বিয়ের প্রথম কয়েক সপ্তাহ দম্পতিরা হানিমুনসহ নানা ধরনের রীতিনীতি ও নিয়ম পালনে ব্যস্ত থাকেন। বিয়ের পার প্রথম এক বা দুই মাস ভালোই কাটে সবার। এরপর থেকে কিছু না কিছু বিষয় নিয়ে দাম্পত্যে ঝগড়া, মনোমালিন্যসহ অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের পর প্রথম একবছর স্বামী-স্ত্রীর সংসারে মানিয়ে নেওয়া সবচেয়ে বেশি কষ্টকর। কারণ বিয়ের পর এমনিতেই যখন দুজন মানুষ এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করেন, তখন নানা বিষয়ে মতবিরোধ হতে পারে। তারই জেরে মাঝেমধ্যেই দাম্পত্যে ঝগড়া হতে পারে।
তবে দাম্পত্য জীবনের ঝগড়ার ভিত্তিতে সঙ্গীকে কখনো বিচার করবেন না। বরং প্রথম বছরের ভুল সংশোধন করে দ্বিতীয বছর সংসারে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। বিয়ের প্রথম বছরকে বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে কঠিন সময় হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এর কারণ হলো, এ সময় দম্পতিরা একসঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। বিশেষ করে ৫ ধরনের ঝগড়া বিয়ের প্রথম বছর বা প্রথম ৬ মাসে হয় যেমন-
সঙ্গী যেন মনের কথা বুঝে নেয়: আজকাল মানুষ বিয়ের আগেই একে অপরকে জানার চেষ্টা করেন। এ কারণে অনেক মানুষই আশা করেন বিয়ের পর তার সঙ্গী যেন মনের কথা বুঝে নেন। তবে এটি করা অসম্ভব। এ কারণে বেশিরভাগ নববিবাহিত দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য বা ঝগড়া হতে পারে। এ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না করাই ভালো।
সঙ্গীর অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা: অনেকে আছেন যারা বিয়ের পর সঙ্গীর উপর নিজের ভালো বা খারাপ লাগাগুলো জোর করে চাপিয়ে দেন। তবে এটি কিন্তু ভুল পদক্ষেপ। সবারই নিজের পছন্দ ও অপছন্দ আছে, তাই সঙ্গীর কোনো অভ্যাস ভালো না লাগলে তা বুঝিয়ে বলুন। তাই বলে তার ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের জন্য জোর করবেন না বা অশান্তি করবেন না।
দাম্পত্যে একঘেয়েভাব: কয়েকদিন একসঙ্গে থাকার পর যদি আপনি একঘেয়ে বোধ করেন কিংবা সঙ্গীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন তাহলে দাম্পত্যে এর প্রভাব পড়বে। এমন ক্ষেত্রে প্রতিটি ছোটখাট জিনিসই ঝগড়ায় পরিণত হয়। তাই প্রতিদিন রোমান্টিক করা জরুরি। ডিনারে যান, হাঁটাহাঁটি করুন, একসঙ্গে সিনেমায় যান, দেখবেন নতুন করে প্রতিদিন সঙ্গীর প্রেমে পড়বেন।
সংসারে বেশি চাপ নেওয়া: প্রতিদিন নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই যে আপনি বিবাহিত। এই চাপ সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানো কঠিন করে তুলতে পারে। নিজের উপর জোর করবেন না। তাহলে দাম্পত্যে অশান্তিও হবে না।
নিজের জন্য সময় না রাখা: বিয়ের পর অনেকেই সংসার নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন যে, নিজের জন্যও সময় রাখতে পারেন না। ফলে মেজাজ সব সময় খিটখিটে হয়ে থাকে ও সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি সঙ্গীর বুঝতে হবে, দুজনেই আপনারা নতুন জীবন শুরু করেছেন তবে এর অর্থ এই নয় যে কারও ব্যক্তিগত জীবন থাকবে না। আপনার নিজের একটি ব্যক্তিগত জীবনও আছে, যেখানে অন্যের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।