আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বে করোনায় আরও ১৫০৩ মৃত্যু, শনাক্ত কমেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১ হাজার ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ২৬ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩১২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত কমেছে প্রায় ২০ হাজার।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪২০ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৩৭ জন এবং মারা গেছেন ২৩০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৪২৭ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৩০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ২৬৯ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৪৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৬ জন। এ সময়ে ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। কলম্বিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১০৩ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৬৮ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮০ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।


আরও খবর



অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি।

সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’

তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জান্নাতীর বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীর বাবা আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের নিজাম মীরের প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতী আক্তার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। জান্নাতী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা ফাতেমা বেগমকে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলটমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী প্রতিক্ষণে আমন্ত্রণ পায়। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের মাকে প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে তার বোনকে ভূয়া প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বানিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জান্নাতির বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে যাকে পাঠিয়েছি তার ফরোয়াডিং চেয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ফরোয়াডিং এনে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



হামাসের পাল্টা হামলায় নাস্তানাবুদ ইসরায়েলি সেনারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় আট মাস ধরে চলা ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। হামাসের দাবি না মানায় দীর্ঘ মেয়াদি প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন।

শুক্রবার ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য হামাস প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনটি সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড।

ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, জনগণের ওপর আগ্রাসন থামাতে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে শক্তিক্ষয়ের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’

আবু ওবায়দা ঘোষণা করেন, গত ১০ দিন ধরে আল-কাসসাম যোদ্ধারা গাজা উপত্যকাজুড়ে লড়াইয়ে ১০০ ইসরাইলি সামরিক যানকে টার্গেট করেছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলো প্রকাশ করছে না।

তিনি বলেন, আমরা তাদের (ইসরাইলি বাহিনী) একটি জলাভূমিতে টেনে নিয়ে যাচ্ছি যেখানে তারা তাদের সেনাদের মৃত্যু এবং তাদের অফিসারদের বন্দি করা ছাড়া আর কিছুই পাবে না।’

আবু ওবায়দা দাবি করেন, আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা পূর্বাঞ্চলীয় রাফা নগরীতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর ভয়াবহ আঘাত হেনেছে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে গাজায় হামাসের সঙ্গী হয়েছে ইসলামিক জিহাদর কমান্ডোরা। সেই সঙ্গে আরও ক্ষেপেছে লেবাননভিক্তিক সামরিক গোষ্ঠি- হিজবুল্লাহ। তাদের বিপজ্জনক সব আক্রমণে এখন ত্রাহি মধুসুধন অবস্থা ইসরাইলি সেনাদের। ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসরাইলকে গাজা ছাড়তে প্রতিদিনই ভয়ঙ্কর সব হামলা চালাচ্ছে হাসান নাসরুল্লাহর শিষ্যরা। ছারখার হচ্ছে ইসরাইলি ঘাঁটি।

টাইমস অব ইসরাইল বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারে গাজায় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নের একটি দিন কাটিয়েছে। গাজার উত্তর হামাসের যোদ্ধারা যেমন তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, ঠিক সমানভাবেই লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরাইলের ভেতরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হিজবু্ল্লাহ। এর মধ্যেই নিজেদের যুদ্ধবিমান থেকে নিজেদের সামরিক এলাকাতেই বোমা ফেলেছে ইসরাইল।

আইডিএফ বলছে, শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিমান থেকে একটি আধা টন বোমা গাজা সীমান্তে ইয়াতেদ সম্প্রদায়ের এলাকায় গিয়ে পড়ে। তবে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়নি। ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক বলে বর্ণনা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। যুদ্ধবিমানটি রাফাহ শহরে হামলা চালিয়ে ফেরার সময় এমন সেইম সাইড’ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অবিস্ফোরিত অস্ত্রটি ইসরাইলি বাহিনী সংগ্রহ করেছে।

এমন ঘটনা আরও ঘটেছে। আইডিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে একটি ইসরাইলি সামরিক ড্রোন উত্তরাঞ্চলীয় মাজদাল শামস শহরে বিধ্বস্ত হয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ড্রোনটি আকাশ থেকে পড়ে যায় বলে দাবি করা হচ্ছে। ড্রোনটি স্থলভাগে সামরিক চলাচল নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হামাসের দাবি, স্কাই রাইডার হিসাবে পরিচিত ড্রোনটি তাদের রকেটের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি সেই ট্রেনের উদ্ধার অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৩ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগি রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।


আরও খবর



দাবদাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের কয়েকটি জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অর্ধশত জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। চলমান এই গরম চলতি মাসে কমার সম্ভবনা নেই বলে বলে জানিয়ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে দাবদাহে প্রতিদিনই 'হিট স্ট্রোকে' মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


আরও খবর