আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ তলা থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ৭ তলা থেকে পড়ে ইমাম হোসেন (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পরে গুরুতর অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সকাল ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইমাম হোসেন লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

নিহত ইমাম হোসেন ভোলা লালমোহন উপজেলার আক্তার হোসেনের ছেলে এবং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ৯৮নং পূর্ব রাজাবাজারে একটি মেসে থাকতেন। আজ সকালে তার তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাডমিন অফিসার ফয়সেলুজ্জামান জানান, সকালে ইমাম হোসেন যখন ভার্সিটিতে ঢুকছিলেন তখন শুনতে পান ভবন থেকে এক শিক্ষার্থী নিচে পড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ভার্সিটির সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ৯ তলা ভবনটির ৭ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন ফয়সেলুজ্জামান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তিনি লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। তদন্তের জন্য ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জিআই পণ্যের তালিকায় উঠছে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বসন্তময় ঋতু বৈচিত্র্যের এই ফাগুনে আমগাছের থোকায় থোকায় ভরা মুকুলে স্বপ্ন বুনছেন রংপুরের চাষিরা। বছরের নির্দিষ্ট এই সময় জুড়ে তাই চাষি তো বটেই, কম-বেশি সব শ্রেণির মানুষের দৃষ্টি থাকে সবুজ পাতায় ঢাকা আমগাছের শাখা-প্রশাখায়। প্রকৃতি বৈরি না হলে এবারও সাধারণ আমের পাশাপাশি হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন উত্তরের চাষিরা। এদিকে শতরঞ্জির পর এবার জিআই পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বিখ্যাত আম হাঁড়িভাঙা।

সম্প্রতি রংপুর সদরের পালিচড়া, বদরগঞ্জের শ্যামপুর, মিঠাপুকুরের খোড়াগাছসহ বিভিন্ন এলাকা যেতে দেখা মিলে সারি সারি গাছ। রাস্তার দুপাশে যেন হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের সবুজ বিপ্লব। ধানসহ বিভিন্ন ফসলি জমির আইলে আইলে লাগানো হয়েছে আমের গাছ। বাদ পড়েনি বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা, পুকুরপাড়, বাড়ির উঠান। এখন বসন্ত বাতাসে আম গাছে দোল খাচ্ছে হাঁড়িভাঙা আমের মুকুল। সদ্য মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন শুধু বিস্তৃত গ্রামীণ জনপদেই নয়, শহরের গাছে গাছেও সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। একই চিত্র মিঠাপুকুরের আখিরাহাট, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গোপালপুর, নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর সদরের সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়িসহ আশপাশের এলাকাতেও।

ইতোমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হাঁড়িভাঙা আম এখন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার খবরে আনন্দিত এই অঞ্চলের মানুষ। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে গত বছর বাংলাদেশ সরকার ভারত, ব্রিটেন, তুরস্ক ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও হাঁড়িভাঙ্গার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাঁড়িভাঙা আমের দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা কাটছে না চাষি এবং ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছর কম বেশি শত কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয় হাঁড়িভাঙা আম। কিন্তু পদাগঞ্জ হাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। তারা মনে করছেন, সঠিক সময়ে আম বাজারজাত ও পরিবহন সুবিধা বাড়ানো না গেলে অনেকেই লোকসানে পড়বেন।

হাঁড়িভাঙা আমের গোড়াপত্তন করেছিলেন খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের নফল উদ্দিন পাইকার নামে এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ। স্বাধীনতার আগের বছর ১৯৭০ সালে নফল উদ্দিন ১২০ বছর বয়সে মারা যান। এখন তার লাগানো হাঁড়িভাঙা গাছটির বয়স ৬৮ বছর।

মাতৃগাছটির সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন পাইকার বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাঁড়িভাঙা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

একই ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের আমচাষি শাহ্জাহান মিয়া। বছর দশেক আগেও তিনি শুধু ধান, ভুট্টা আর পাটচাষ করতেন। কিন্তু গ্রামে হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের বাগানের পর বাগান দেখে তিনিও আমের বাগান গড়ে তোলেন।

অর্থনৈতিকভাবে লাভবান এই আমচাষি বলেন, এবার আমের মুকুল ভালো হইচে। খালি হামার গ্রামোতে নোয়ায় এ্যলা হাঁড়িভাঙ্গা আম বালুয়া, শ্যামপুর, হেলেঞ্চ, পাইকারেরহাট, জারুল্লাপুর, খোঁড়াগাছ, গোপালপুর, সরদারপাড়া, লালপুর, পদাগঞ্জ, দুর্গাপুরসহ কয়েকটা গ্রামোত চাষ হওচে। গ্রামোত একটা বাড়িও খুঁজি পাওয়া যাবার নায় যে বাড়ির খুলিত হাঁড়িভাঙার গাছ নাই।

হাঁড়িভাঙা আমকে ঘিরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে রংপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায়। বিশেষত মিঠাপুকুরের লালপুর, পদাগঞ্জ, তেকানিসহ আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকরা এখন আম ব্যবসায় জড়িয়ে বেকারত্ব দূর করেছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবে হাঁড়িভাঙার বাজার সম্প্রসারণ ও চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন।

আখিরাহাটের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ১৯৯২ সাল থেকে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ করে আসছেন। শুধু চাষবাদ নয়, এই অঞ্চলের হাঁড়িভাঙা সম্প্রসারণে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার হাত ধরেই এ অঞ্চলের মানুষ এখন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভের আশায় জেলার উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে প্রতি বছর হাঁড়িভাঙা আম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমি প্রায় ৩৪ বছর ধরে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ করছি। আমাকে দেখে এখন রংপুরে কয়েক লাখ  হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রোপণ করেছে আমচাষিরা। আমার ২৫টির বেশি বাগান রয়েছে। এ রকম অনেকের আম বাগান রয়েছে। পুরো জেলায় এখান প্রতি বছর প্রচুর আম উৎপাদন হয়। টেকসই অর্থনীতির জন্য আমি শুরু থেকেই  হাঁড়িভাঙা আমের সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন, আধুনিক আমচাষ পদ্ধতি বাস্তবায়ন, গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ  হাঁড়িভাঙাকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছিলাম। সরকার একটু দৃষ্টি দিলেই হাঁড়িভাঙাকে ঘিরেই এই অঞ্চলের অর্থনীতি আরও সচল হবে।

কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে পরিপক্ক হাঁড়িভাঙা আম। এর আগে বাজারে হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া গেলেও তা অপরিপক্ক হবে। হাঁড়িভাঙার প্রকৃত স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। বর্তমানে বাগানগুলোতে পরিচর্যা চলছে। নির্ধারিত সময়ে আম বাগান মালিক ও চাষিরা গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পারতে পারবেন। এরপর থেকে শুরু হবে বাজারজাত।

গত বছরের চেয়ে এবার হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

তিনি বলেন, ঠিক গত অর্থবছরে রংপুর অঞ্চলে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের আবাদ হয়েছিল। গতবছরের চেয়ে এই বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি আসবে। কারণ গতবছর যেই বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এই বছরে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রংপুরে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। হাঁড়িভাঙার সবচেয়ে বড় যেটা খবর সেটা হচ্ছে বিগত কয়েকবছর যাবৎ আমরা এই পণ্যটাকে কৃষি বান্ধব সরকারের যে বিভিন্ন কৃষি পণ্য জেলায় জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা হতে যাচ্ছে তার প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখেছি।

অন্যদিকে উত্তরের অর্থনীতিতে হাঁড়িভাঙা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে জানান রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রতি বছর হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়। এবার হাঁড়িভাঙা আম নিয়ে সুখবর রয়েছে। কারণ জিআই পণ্য ঘোষণা হওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত ভালো খবর পাব আশা রাখি।

তিনি আরও বলেন, এটার কার্যক্রম প্রায় সমাপ্তের পথে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হাঁড়িভাঙার আম জিআই পণ্যে রূপান্তরিত হওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা আসবে।


আরও খবর



শিশুর সামনে যে কাজগুলো কখনোই করবেন না

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার আশায় আজকাল বাবামায়েরা শিশুদের নিয়ে মজার মজার ভিডিও তৈরি করেন। মজাচ্ছলে এমন ভিডিও বানালেও এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে শিশুর ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন, অনেকে শিশুকে বড়দের মতো আচরণ করতে শেখায়। বকাঝকা করা, রাগ দেখানো, কাউকে নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করা ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ অনুকরণ করতে উৎসাহিত করেন। শিশুকে এভাবে বড়দের মতো আচরণ করতে দেখে দর্শকেরাও মজা পান।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবামায়ের এমন আচরণ এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু জিনিস বাবামায়ের কখনই শিশুদের সামনে বলা বা করা উচিত নয়। বাবামা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। তাই শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে বাবামাকে খুব সতর্ক হতে হবে। বাবামার জানা উচিত, কীভাবে শিশুরা তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অনুকরণ করে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা হয়।

শিশুদের সামনে কখনোই বলা বা করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:

১. চেহারা নিয়ে মন্তব্য

শিশুদের কিন্তু আত্মসম্মান বোধ আছে। মুখের সামনে ওদের চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অন্যদের সামনে সন্তানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিব্রত করা সবচেয়ে উদ্ভট কাজ। আপনি যদি চান, আপনার সন্তানেরা স্মার্ট, স্বাস্থ্যবান হোক, নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুক, তাহলে তাকে পুষ্টিকর খাবার দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করান। কিন্তু নামডাক কামানোর ধান্দা করা মোটেও সঠিক কাজ নয়।

২. অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা

বাবাময়েরা মাঝে মাঝে শিশুদের সামনে যেসব কথা বলেন বা গসিপ করেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। আপনি যখন অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন বা তাদের সামনে অন্যদের নিয়ে নেতিবাচক গসিপ করেন, তখন শিশুর সামনে ভালো দৃষ্টান্ত তুলে ধরছেন না।

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শিশু এসব শোনা কথা প্রকাশ করে দিলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে? অন্যের সামনে আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে?

৩. শিক্ষা সম্পর্কিত অর্জন নিয়ে নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা

স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করেছে বলে তাকে কখনোই তোমাকে নিয়ে আমি খুব হতাশ! এ ধরনের কথা বলবেন না। শিশুকে এমন কথা বলা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এতে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর পড়াশোনায় মাঝেমধ্যে গোলমাল হতেই পারে। এবার পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। দেখবেন, হয়তো সে কিছু বিষয়ে ভালোও করেছে। চেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করুন। সামনে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত করুন।

৪. সব সময় ব্যঙ্গ করা

শিশুরা কটাক্ষ বোঝে না। কিন্তু আমরা যখন রাগে চিৎকার করি তখন তারা ঠিকই বুঝতে পারে না। শিশুরা মানুষের আচরণ বুঝতে পারে। কিন্তু আচরণের কোনো বিষয়ের ভুল অর্থ করলে সেটি তাদের বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

৫. শিশুর সামনে তর্ক বা ঝগড়া করা

দম্পতির মধ্যে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সামনে তর্ক করা মোটেই ইতিবাচক অভিভাবকত্বের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়। মতবিরোধের সময় আক্রমণাত্মক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শিশুদের কাছ থেকে আড়ালে গিয়ে দুজনে মিলে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর সমাধান করুন।

৬. গ্যাজেটে বেশি সময় ব্যয় করা

যদি বুঝতে পারেন যে সন্তান গ্যাজেটের (ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/ল্যাপটপ) সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করছে, তাহলে খেয়াল করুন আপনিও গ্যাজেটের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সেটি তারা খেয়াল করছে কি না। শিশু মনোবৈজ্ঞানিকেরা সব সময়, ফোন বা ট্যাবলেট একপাশে রেখে বই পড়ার, বাইরে খেলাধুলা করার এবং তাদের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা উপভোগ ও শেয়ার করার পরামর্শ দেন।

৮. অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে মজা করা এবং উত্ত্যক্ত করা

সন্তানকে অন্যের সামনে উত্ত্যক্ত করাটা অনেকের কাছে মজার বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সে মনে আঘাত পেতে পারে। এতে আপনার শিশু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং জীবনের অনেক বাস্তবতা নিয়ে ভীতি বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। শিশুদের কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করবেন না বা শিশুদের লজ্জা দেবেন না। এটি তাদের আগামী জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৯. মেজাজ হারানো

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। আর সন্তান লালনপালনের চাপ থেকে রাগবিরক্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে আপনি যখন আপনার শিশুর সামনে রাগ প্রকাশ করেন, সেটি তার জন্য নেতিবাচক হতে পারে। প্রতিবার আপনি মেজাজ হারাবেন, আর তার মনে ভীতি তৈরি করবেন; তখন সে আপনার কাছে যেতে ভয় পাবে।

১০. সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা

বাবামা সন্তানদের রোল মডেল। আপনি কীভাবে আচরণ করেন, সেটি তারা খুব গভীরভাবে খেয়াল করে, এটি সরাসরি তাদের প্রভাবিত করে। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা আপনার সন্তানের মনে খারাপ ছাপ ফেলে। আপনি অন্য লোকেদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন তারা একইভাবে আচরণ করতে শুরু করবে। এটি তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে। এর জন্য তারা উপহাসের শিকার হতে পারে। ইতিবাচক প্যারেন্টিং হলো সদয়, শান্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা।

১১. সঙ্গীর নামে কুকথা বলা

শিশুদের সামনে সঙ্গীর নামে কুকথা বলা বা কটূক্তি করা কখনই ঠিক নয়। কারণ তারা এটি বুঝতে পারে না। তারা অজান্তেই আপনাকে অনুকরণ করতে শুরু করবে এবং এটি মজার ব্যাপার মনে করে একই আচরণ করতে শুরু করবে। একপর্যায়ে কটূক্তি করা তার অভ্যাসে পরিণত হবে।

১২. তুলনা

শিক্ষা, খেলাধুলা বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপগুলোতে আমরা প্রায়ই শিশুদের অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করি। বাবামায়েরা ভুলে যান যে, তাদের উচ্চ প্রত্যাশা সন্তানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বাবামায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে শিশুর জন্য সেটি হতাশার কারণ হতে পারে। প্রতিটি শিশু ভিন্ন এবং বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হয়। এমনকি তাদের ছোট অর্জনেও প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

১৩. ধূমপান বা মদ্যপান

শিশুদের সামনে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তারা অল্প বয়সে গোপনে এ ধরনের অভ্যাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে। আপনি যখন ধূমপান করেন, এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আপনার শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, কানের সংক্রমণ ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

১৪. উৎকোচ দেওয়া

এই কাজ করলে তোমাকে এই উপহার দেব, পরীক্ষায় ভালো করলে তোমার ওই আশা পূরণ করবএমন কাজ অনেক বাবামায়েই করেন। এভাবে উৎকোচ দেওয়ার চর্চা শিশুকে সম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধ শেখাতে ব্যর্থ হয়। কার্যকর প্যারেন্টিং হলো, শিশুর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া এবং তার অর্জনের প্রশংসা করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা।

মনে রাখতে হবে, আপনার শিশুর মন অত্যন্ত কোমল এবং তারা নির্ভেজাল হৃদয়ের অধিকারী। অন্যায় এবং অধিকার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই; তাদের সেই জ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




পাপুয়া নিউগিনিতে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ মার্চ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত অংশে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) গভীরতায় আঘাত হনে ভূমিকম্পটি। যদিও ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আম্বুন্টি থেকে ৩২ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।

প্রসঙ্গত, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

নিউজ ট্যাগ: পাপুয়া নিউগিনি

আরও খবর



আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে অভিনব কৌশল টিকটকের

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধ করতে একটি বিল পাস করেছে দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। এখন উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হওয়ার অপেক্ষা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহারকারীদের প্রতি সিনেটরদের কাছে ফোন করার আহ্বান জানিয়েছে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, টিকটকের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের কাছে নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে। এতে কোম্পানিটি বলছে, আপনার সিনেটরকে জানান টিকটক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। টিকটক নিষেধাজ্ঞায় না ভোট দিতে বলুন।

গত বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে টিকটক নিষিদ্ধের বিল পাস হয়। প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগেও কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছিল জনপ্রতিনিধিদের কল করতে।

এদিকে মার্কিন আইন প্রণেতারা আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। কারণ, প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের আগে জনপ্রিতিনিধিদের অফিসগুলোয় ফোন কলের বন্যা বয়ে গিয়েছিল।

নোটিফিকেশনের পাশাপাশি সিনেটরদের সহজে কল দেওয়ার ব্যবস্থাও যুক্ত করে দিয়েছে টিকটক। প্ল্যাটফর্মটিতে কল নাউ বাটন যোগ করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এ বাটনে ট্যাপ করে জিপ কোড দিলেই অ্যাপটি নিজে থেকে ওই অঞ্চলের সিনেটরের অফিসের নম্বর খুঁজে বের করবে।

আমেরিকায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করছে। টিকটক নিষিদ্ধের বিলটি পাস হলে, অ্যাপটি ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে অথবা টিকটককে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে।


আরও খবর



এসব ফাজলামি, ব্যাপারটা দেখছি আমি: পাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এরপর বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেন তামিম। পরে সেখানে খোলাসা করেন সেই ফোনালাপের নেপথ্যের কাহিনী।

তামিম লাইভে আসেন মিরাজসহ আরও দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে। লাইভে যুক্ত ছিলেন-আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর আহমেদ মিশুকও। মূলত, নগদের প্রচারকে কেন্দ্র করেই মঞ্চায়িত হয়েছে মিরাজ ও তামিমের ফোনালাপ।

লাইভে এসে তামিম জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে একটি ক্যাম্পিং শুরু হয়েছে নগদের। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ জন গ্রাহককে উপহার দেওয়া হবে জমি। তবে শর্ত হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনে জিততে হলে দুজন বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে। সেই দলেই তিনি রেখেছিলেন। তবে দল থেকে বের হয়ে গেছেন মুশফিক। এটিই ভাইরাল সেই ফোনালাপের কাহিনী।

মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টিভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে দাবি করেছিল, তামিম ইকবালের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা তারা পেয়েছে। সে ফোনালাপে তামিমকে মিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। সর্বশেষ বিপিএল-জয়ী ফরচুন বরিশাল দলে থাকা সতীর্থের কাছে দলটির আরেক সদস্য মুশফিকুর রহিমের নামে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে।

অবশ্য জাতীয় দলকে টেনে এনে এমন বিতর্কিত বক্তব্য সম্বলিত ফোনালাপ বিজ্ঞাপনের অংশ হলেও তাতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সমর্থকরা বিষয়টি ভালোভাবে নেননি।

বুধবার (২০ মার্চ) তামিমের ফেসবুক লাইভ শেষ হওয়ার পর একটি সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য জানতে চায়। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা যে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তার প্রমাণ মেলে পাপনের কথায়। বিরক্তি প্রকাশ করে পাপন বলেন, এসব ফাজলামি, আমি কী বলব? ব্যাপারটা দেখছি আমি।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪