চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে নতুন
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেড়
হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও
রয়েছে সোয়া চার লাখের ওপরেই।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে
রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, স্পেন, রাশিয়া
ও ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখের ঘর।
অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ২৮ হাজার।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন এক হাজার ৫২০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পৌনে
চারশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে
আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮৯ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৭৯ জন এবং মারা গেছেন ১৭০ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩১২ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৩ হাজার ৩৪৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩০১ জন এবং মারা গেছেন ২৭০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ১৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
১০ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৩২ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯২ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৯১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৪৮১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৫
হাজার ৩৫০ জনের।
ফ্রান্সে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৪৬ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন
এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৫৭ জন।
ইতালিতে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৬২ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২১ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৫
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার
৬৭০ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৫৯ হাজার ৩৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
২ কোটি ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৭ জনের। একইসময়ে স্পেনে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৮ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।