বরিশালে বিয়ের
প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার
(৩০ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর
আগে বুধবার (২৯ মার্চ) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ
করে জামিন আবেদন করেছিলেন। এ সময় আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
আদালত।
অভিযুক্ত ব্যক্তির
নাম এনায়েত হোসেন (৪২)। তিনি হিজলা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
হয়। পরে সাময়িক বরখাস্ত হলে তিনি পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন।
মামলার এজাহার
সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী পাশের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। সে সুবাদে
হিজলা থানায় কর্মরত কনস্টেবল এনায়েতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে
২০২০ সালে ১ নভেম্বর ভুক্তভোগী কিশোরীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে
স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে পালিয়ে আসেন এনায়েত।
পরে বিয়ে করবেন জানিয়ে বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে এনে ফের ধর্ষণ করা হয় ভুক্তভোগী
কিশোরীকে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত ১৪ জুন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
মো. হুমায়ন
কবির জানান, মামলার পর এনায়েত উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ
শেষে বুধবার তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। পরে বিচারক ইয়ারার হোসেন আবেদন না মঞ্জুর
করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত এনায়েতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।