আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাচ্ছেন সাকিব!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ খেলতে একদিন পরই উড়াল দিতে হবে ভারতের উদ্দেশ্যে। অথচ এর আগে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।

শুরুতে সেটি ছিল তামিম ইকবালের খেলা বা না খেলা নিয়ে। এই উদ্বোধনী ব্যাটার পাঁচ ম্যাচ খেলতে চান, এমন খবর ছড়ালেও বিষয়টি ছিল ভিন্ন। দীর্ঘদিন পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট করে পিঠে অস্বস্তি বোধ করার কথা জানান তিনি। 

সেটিই পরে নির্বাচকদের কাছে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। যাতে অস্বস্তিতে পড়েছে নির্বাচক প্যানেলও। এখন আবার নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।  জানা গেছে, বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে চান না এই অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপের সময়ই নেতৃত্ব দিতে না চাওয়ার কথা বোর্ডকে জানিয়েছেন সাকিব।

সেখানে অবশ্য তামিম ইকবাল কোনো ইস্যু নন বলেই বিভিন্ন সূত্রের দাবি। বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে না দল, এমন ভাবনা থেকেই সরে দাঁড়ানোর চিন্তা সাকিবের। সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত বিষয়ও রয়েছে। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে সাকিবকে নেতৃত্ব রাখতে চাচ্ছে বিসিবি। 

এ নিয়েই সোমবার দিবাগত রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সাকিব। তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করা অলরাউন্ডারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তারা। মঙ্গলবারও একই চেষ্টা চলবে বলে জানা গেছে।

শেষ অবধি সাকিব অধিনায়কত্ব না করলে কে দেবেন নেতৃত্ব? এ আলোচনায় সবার আগে আসার কথা লিটন দাসের। তিনি দলের সহ-অধিনায়কও। তবে অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটার এখন নেতৃত্ব নিতে চাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন তৃতীয় ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।


আরও খবর



৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছে। প্রার্থী বাছাই শেষে সোমবার বিকালে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

রোববার দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তথ্য জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন তার কথা রাখবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। নির্বাচনে যেন ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন হয়।

রোববার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার রাতে তার ভাবি বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, তিনি একা গিয়েছেন। দলীয় কিছু হলে পার্টি মহাসচিব হিসাবে আমাকে যেতে হতো। আমি আসলে ওই বৈঠকের বিষয়ে জানিই না। রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রেগম রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলাম যদি নির্বাচন করেন আমরা মনোনয়ন ফরম দেব, তাদের স্বাগত জানাব। আমরা চাই বেগম রওশন এরশাদ যেন নির্বাচনে আসেন। আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করব।

রোববার বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপির সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত এবং লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।

মো. মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, যারা দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কাকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোয় কোনো বিভেদ নেই। জিএম কাদেরের নেতৃত্বের বাইরে কেউ নেই। জাতীয় পার্টি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নি, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার, মোবারক হোসেন দুলু, তারেক আহমেদ আদেল, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, মো. বেলাল হোসেন, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, ইউসুফ আজগর, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমদু, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় পার্টি

আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৯১

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৯১ রোগী।

আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৪৭ এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৪৯ জনে। আর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ এক হাজার ২৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৫ জন, আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৯৫ হাজার ৭২০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৫২২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩২৫ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৫২২ জন।

অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন চার হাজার ৯৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী।


আরও খবর



যেভাবে মাংসখেকো পাখি দিয়ে লাশ খুঁজছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় নিহতদের লাশ খুঁজতে এক অভিনব পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে ইসরায়েল। তারা ঈগল, শকুনের মতো মাংসখেকো পাখির সাহায্যে লাশ খুঁজছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ ইসরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান কর্তৃপক্ষের ওহাদ হাৎজোফে বলেছেন, হামাসের হামলার স্থানগুলোর আশেপাশে মৃতদেহ ভোজনকারী পাখির দেওয়া তথ্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে মৃতদেহ সনাক্ত করতে সহায়তা করছে৷ ঈগল, শকুন এবং ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো অন্যান্য শিকারী পাখি মানুষের দেহাবশেষের সন্ধানে ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি বলেন, যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই ইউনিটে কাজ করা কিছু সংরক্ষক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিল যে আমার পাখি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারে কিনা।

আরও পড়ুন>> হামাস এবং ইসরায়েল উভয়েই যুদ্ধাপরাধী : জাতিসংঘ

৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অনেককে জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। চলছে স্থল অভিযানও। এতে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পাখির মাধ্যমে মরদেহের অবস্থান শনাক্তের বুদ্ধি এঁটেছিল ইসরায়েলি বাহিনীর মানবসম্পদ শাখার ইআইটিএএন নামের একটি দল। এটি সেনাবাহিনীর মানবসম্পদ শাখার একটি ইউনিট যা নিখোঁজ সৈন্যদের সনাক্ত করে থাকে।

বিপন্ন গ্রিফন শকুন শনাক্তের একটি প্রকল্পের প্রধান ওহাদ। এই শকুনগুলো মূলত মৃত পশুপাখির মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। এ ছাড়া ওই প্রকল্পের আওতায় ইগলের মতো অন্যান্য শিকারি পাখি নিয়েও কাজ করা হয়। সেগুলোও বেঁচে থাকতে মরদেহ খেয়ে থাকে।

গত ২৩ অক্টোবর এমনই একটি ইগল গাজা উপত্যকার কাছে ইসরায়েলের বেরি এলাকায় পাওয়া যায়। ওহাদ বলেন, তিনি ওই ইগলের শরীরে লাগানো ট্র্যাকিং ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে পাঠান। পরে ওই এলাকায় গিয়ে চারটি মরদেহ পাওয়া যায়। অপর একটি ইগল ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আরও কয়েকটি মরদেহ খুঁজতে সহায়তা করেছে।


আরও খবর



গাজায় তিন স্তরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা গাজা সিটির ভেতর প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া, পশ্চিম তীরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে তারা। জাতিসংঘ বলছে, গাজার কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই। অবরুদ্ধ গাজায় স্বাধীনতাকামী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। গাজায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৩শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি।

একের পর এক বোমা হামলায় বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। বাদ যাচ্ছে না পশ্চিম তীরের বেসামরিক এলাকাগুলোও।

গেল রাতে গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহতের তিনটি আবাসিক ভবনে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।

অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলগুলো লাশগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করার চেষ্টা করছে। রাতভর তল্লাশীর নামে আটক করা হয়েছে পশ্চিম তীরের বহু বেসামরিক বাসিন্দাকে। 

আরও পড়ুন>> গাজায় প্রতিদিন নিহত হচ্ছে ১৬০ শিশু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

এছাড়া খান ইউনিস, রাফাহ এবং দেইর আল বালাহ শহরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। রাফাহগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরাইলি হামলার সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলের সেনারা। হামাসের প্রতিটি ঘাঁটি ধ্বংস করা হবে বলে জানান তিনি।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১শ ৬০ জন করে শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে মৃত্যু ও দুর্ভোগের মাত্রা বোঝা কঠিন।

অপরদিকে, গাজার ভেতরে প্রবেশের পর হামাস যোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরায়েলের সেনারা।


আরও খবর



মুক্ত চিন্তা লালন হয় যেখানে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

লাল মাটির ক্যাম্পাস খ্যাত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্প-সংস্কৃতি ও মুক্ত চিন্তা চর্চার গুরুত্বপূর্ণ এক অংশীদার হয়ে উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চ। কৃষ্ণচূড়া আর জারুলের রাজ্যে লাল সিরামিক ইটে তৈরি মুক্তমঞ্চটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র। সারা বছরেই নানা অয়োজনে ব্যস্ত থাকে মঞ্চটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অনুষ্ঠান, হেমন্ত উৎসব, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো কতৃক আয়োজিত বির্তক, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্টে মুখর থাকে মঞ্চটি। অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে মঞ্চ এবং দর্শকসারি হয়ে উঠে গল্প এবং আড্ডার জায়গা। কখনো দলবেঁধে আধুনিক গান, দেশাত্মবোধক গান, আবার কখনোও জারি গান বা কখনো একসাথে বসে স্মৃতিচারণে ব্যস্ত থাকে মঞ্চ।

সারাদিনের ক্লাস পরীক্ষা শেষে অবসর সময় কাটাতে অনেকের পছন্দ মুক্তমঞ্চ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চের দর্শক সারির পাশাপাশি মঞ্চের সামনের খালি জায়গা পূর্ণ থাকে। মঞ্চের সামনের খালি জায়গায় শিক্ষার্থীরা ক্রিকেট  খেলে। মঞ্চের উপর ছাতার মতো ছড়িয়ে আছে কাঁঠাল গাছের শাখা প্রশাখা। গ্রীষ্মে  জারুল ফুল আর শরতে কাশফুল মঞ্চের আশেপাশের জায়গা সাজিয়ে তুলে।

গ্রিক 'অ্যাম্ফিথিয়েটারের' আদলে তৈরি এই স্থাপনা। অ্যাম্ফিথিয়েটার হল একটি উন্মুক্ত গোলাকার বসার জায়গা যা বিনোদন, পরিবেশনা এবং খেলাধুলার জন্য ব্যবহৃত হয়। খোলা আকাশের নিচে বানানো এইসব অ্যম্ফিথিয়েটারকে আমরা মুক্তমঞ্চ বলি। আধুনিক ব্যবহারে অ্যম্ফিথিয়েটার শব্দটি কখনও কখনও একটি থিয়েটার বা কনসার্ট হলের জন্য ব্যবহৃত হয় যার আসনগুলি কেন্দ্রীয় এলাকাকে ঘিরে থাকে।

মুক্তমঞ্চ সম্পর্কে  বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠন 'থিয়েটার কুবি'র সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তচর্চা ও প্রগতিশীল সংস্কৃতির জন্য মুক্তমঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মুক্তমঞ্চ থাকা উচিত। মুক্তমঞ্চে 'থিয়েটার কুবি'র যাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান মুক্তমঞ্চের জায়গাটি পূর্বে ঝোপঝাড়ে ভর্তি ছিল। ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ  সে জায়গা পরিস্কার করে 'থিয়েটার কুবি', 'বাঙালির স্বাধীনতা' নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এর ৬ মাস পর মুক্তমঞ্চ নির্মিত হলে ২৬ সেপ্টেম্বর 'থিয়েটার কুবি'  প্রথম মান্নান হীরা রচিত 'ইনডেমনিটি' নাটকটি মঞ্চস্হ করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাটক ছাড়াও মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাটফর্ম ব্যান্ড এই মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে।

যার প্রচেষ্টায় এ মুক্তমঞ্চ তিনি প্রত্নতত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের জন্য গঠিত সাত সদস্যের কমিটির আহবায়ক ছিলেন।

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো সাদা চোখে দেখা যায় না। আমরা ক্লাস, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিই কিন্তু একটা বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান চর্চার জন্য ভালো লাইব্রেরি গুরুত্বপূর্ণ। একাডেমিক-নন একাডেমিক কালচার ডেভেলপ করার জন্য অডিটোরিয়াম গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ভিত্তিক নানা ধরনের উৎসব অনুষ্ঠান জড়ো হওয়ার জন্য মুক্তমঞ্চ থাকতে হবে। জ্ঞান বা সংস্কৃতি চর্চার জন্য একটা প্লাটফর্ম এবং একটা আরামদায়ক জায়গা লাগবে, যেখানে মানুষ বসে কথা বলতে পারে। মুক্তমঞ্চ হওয়ার পর সেখানে শিক্ষার্থীরা আড্ডা দেয়, নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে যার মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি চর্চা হয়।


আরও খবর