এশিয়া কাপ সামনে রেখে মিরপুর শেরেবাংলা
স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন সাকিব আল হাসান। শনিবারের
(২৬ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, বিশ্বকাপ এখনো তার কাছে দূরের ছবি। আপাতত ভাবনাটা
শুধু শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ নিয়ে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে গ্রুপ
পর্বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি নিয়েই।
সাকিব বলেছেন, ‘এখন সবকিছুতেই
এশিয়া কাপের ভাবনা। আরও ছোট করে বলতে গেলে, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে ভাবছি। বিশ্বকাপেরটা
পরে ভাবা যাবে।’ অন্য এক প্রশ্নের
উত্তরে সাকিব বলেন, ‘দুটি আলাদা টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপে ভালো
করলে বিশ্বকাপ ভালো হয়ে যাবে, এমন নয়। খারাপ করলেও খারাপ হয়ে যাবে না।’
তারপরও বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ আসেই। ২০১১ সালেও
সাকিবের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলাদেশ দল। সেই সাকিব আর এই সাকিবে যে বিরাট পার্থক্য,
সেটি আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সাকিবও আজ এ নিয়ে বিশেষ কিছু বললেন না, ‘বিশ্বকাপ…যদিও অনেক অল্প
বয়স ছিল। এখন যেহেতু অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা আছে, সেদিক থেকে অনেক ভালো একটা দল। আমাদের
ভালো করার সম্ভাবনাটাও অনেক বেশি।’
এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে কালই
দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তার আগে দলের সঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ হয়নি তার। সতীর্থদের
সঙ্গেও কথা বলতে পেরেছেন মাত্র একবার। সাকিবের কাছে অবশ্য এটাকে কোনো সমস্যাই মনে হচ্ছে
না, ‘আমার খুব বেশি
একটা কথা বলতে হয়নি। আমাদের দলে যাঁরা আছেন, বেশির ভাগকেই আমি অনেক দিন ধরে চিনি। বেশির
ভাগই আমার অধীনে খেলেছেন, না হয় আমি তাঁদের অধীনে খেলেছি। মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা
যে কঠিন হবে, তা আমার মনে হয় না।’
দলে কিছু নতুন ক্রিকেটার থাকলেও সাকিবের
আস্থা আছে সবার ওপরেই, ‘কিছু নতুন খেলোয়াড় এসেছে। আমার সম্পর্কে
ওদের ধারণা আছে। মানিয়ে নিতে খুব একটা কষ্ট হবে না। সবাই জানে, কার কী করতে হবে। আমরা
যে সংস্কৃতি তৈরি করার চেষ্টা করছি, সেদিক থেকে যার যে দায়িত্ব, তা সবাই বোঝে।’