আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বের যে স্থানে রাত হয় না!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

বিশ্বের বেশ কয়েকটি স্থোন আছে যেখানে সূর্যের দেখা পাওয়াই মুশকিল। আবার এমনও কিছু স্থান আছে যেখানে সূর্য অস্ত যেতেই ভুলে যায়। বিশ্বে এমন কয়েকটি স্থান আছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্তই কখনো কখনো দিন থাকে। সেসব স্থান কখনো পুরোপুরি অন্ধকার হয় না। দিনের পরিমাণই হয় সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ টানা ২৪ ঘণ্টাই সেখানে আপনি কেবল দিন দেখতে পাবেন। জেনে নিন সেসব অদ্ভুত জায়গার তালিকা-

ইউমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ওয়ার্ল্ড মেটিওরো লজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মতে, ইউমা (অ্যারিজোনা) হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনযুক্ত স্থান। এখানে শীতকালে মোট ১১ ঘণ্টা ও গ্রীষ্মে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়। এর মানে হলো, ইউমা বছরে গড়ে চার হাজার ১৫ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এখানকার ৯০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা শুষ্ক জলবায়ুর সম্মুখীন হন। এই স্থানে বৃষ্টিপাত ২০০ মিলি মিটারের বেশি হয় না ও তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে।

ফিনিক্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: পৃথিবীর দ্বিতীয় রৌদ্রজ্জ্বল স্থান হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স। সেখানেও সূর্য অস্ত যায় না। ফিনিক্স কিন্তু আসলে অ্যারিজোনার রাজধানী। এই স্থান বছরে ৩ হাজার ৮৭২ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এ কারণে স্থানটি সূর্যের উপত্যকা নামে পরিচিত। এই স্থানের জনসংখ্যা প্রায় দেড় মিলিয়ন। জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে এখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে চলে যায়। ১৯৯০ সালে এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড ৫০ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছেছিল।

আসওয়ান, মিশর: নীল নদী উপত্যকা সম্পর্কে কথা বলা জরুরি। মিশরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আসওয়ান আফ্রিকার সবচেয়ে রৌদ্র করোজ্জ্বল শহর। সেখানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সূর্যের আলো থাকে। প্রতিবছর প্রায় সূর্যের আলো থাকে প্রায় ৩ হাজার ৮৬৩ ঘণ্টা। এখানকার প্রাচীন শহর এলিফ্যান্টাইন হেলেনিস্টিক যুগ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল।

রাজুকান, নরওয়ে: নরওয়ের দক্ষিণে একটি উপত্যকায় অবস্থিত ছোট গ্রাম রাজুকান। এর প্রাকৃতিক সম্পদ নানা কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে রাজুকান এলাকাটি বছরের ৬ মাস সূর্যের আলোও দেখতে পায় না। সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে কম পড়ে।

ব্যারো, আলাস্কা: আলাস্কার এই ব্যারো অঞ্চলে সূর্য অস্ত যায় না। তবে নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০ দিন সূর্যের বিন্দুমাত্র আলোও দেখা যায় না। এই স্থান পোলার নাইটস নামেও পরিচিত। প্রচণ্ড শীতেও এই অঞ্চল পুরোপুরি অন্ধকারে ঢাকা থাকে। তুষারে ঢাকা পাহাড় ও মনমুগ্ধকারী হিমবাহ দেখতে যেতে পারেন বিখ্যাত আলাস্কার ব্যারোতে। গ্রীষ্ম বা শীতকাল যে কোনো সময়ই সেখানে যেতে পারেন পর্যটকরা।

নিউজ ট্যাগ: ইউমা ব্যারো

আরও খবর



ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ২, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলা জেলার লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায়  আজ সকালে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক বাড়ি-ঘর, গাছপালা, বিদ্যুৎ লাইন, মাঠের ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ আকস্মিক ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় ঘর চাপা পড়ে হারিস (৬৮) ও বজ্রপাতে বাচ্চু (৪০) নিহত হন।

নিহত দুজনের পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার করে  মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজকের ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বদরপুর ইউনিয়নে হারিস ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন। তার বাড়ি ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে। তিনি ভিক্ষা করতেন। এছাড়া  চরভুতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে বাচ্চু নামে একজন নিহত হয়েছেন।

তিনি জানান, লালমোহন উপজেলায় বেশ কিছু বাড়িঘর আংশিক ও সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় নিহত দুজনের পরিবারকে জনপ্রতি ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রচুর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তজুমদ্দিন, মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি জানান,  ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে লালমোহন উপজেলায় ৮ মেট্রিক টন চাল, মনপুরায় ৫ মেট্রিক টন চাল ও তজুমদ্দিনে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।


আরও খবর



মোজাম্বিকে নৌকা ডুবে ৯০ জনের বেশি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ১৩০ জন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেছে। 

নামপুলার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে দেশটিতে দেখা দেওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে নিহতরা অন্য কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি সৈকতে বেশ কজনের লাশ পড়ে আছে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

গত বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউনিসেফের হিসেবে, চলামন প্রাদুর্ভাব গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে অন্তত ১৩ হাজার ৭০০ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।


আরও খবর



আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরজাহান বেগম হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের ফুফাতো ভাই তৌহিদুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আমার ফুফি, এমন সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এক পা ভেঙে যায় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার ফুফিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটনার পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে করা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বহুদিনের দাবি ছিল বেতন বৃদ্ধির। এই দাবির সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি তাদের কথা শুনেছি, কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি কাজ করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজে ফাইল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী ফাইল গ্রহণ করেছেন এবং অতি দ্রুত দেশের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুরাহা করতে উদ্যোগ নিবেন বলেছেন। আমি ইন্টার্নি চিকিৎসকদের প্রতি এটাই বলতে চাই, তারা আন্দোলন না করে চিকিৎসা শিক্ষার কাজে মনোযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি ফাইল গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দ্রুত আপনাদেরকে ভালো খবর দিতে পারব।

এর আগে দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে বিশেষ সভায় আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধ্যক্ষ, পরিচালকসহ পেশাজীবী চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ওয়াহেদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), বিএমএ সভাপতি ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ এর নবনিযুক্ত ভিসি ডা দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ সহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা তাদের দাবিগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, প্রতিবছর এক হাজার টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, চিকিৎসকদের ঝুঁকি ভাতা রাখা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ করাসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরেন।

সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার মনোভাবের কথা তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কোনো ভাতা দেবার নিয়ম ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ করে ২০২১ সালে ভাতা ব্যবস্থা চালু করেন। ভাতা বৃদ্ধি করা নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দ্রুতই একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা করবেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান বলেন, ইন্টার্নি চিকিৎসকদের দাবির বিষয়টি আমরা অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে গ্রহণ করেছি। যদিও বর্তমানে গোটা বিশ্বেই আর্থিক সংকট চলছে, তবুও সরকার ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধি করতে আন্তরিক রয়েছে।


আরও খবর



সোয়া ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ডেমরার আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় একটি ভবনে কাপড়ের গুদামে লাগা আগুন সোয়া আট ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (মিডিয়া) রায়হানুল আশরাফ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে এখন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়।

এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সকালে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আগুন পুরোপুর নেভাতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন ছড়িয়েছে।

আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

নিউজ ট্যাগ: ডেমরা

আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪