চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ শতাধিক
মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে তিন লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে
রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, রাশিয়া, ইতালি, জাপান,
ফ্রান্স ও ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ কোটি ১৮
লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার।
শুক্রবার (২১
অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৯২২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় আড়াইশো। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫২১ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৯৩ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন
৬৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৮
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৬ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৫৬ জন এবং মারা গেছেন ১৬৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
১০ লাখ ৯২ হাজার ৪০০ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৯০ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার
১৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৬ জনের। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮০৮ জন এবং মারা গেছেন ৯২ জন।
জাপানে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ১১০ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৮ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৬ হাজার ৮৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৬৯ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৭
হাজার ৫৪৪ জনের।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৬০ জন এবং মারা গেছেন ৮৪ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৩
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার
২২৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।