আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বিশ্বকাপে নেই কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের মঞ্চে আম্পায়ারিং করে বেশ নাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান মুকুল। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচেও ছিলেন দুর্দান্ত। যার ফলে এশিয়া কাপের মঞ্চে দুই দলের মধ্যকার দুই সাক্ষাতেই দায়িত্ব ছিল মুকুলের উপর।

কেবল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নয়, ভালো আম্পায়ারিংয়ের পুরস্কার হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনালেও অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশি এই আম্পায়ারকে। সেই সময় তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্য এবার আরও বড়। তবে সেই স্বপ্ন সহসাই পূর্ণ হচ্ছে না বাংলাদেশি এই আম্পায়ারের।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে মুকুল কেন সুযোগ পায়নি কোনো বাংলাদেশের আম্পায়ারই। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের ম্যাচ অফিসিয়ালদের নাম প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। সেখানে নেই কেনো বাংলাদেশির নাম।

ম্যাচ রেফারি হিসেবে এবারের আসরে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, ক্রিস্টোফার ব্রড, ডেভিড বুন ও রঞ্জন মাদুগালে। এদিকে পুরো আসরে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোট ১৬ জন।

তারা হলেন আলিম দার, কুমার ধর্মসেনা, আহসান রাজা, ক্রিস্টোফার গ্যাফানি, জোয়েল উইলসন, মারাইস এরাসমাস, পল রেইফেল, পল উইলসন, মাইকেল গফ, নিতিন মেনন, আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, ক্রিস্টোফার ব্রাউন, রিচার্ড কেটেলবার্গ, রডনি টাকার, ল্যাংটন রুজেরে এবং রিচার্ড লিংওর্থ।

এবারের বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ১৬ অক্টোবর কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের মধ্য দিয়ে। তবে মূল পর্ব শুরু হবে আগামী ২২ অক্টোবর। বাংলাদেশ খেলবে সরাসরি মূল পর্বে।


আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর



সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, সরবরাহ বিঘ্নিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সা‌র্ভিসের পাঁচ‌টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। পল্লী বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফলে কয়েকটি উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগবে।

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে যাতে একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন তৈরি করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রায় স্বস্তির আশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

উত্তরাঞ্চলের এবারের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এজন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হলেও ঈদের সময় তা তিনগুণ বেড়ে যায়। এতে সেতুর উভয় প্রান্তে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন ঘরেফেরা মানুষ।

তবে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থান আমরা চিহ্নিত করেছি। সেগুলো ড্রোন দিয়ে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এবার ঈদে মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি যাওয়া নিশ্চিত করতে এবং ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত এ স্থানগুলোতে জেলা পুলিশের ৭০৩ জনের বিশেষ টিম ও হাইওয়ে পুলিশের ১৫০ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

হাইওয়ে থানার ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গুবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়ক, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক ও ঢাকা-পাবনা মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের ৮৮ কিলোমিটার মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে গঠিত কমিউনিটি পুলিশও কাজ করবে। এতে সড়কে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িকে দ্রুত সড়িয়ে সম্ভব হবে।

যানজট এড়াতে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক খান পাভেল বলেন, যানজটের কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ঈদুল আজহার সময় মোট ৫৯টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, যার ৫৩টিই ঘটেছিলে সেতুর ওপর। সেতুর ওপর কোনো গাড়ি নষ্ট বা দুর্ঘটনাকবলিত হলে ঘটনাস্থলে রেকার নিয়ে যেতেই বেশ সময় লাগে। এজন্য এবার সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশে দুটি রেকার ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থাকবে। শুধু তাই নয়, সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণসহ টোল প্লাজার কাছে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত খাওয়ার পানি রাখা হবে। সবমিলিয়ে এবার উত্তরের মানুষ স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহাসড়কের অবস্থা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। তবে সাসেক প্রকল্পের অধীনে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় কিছু স্থানে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। আশা করা যায় আইন মেনে যানবাহন চলাচল করলে কোনো সমস্যা হবে না।


আরও খবর



৭১ বছর পর এভারেস্টের চেয়ে বড় ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর খুব কাছে আসছে মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে বড় একটি ধূমকেতু। দীর্ঘ ৭১ বছর পর বিরল এই ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনসব্রুকস। এটি খালি চোখেও দেখা যেতে পারে।

১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতরে চলে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে। একে অনেক সময় শয়তান (ডেভিল) ধূমকেতু হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

আগামী ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদেরা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং ছবি তুলছেন। আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ১৪ কোটি ৪০ লাখ মাইল।

আগামী ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে সূর্যগ্রহণ থাকায় ওই সময় এটি সেখান থেকে দেখা যেতে পারে। অন্য ধূমকেতুর মতোই ১২পি/পনস-ব্রুকস মূলত ধূলি, বরফ ও ধাতব পদার্থের তৈরি। সূর্যের কাছাকাছি গেলে তাপে সেখান থেকে গ্যাস বের হয় এবং ধূলিকণা মিশে ধূমকেতুর বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সৌরবায়ুর কারণে ধূমকেতুর একটি লেজ সৃষ্টি হয়।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪