছরে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করেন তিনি। ছাগল বিক্রির জমানো টাকা দিয়ে নির্মাণ করছেন সেমিপাকা ঘর সেই সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়ের লেখাপড়া।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আল মামুন হোসেন মন্ডল এর দেওয়া তথ্য মতে, ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রতি ইউনিয়নে দুইজন করে মোট ১৪৮ জন সুফলভোগীকে বিনামূলো ছাগলের প্লাস্টিকের আধুনিক মাঁচা ঘর নির্মাণ, বিনামূল্যে ভিটামিন, মিনারেল, ছাগলের বাচ্চার দুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৮ জন সুফলভোগীকে বিনামূল্যে দুইটি করে মোট ৩৬টি পিওর ব্লাক বেঙ্গল পাঠা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও আধুনিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনে তাদের একাধিকবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আল মামুন হোসেন মন্ডল বলেন, ব্লাক বেঙ্গল ছাগল প্রতিবছর দুইবার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবার দুই থেকে তিনটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এর মাংস অনেক সুস্বাদু এবং এই ছাগলের রোগ বালাই অনেক কম হয়। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল দারিদ্র বিমোচন, নারীর উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



কুড়িগ্রামে ফেনসিডিল-বিদেশি মদসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের কচাকাটায় ও নাগেশ্বরীতে পৃথক দুটি মাদক বিরোধী অভিযানে ৬৬ বোতল বিদেশি মদ এবং ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২) ও কুড়িগ্রাম সদর থানার একতা পাড়া এলাকার মাদক কারবারি মোঃ হিমন মিয়া (২২)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কচাকাটা থানা পুলিশের একটি টিম মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে কচাকাটার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ জাহিদুল ইসলামকে ৬৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের শঠিবাড়ী নামক স্থানের নাগেশ্বরী থেকে কুড়িগ্রামগামী রাস্তা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকা থেকে কুড়িগ্রাম সদর থানার একতাপাড়া এলাকার মাদক কারবারি মোঃ হিমন মিয়াকে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম কোনো ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। খুব সফল আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিল সফর করবেন তা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বৈঠকে তুলা আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্যে শুল্ক কমানোর কথাও জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন এখন দুই দেশের বড় একটা সংকট। এটি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। যেখানে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।


আরও খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে ঘুরতে যাচ্ছেন? খরচ বাঁচানোর উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

রহমতের মাস মাহে রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। আবার অনেকে ঈদের এই ছুটিতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে বা দেশের বাহিরে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে যাবে ঘুরতে। এই ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন : ভ্রমণে প্রথমধাপে যেই খরচটা হয় তা হচ্ছে যাতায়াতের খরচ। তাই যাতায়াতে মিতব্যয়ী হতে হবে। কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ব্যস্ত বিমানবন্দর বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ব্যস্ত বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।

বুঝেশুনে প্যাকেজ অফার নিন : কাঙ্ক্ষিত স্থানে যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এর জন্য রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। যেমন খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র থাকার জন্য রিসোর্ট বুকিং দিয়ে খাবারের খরচটা বাহিরে করলে হোটেলের বিল কম আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কম খরচের হোটলেরুম বা রিসোর্টে উঠতে পারেন।

সাথে শুকনো খাবার রাখুন : ভ্রমণের সময় লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো তা অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেলেও সঙ্গে থাকা খাবার খাওয়া যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।

উপহারে অপচয় নয় : অনেকেই ভ্রমণে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে থাকেন। এতে অনেক খরচ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দামি কিছু উপহার না দিয়ে বা মার্কেট থেকে না কিনে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কিনুন। এতে কম খরছে ভালো কিছু কেনা যাবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ।


আরও খবর



সমালোচনার মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

গত ৮ই এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে। লুৎফুল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তার-ই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।

গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও এক আত্মীয়কে অপহরণ করেন লুৎফুল হাবিবের সমর্থকরা। গাড়িতে মারধরের পর ওইদিন দেলোয়ারকে তার বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবের। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মূল ঘটনা সামনে এলে গত শুক্রবার লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।


আরও খবর