আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিয়ের আগে কাদের ওপর চটলেন পরিণীতি?

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

২০২৩ পরিণীতি চোপড়ার কাছে বিশেষ একটা বছর। চলতি মাসেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চড্ডা। বিয়ের মাত্র এক সপ্তাহ আগে কাদের ওপর চটলেন বলিউড অভিনেত্রী।

গত ১৩ মে ধুমধাম করে আম আদমি পার্টির নেতা তথা সংসদ সদস্য রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন অভিনেত্রী। এবার বিয়ের পালা। রাজস্থানের উদয়পুরে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা। বিয়ের আয়োজন ঘিরে যে চাপ থাকবে, তা প্রত্যাশিত।

কিন্তু অভিনেত্রী গাড়ি থেকে নামামাত্র তার ছবি তুলছিলেন চিত্রগ্রাহকরা। তাদের ভিড় দেখেই চটলেন পরিণীতি। বিরক্ত হয়ে বলে বসলেন, আপনারা কেন এসেছেন? আপনাদের ডেকেছি নাকি! অনেক হয়েছে, এবার থামুন আপনারা।

রাগে গজ গজ করতে করতেই চলেও গেলেন তিনি। পরিণীতির এমন আচরণে কিছুটা অবাক নেটিজেনরা। সাধারণত চিত্রগ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন না পরিণীতি। যদিও অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অনুরাগীরা। 

আরও পড়ুন>> প্রতারণার অভিযোগে জেরিন খানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

তারা জোনালেন, এত বড় মাপের বিয়ের আয়োজন মুখের কথা নয়। সব সময় ছবি শিকারিরা ছেকে ধরলে তো তারা বিরক্ত হবেনই! এত রাগারাগির মাঝেও হবু স্বামীকে ভোলেননি পরিণীতি। সম্প্রতি রাঘবের নামের আদ্যক্ষর আর লেখা টুপি পরে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে।

দিন কয়েক আগেই গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল পরিণীতি ও রাঘবের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র। ধবধবে সাদা রঙের নিমন্ত্রণপত্র দেখে ধারণা, বাগদানের মতো বিয়ের জন্যও সাদা বা হালকা প্যাস্টেল শেডের পোশাকই বাছতে চলেছেন রাঘব ও পরিণীতি।

উদয়পুরের তাজ লীলা প্যালেসে রাঘব ও পরিণীতির বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়েলকাম লাঞ্চ-এর মাধ্যমে দুপুর থেকে শুরু হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান। তারপর নব্বইয়ের দশকের আদলে থিম পার্টি।

সেদিনই সম্পন্ন হবে পরিণীতির চূড়া সেরিমনি। ২৪ সেপ্টেম্বর রাঘবের সেহরাবন্দি-র মাধ্যমে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। দুপুর সাড়ে ৩টার মধ্যে মালাবদল করবেন পরিণীতি ও রাঘব। তারপরে সাত পাক ঘুরবেন তারা।

আপার্ল হোয়াইট ওয়েডিং-এর মাধ্যমে চার হাত এক হবে যুগলের। বিয়ের দিনই সন্ধ্যাবেলায় তাজ লীলা প্যালেসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নবদম্পতির রিসেপশন।


আরও খবর



সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতে আসছে ‘মিস এআই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ। ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। এবার এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। মূলত বিশ্বব্যাপী এআই ক্রিয়েটরদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

পুরস্কার হিসেবে মিস এআই বিজয়ীকে দেয়া হবে নগদ ৫ হাজার ডলার। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার থাকছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তবে ১০ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিনই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন। বিশ্বের কোনো দেশের ক্রিয়েটররা তাদের এআই মডেলের নাম লেখাতে পারবেন মিস এআই প্রতিযোগিতায়। তবে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকতে হবে।

জানা গেছে, ফোবর্স দ্বারা হাইলাইট করা মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। ফ্যাশন বৈচিত্র্য এবং এআই উৎপাদিত পুরুষ মডেলের মতো বিভিন্ন থিম থাকছে। তবে এআই জেনারেটেড নারী মডেলদের উপরই বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এআই টুলের মাধ্যমে তৈরি মডেল হতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে ওপেনএআই এর ডাল-ই ৩ মিডজার্নি এবং কপিলট ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত।

তবে প্রতিযোগীদের ৩টি গুণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব। সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যবহার, বাগ্মিতা এবং কঠিন প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেওয়ার মতো দক্ষতা আছে কি না দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট থেকে আউটপুট তৈরির ক্ষমতা সহ এআই ব্যবহারের নির্মাতাদের দক্ষতা বিচার করবেন বিচারকরা।

সামাজিক প্রভাব ডিজিটাল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মাতারা কতটা দর্শক টানতে পারেন, তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে তাদের উপস্থিতি দেখা হবে। এই বিভাগগুলোতে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক স্কোর পাবেন প্রতিযোগীরা।

প্রতিযোগিতায় চারজন বিচারক থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এআই ইনফ্লুয়েন্সার আইতানা লোপেজ ও এমিলি পেলেগ্রিনি-র সঙ্গে উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু ব্লচ এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিচারক স্যালি-অ্যান ফসেট।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী,আদনান সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


আরও খবর