আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলন চলতেই থাকবে। যতদিন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন ,তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন, আমাদের বন্দি নেতারা যতক্ষণ মুক্ত না হবেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলতে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই এ সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একটা নির্বাচনের তামাশা তৈরি করেছে। স্পষ্ট বলতে চাই তামাশার সরকার আর নির্বাচন করতে পারবে না। তাই এ সরকারকে সরাতে হবে ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় হয়ে গেছে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার । তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এখন দেশের মানুষ ডিম খেয়েও বাঁচতে পারছে না। গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষ আর এ সরকারের শোষণ নিতে পারছে না।

ফখরুল বলেন, আজকের এ দিনে আওয়ামী লীগ সরকারে হাতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এ আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের পত্রিকাগুলো বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। সেদিন বাকশাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে সাপোর্ট দিয়েছিল।


আরও খবর



বাজার অস্থিতিশীল করতেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। দেশে যাতে জনগণের ভোগান্তি হয় এবং পণ্যের মূল্য বাড়ে এটাই চায় তারা।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের নেত্রী যেগুলো মাঠে গলা ফাটায়, তারাও আবার ভারতীয় শাড়ি পড়বেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন-এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনোকিছু নয়।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরণের ভূমিকা রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি ছিনতাই হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না; যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতোমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।


আরও খবর



পাকিস্তানে হঠাৎ তুষার ও ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৩৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও অপ্রত্যাশিত তুষারপাতে কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে। তাদের অনেকেই ভূমিধসের ফলে বাড়িঘর চাপা পড়ে মারা গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে মার্চ মাসে সাধারণত হালকা আবহাওয়া থাকে। এবার হয়েছে ঠিক তার উল্টো। অসময়ে তুষারপাত দেখে বেশ অবাক হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক আচরণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মোশতাক আলি শাহ।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কির্ক জেলার বাসিন্দা হাজিত শাহ বলেছেন, তিনি নিজের জীবনে আগে একবার মাত্র এই ধরনের তুষারপাত দেখেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, যতদূর মনে পড়ে প্রায় ২৫ বা ৩০ বছর আগে কয়েক মিনিটের হালকা তুষারপাত হয়েছিল।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণে অন্তত ১৫০টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও ৫০০ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশের। অনেক জেলায় গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই।

খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করেছে। আহত ও যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সাপ্তাহিক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের বাকি দিন দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রধানত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে বেলুচিস্তান ও কাশ্মীরের কিছু অংশে তুষারপাত হতে পারে।


আরও খবর



২০ দিনে আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে কার্যকর করা অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নথিবিহীন ২ হাজার ৫৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১ মার্চ দেশটিতে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চালু করেছে মালয়েশিয়া। এই কর্মসূচির আওতায় গত ২০ দিনে ১১ হাজার ৯৪৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি আছেন ২ হাজার ৫৩০ জন।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৮২৪ জন নথিবিহীন অভিবাসী নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে ১২ হাজার ৪৯৫ জন পুরুষ, ৩ হাজার ৭২৮ জন নারী, ৩১০ জন তরুণ এবং ২৯১ জন তরুণী রয়েছেন।

দেশটির এই কর্মকর্তা বলেন, কর্মসূচিতে অবৈধ অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিবন্ধনের রেকর্ড করেছেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা। ৭ হাজার ৭৮২ জন ইন্দোনেশীয় দেশে ফেরত যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

তিনি বলেন, এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ২ হাজার ৫৩০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এরপরই ভারতের ২ হাজার ৪৫৪ জন এবং পাকিস্তানের এক হাজার ৬১৭ জন নাগরিক কর্মসূচিতে নিবন্ধন করেন।

রুসলিন বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্তত ৯৪ জন তাদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। তাদের সবাইকে চাকরির নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‌‌আমরা এই কর্মীদের কাউকে আটক করিনি। আমরা তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দিয়েছিলাম। কারণ তারা অভিবাসন আইনে কোনও অপরাধ করেননি। নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি এই কর্মীদের সাথে প্রতারণা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



আমি নির্বাচনে হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে : ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সময় যতই এগিয়ে চলেছে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে সমানতালে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেও দেখা মিলবে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বৈরথ।

আর তাই গত নির্বাচনের পরাজয়ের ক্ষত থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, সামনের নির্বাচনে তিনি হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে।

এমনকি তিনি না জিতলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি যদি আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হন তবে এর অর্থ হবে আমেরিকান গণতন্ত্রের সম্ভাব্য সমাপ্তি বা অবসান। রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওহিওতে সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবিরও পুনরাবৃত্তি করেন।

তিনি দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয় ছিল নির্বাচনী জালিয়াতির ফলাফল।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার আউটডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তিনি যদি আগামী ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হন তবে আমেরিকান গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে। ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি এই নির্বাচনে না জিততে পারি, আমি মনে করি না যে আপনারা এই দেশে আর কোনও নির্বাচন পাবেন।

জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করার দায়ে ট্রাম্প বর্তমানে ফৌজদারি অভিযোগের অধীনে রয়েছেন। আর এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে রিপাবলিকান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি।

ট্রাম্প এদিন ডেটনে তার সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মন্তব্যটি করেন যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গা ও হামলার জন্য কারাগারে রয়েছেন। সেদিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।

একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। শুধু তা-ই নয়, তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয়ও তছনছ করে তারা। হামলা-সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন পাঁচজন। সেই ঘটনায়ই ট্রাম্পের অনেক সমর্থক কারাগারে রয়েছেন। তবে ট্রাম্প তাদেরকে স্যালুট জানান এবং তাদের দেশপ্রেমিক এবং জিম্মি বলেও আখ্যায়িত করেন।

রয়টার্স বলছে, সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দেশের অবস্থা সম্পর্কে তার বক্তৃতায় ক্রমবর্ধমানভাবে ডাইস্টোপিয়ান (এমন কল্পিত রাষ্ট্র বা সমাজ যেখানে ব্যাপক যন্ত্রণা ও কষ্ট বা অবিচার আছে) ব্যবহার করছেন।

আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক বসানো এবং মার্কিন অটো শিল্পের জন্য বিদেশি প্রতিযোগিতার বিষয়ে নিজের বক্তৃতার একটি অংশের মাঝখানে ট্রাম্প ঘোষণা করেন: আমি যদি নির্বাচিত না হই, তবে এটি পুরো দেশের জন্য রক্তগঙ্গা হতে চলেছে।

এদিকে মার্কিন অটো শিল্প এবং অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনার মধ্যে ট্রাম্পের রক্তগঙ্গা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচারণার মুখপাত্র জেমস সিঙ্গার ট্রাম্পের চরমপন্থা, প্রতিশোধের প্রতি তার তৃষ্ণা এবং তার রাজনৈতিক সহিংসতার হুমকির নিন্দা করেন।

ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিকদের (লাতিন আমেরিকান বংশোদ্ভূত এবং বিশেষ করে কিউবান, মেক্সিকান বা পুয়ের্তোরিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন) কাছেও আবেদন করেছেন।

তার মতে, এই ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে।

নিউজ ট্যাগ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আরও খবর



কলকাতায় ‍ভোটের আগে মুরগির দাম ৩০০!

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচন এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্য। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মুরগির মাংস।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বাড়ছে। দৌড়ে সবার আগে ছুটছে মুরগি।

মুরগির ট্রিপল সেঞ্চুরি!

ঘরে-বাইরে মুরগির মাংস এখন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবার। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড বা নামিদামি রেস্তোরাঁয় সবচেয়ে বেশি চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য সামগ্রীর। সেই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে নজির সৃষ্টি করেছে কলকাতায়।

সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ রুপির মধ্যেই থাকে। কলকাতা ও তার লাগোয়া এলাকায় প্রতি কেজিতে এই দাম ২০ রুপির মতো বেশি দেখা যায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় এক কেজি মুরগির দাম ছিল ২৩০ রুপির আশপাশে। গত সাত দিনে মুরগির দাম পৌঁছে গিয়েছে তিন শতকের দোরগোড়ায়। অর্থাৎ প্রায় তিনশ রুপিতে।

গত এক সপ্তাহে ধরে প্রায় রোজই মুরগির মাংসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। কলকাতার অভিজাত বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ রুপি দরে। কোথাও আবার একেবারে ৩০০ রুপি। জেলায় দাম একটু কম হলেও তা ২৫০ রুপি পার হয়েছে।

মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, ভেটকি, চিংড়িসহ নানা মাছের দাম বিয়ের মরশুম চলায় এমনিতেই চড়া। বিভিন্ন বাজারে এই মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২৫০ রুপি থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত হয়েছে।

দাম বাড়ার এই বিষয়টির সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সন্দীপ তরফদার। তিনি বলেন, এই সময়টা মুরগিতে মড়ক লাগে। মুরগি মরে যায়। ফলে যোগান কমে। ভোট সামনে এলে আবার চাহিদা অনেকটা বাড়ে। রাজনৈতিক দলের সভা থাকলে অনেক বেশি অর্ডার আসে। এছাড়া সামনে দোলযাত্রা, সব উৎসবের মুখে দাম বাড়ে।

মুরগি পালনের খরচও বেড়েছে বলে দাবি পোল্ট্রি সংগঠনের। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি বলেন, মুরগির খাবার হিসেবে ভুট্টার দানা লাগে। এই দানা ইথানল শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে দানার দাম বেড়েছে। এতে মুরগি পালনের খরচও বেড়ে গিয়েছে।

সবজির দাম

পশ্চিমবঙ্গের মাঠে মাঠে এখন আলু চাষিদের ফসল তোলার সময়। হিমঘরগুলোর দরজা খোলা, বাজারেও আলুর যোগান পর্যাপ্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে আলুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আলু যেখানে প্রতি কেজিতে ১০-১৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছিল, তা গত কয়েকদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ রুপি।

গত মাসে রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছিল। যদিও তা এখন কমতে কমতে ২০০ রুপিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পেঁয়াজ, টমেটো ৩০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাক সবজির দাম অবশ্য নাগালের মধ্যে আছে।

এই দামের উল্লেখ করে ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, গত মাসে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছিল। কিন্তু এখন তা কমে এসেছে। মুরগির মাংসের দাম অনেকটা বেড়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি যাতে, এই দামও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজারে নতুন ওঠা সবজি যেমন ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই প্রবণতা গ্রীষ্মের মুখে স্বাভাবিক বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, যোগান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

ভোটের থাবা

প্রতি নির্বাচনের আগেই জিনিসপত্রের দামে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও এই দাম বাড়ার পিছনে অন্যান্য কারণও থাকে।

ফোরাম ফর ইনডিজেনাস এগ্রিকালচারাল মুভমেন্ট-এর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাস বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনো একটি জায়গায় এলে পণ্যের চাহিদা বাড়ে। তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে স্থানীয়ভাবে কোনো বাজারে দাম বৃদ্ধি হতে পারে।’ এর সঙ্গে থাকে মজুতদারির মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্রিম সংকট। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য মজুত করেন।

চিন্ময় বলেন, এখন পণ্য মজুত করার ফলে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি হয়। এর ফলে দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মজুত করে রাখেন ভোটের পরে বিক্রি করবেন বলে। সেই সময় বেশি দাম পাওয়া যায়।


আরও খবর