আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বিতর্কিত বক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা গাজীপুরের গাছা থানার মামলায় বিতর্কিত বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এদিন রফিকুল আদালতে হাজিরা দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‌্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম মাদানী ইউটিউব এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছেন।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক বুয়েট শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। শনিবার থেকে শুরু হবে এ কর্মসূচি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টার পর বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল বুয়েটের সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে। আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সব প্রবেশদ্বারে অবস্থান নেবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশেও জড়ো হবে তারা। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেন।

এর আগে ২৮ মার্চ মধ্যরাতে একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো:-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার চাই।

৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউর পদত্যাগ।

৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।

৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।


আরও খবর



৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ফলাফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে সই করেছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস।

৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি।

এরপর গত বছরের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন। ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




এবার কুষ্টিয়ায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

বান্দারবানে একাধিক ব্যাংকে চুরি-ডাকাতির পর এবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি ব্যাংকে চুরির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের শাখা অফিসে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংকের ভল্ড ভেঙে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা চুরি হয়েছে। ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে চোর।

বুধবার (৩ মার্চ) সকালে অফিস খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে কর্মকর্তাদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

এজেন্ট ব্যাংক ইনচার্জ শামসুল আলমের দাবি, এ সময় পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮টাকা, কম্পিউটার, সিসিটিভি, ডিভাইস সহ মালামাল চুরি হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, পুরো বিষয়টি প্রাথমিকভাবে আমার কাছে নাটকীয় এবং সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করেছে অস্ত্রধারীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় ২ কোটি টাকা লুট করে অস্ত্রধারীরা।


আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪