রাজধানীর ধানমন্ডির শুক্রাবাদে এক বিউটিশিয়ান নারীকে সেবা নেওয়ার নামে বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মো. রিয়াদ ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। নারী কণ্ঠে ওই বিউটিশায়ান বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন তারা।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলন ডিসি বলেন, ধর্ষণের শিকার বিউটিশিয়ান একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় নারীদের বাসায় গিয়ে ফেসিয়ালসহ বিউটি পার্লারের সেবা দিতেন। অনলাইন পেজের সেই নম্বরের সূত্র ধরে গতকাল মেয়ে কণ্ঠের মাধ্যমে সেই পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ফোন দেওয়া হয়।
আজিমুল হক বলেন, ওই নারীকে জানানো হয়, শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থেকে বিউটিশিয়ান নারী শুক্রাবাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। রাস্তায় আসার সময় গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াদ তার অবস্থান সম্পর্কে ফোনে বারবার জানতে চাচ্ছিল।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সন্ধ্যার পর সেই নারী শুক্রাবাদে পৌঁছান। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে রিয়াদ শুক্রাবাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। এ সময় খালি বাসায় রিয়াদ তার বন্ধু সিয়াম ও আরেক বন্ধু জিতু মিলে বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ করেন। এরপর সেই নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেন তারা।
গ্রেপ্তাররা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে উল্লেখ করে ডিসি বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা বখে যাওয়া। নিজেদের ফ্যান্টাসির কারণেই এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ধর্ষণের সঙ্গে তাদের আরেক বন্ধু জিতুও সরাসরি জড়িত।