চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ হাজারের
বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সোয়া ২০ লাখের
মত।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া,
ভারত, স্পেন, পোল্যান্ড, মেক্সিকো, স্পেন ও ইতালি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের
সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ কোটি ৯৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৮০ হাজার।
শুক্রবার (১৮
ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ১১ হাজার ১৪২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াইশো।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৬১৩ জন এবং মারা গেছেন ২৪৪ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪১
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৪৪৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪
ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ১১৭ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ৪১০
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩০ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন
১ লাখ ৮০ হাজার ৬২২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৫০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৭৩ জনের। একই
সময়ের মধ্যে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ২১৩ জন এবং মারা
গেছেন ৩৬০ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১২৯ জন এবং নতুন
করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ২৬৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬
লাখ ৪১ হাজার ৯৯৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের
সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৪৯৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭০৭ জন। মহামারির শুরু
থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ২২ জন এবং মারা
গেছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৯৩৭ জন।
যুক্তরাজ্যে গত
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৯৯ জন এবং মারা গেছেন ১৮৩
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ২২১ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৫৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৪০৬ জন এবং মারা গেছেন ২৫৮ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৯০ জন এবং মারা গেছেন ৩২০ জন।
এছাড়া করোনায়
আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ৩১৬ জন, কানাডায় ১৩২ জন, আর্জেন্টিনায় ১৫৯ জন,
গ্রিসে ৯৪ জন, ইরানে ১৮২ জন, জাপানে ২৫৩ জন, রোমানিয়ায় ১২২ জন, চিলিতে ২০১ জন, দক্ষিণ
আফ্রিকায় ৪৩৫ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২০৬ জন, হাঙ্গেরিতে ১১৫ জন এবং ভিয়েতনামে ৯০ জন মারা
গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৫২০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ
পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ১২৮ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০
জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।