নীলফামারীর ডোমার
উপজেলায় বর ও কনে পক্ষের মালা পরার বকশিশের টাকা নিয়ে মারামারি হয়েছে। এতে বরসহ পাঁচ
বরযাত্রী ১২ ঘণ্টা জেলহাজতে থাকার পর সোমবার বিকেলে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
জানা গেছে, গত
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হরিণচড়া ইউনিয়নের জামাতপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে
লিমা আক্তারকে বিয়ে করতে আসে পাশ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদারপাড়া এলাকার
মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম। দুই পক্ষের গণ্ডগোলে বরসহ পাঁচজনকে আটক করে সোমবার
ভোর ৫টার দিকে পুলিশ তাদের ডোমার থানায় নিয়ে আসে। বিকেল ৫টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো
হয়।
আটককৃতরা হলেন-
জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদারপাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে বর রবিউল ইসলাম
(২৫), তার চাচা মনছুর আলী (৫৫), মনছুর আলীর দুই ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (২৩), আলীমুল ইসলাম
(২০) ও পাশ্ববর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আল আমীন (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী
ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, রোববার রাত সাড়ে
১০টার দিকে বরকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেয় কনেপক্ষ। এসময় বর ২০ টাকা বকশিশ দেয়। এতো কম
টাকা বকশিশ দেওয়ায় কনেপক্ষ নিতে অপারগতা জানায়। বরপক্ষের লোকজন বকশিশের পরিমাণ বাড়াতে
না চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রুপ নেয়। দুইপক্ষকে
নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও সমাধান করা সম্ভব না হলে সোমবার ভোর ৫টার দিকে পুলিশ এসে
বরসহ পাঁচ বরযাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো
হয়।
কনের বাবা আজিজুল
ইসলাম অভিযোগে জানান, বরপক্ষের লোকজন বিয়েতে এসে গণ্ডগোল ও মারামারি করেছে। আমাদের
বাড়িতে এসে যদি তারা এরকম আচরণ করে তাহলে তাদের বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে তার সাথে আরও
খারাপ ব্যবহার করেবে এবং তাকে নির্যাতন করবে। তিনি আরও বলেন, বরযাত্রী আসার আগে বরপক্ষ
আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছে। বিয়ের আয়োজনে আরও এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি গরিব
মানুষ। আমার জমানো সব টাকাও শেষ। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে কি করবো?
তবে বরপক্ষ সমঝোতা
করে বিয়ে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কনের বাবা রাজি হননি বলে ধর্মপাল ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান। এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উন নবী
জানান, বিয়েতে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের আজ সেমাবার
বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।