
জামালপুর সদর
উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
করেছে ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মো. আকাশ ওরফে লালন (২৩)। তিনি ওই ইউনিয়নের
রশিদপুর চৌরাস্তা গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে
জানা গেছে, ওই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। তাঁদের
ঔরসে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আকাশ তাদের প্রতিবেশী। সে হিসেবে তাঁর সঙ্গে ওই গৃহবধূর
আলাপচারিতা হতো।
গৃহবধূর স্বামী
কর্মের তাগিদে ঢাকায় বসবাস করিতো। প্রায় ৩ মাস আগে আকাশ তাঁকে প্রেমের প্রস্তাবসহ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইতে থাকে। একপর্যায়ে আকাশের প্রস্তাবে রাজি হন ওই গৃহবধূ।
এরপর তাঁদের ফোনে ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথাবার্তা হতো।
একপর্যায়ে ১৩
ডিসেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায় আকাশ। নাকের ফুল পরিয়ে শারীরিক সম্পর্ক
করিতে চাইলে অস্বীকার করেন গৃহবধূ। পরে তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আকাশ।
আকাশকে বিয়ে
করার জন্য চাপ দিলে রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে করবে, এ কথা বলে বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে তাড়িয়ে
দেওয়া হয়। আকাশের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি গৃহবধূর মেসেঞ্জার ঘেঁটে টের পেয়ে
তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন স্বামী। তখন তিনি আকাশের বাড়িতে ওঠেন। আকাশের বাবা-মা ওই
গৃহবধূকে মারধর করে তাদের বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দেয়। উপায়ন্তর না দেখে ২৪ ডিসেম্বর জামালপুর
থানায় মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
এ বিষয়ে জামালপুর
থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কাজী শাহনেওয়াজ ইমন জানান, ওই গৃহবধূ থানায় এসে ঘটনা
জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই মামলা নথিভুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে ওই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে নিতে এলে তাঁদের সঙ্গে তিনি
স্বামী বাড়ি চলে যান।
তিনি আরও জানান,
অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।