ফুটবল বিশ্বকাপে খেলতে কাতারে যাওয়ার আগে বিপাকে পড়লেন নেইমার। এই ব্রাজিলীয়
তারকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছে ব্রাজিলেরই এক লগ্নিকারী সংস্থা ডিআইএস। ২০১৩
সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনা যাওয়ার সময় যে চুক্তি করা হয়েছিল, তা স্বচ্ছ নয়! এমনকি
ট্রান্সফার ফি নিয়েও নাকি কারচুপি হয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করছে লগ্নিকারী সংস্থাটি।
সোমাবার এই ইস্যুতে স্পেনের আদালতে হাজিরা দেবেন ব্রাজিল ও পিএসজি তারকা নেইমার।
দোষ প্রমাণিত হলে অন্তত ২ বছরের জেল এবং ১০০০ কোটি টাকার জরিমানা হতে পারে ফুটবল
তারকার। ডিআইএস-এর দাবি, নেইমারের ইমেজ স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিকানা তাদের। ২০০৯ সালে
১৭ বছরের নেইমার যখন সান্তোসের উঠতি তারকা, তখন ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমারের স্বত্ব
কিনে নেয় তারা। কিন্তু নেইমার এখন সেটা অস্বীকার করায় মামলা ঠুকে দেন তারা। এই মামলায়
নেইমারসহ দোষীদের ৫ বছরের জেল আর ১৪৪ কোটি টাকা জরিমানা দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কর জালিয়াতির মামলায় নেইমারই একমাত্র আসামি নন। চুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেইমারের
বাবা-মা, বার্সার সাবেক দুই সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমিউ এবং বার্সেলোনা
ও সান্তোসের তৎকালীন কোচকেও দায়ী করা হয়েছে। ডিআইএস-এর আইনজীবী পাওলো নাসের বলেন, নেইমারকে
সর্বোচ্চ দাম হাঁকা ক্লাবের কাছে বিক্রি করা হয়নি। ওকে এর চেয়েও বেশি দামে কিনতে আগ্রহী
ক্লাবও ছিল।