আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গণভবনের দরজা খোলা।

কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না। শনিবার গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে এক দফা দাবি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা সরকার পতনের দাবিতে অসহযোগের ডাক দিয়েছে।

এরপর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে গণভবনে মতবিনিময়সভা করছেন।


আরও খবর



ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা তোলা যাবে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ব্যাংকের শাখায় টাকা স্থানান্তরে সমস্যা হচ্ছে। সে জন্য এক হিসাব থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। চেকের মাধ্যমে লেনদেন তদারকি জোরদার এবং সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে চার লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা যেতো। তার আগের সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ ছিল। একইভাবে তার আগের দুই সপ্তাহে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই লাখ এবং এক লাখ টাকা করে উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ চার সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার সীমা এক লাখ করে বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) জরুরি বার্তা পাঠিয়ে নিরাপত্তার কারণে শাখায় টাকা স্থানান্তরে সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা থাকলেও গ্রাহকেরা যেকোনও পরিমাণ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।


আরও খবর



শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সামনে এখন যেসব রাস্তা খোলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন তিন সপ্তাহের ওপর হয়ে গেলো। চরম গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভারত সরকার আপাতত তার (সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানার) থাকার ব্যবস্থা করেছে ঠিকই, কিন্তু শেখ হাসিনার বিষয়ে চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছুই জানানো হয়নি।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক বা অফিশিয়াল পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ভারতে এখন তার অবস্থানের বৈধ ভিত্তিটা কী, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

এই পটভূমিতে দিল্লিতে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি যেটা আভাস পেয়েছে, তা হলো- এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সামনে কার্যত তিনটি পথ খোলা রয়েছে।

প্রথমত, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা, যেখানে তিনি নিরাপদে ও সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার নিশ্চয়তা পাবেন।

দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় (পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম) দিয়ে ভারতেই রেখে দেওয়া।

তৃতীয় পথটা হয়তো এখনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয় কিন্তু ভারতে কর্মকর্তা ও পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ বিশ্বাস করেন, কিছুদিন পরে উপযুক্ত পরিস্থিতি এলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের জন্যও ভারত চেষ্টা করতে পারে।

এর মধ্যে ভারতের কাছে উপায় হিসেবে প্রথমটাই যে সেরা’– তা নিয়েও অবশ্য কূটনৈতিক মহলে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, তিনি ভারতেই রয়ে গেলে সেটি আগামী দিনে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

এর পাশাপাশি, ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ঢাকার কাছ থেকে যদি অনুরোধ আসে সেটি কোনো না কোনো যুক্তিতে দিল্লি খারিজ করে দেবে, তা-ও একরকম নিশ্চিত।

তৃতীয় কোনো বন্ধু দেশে পাঠানো-

ভারতের সবশেষ সরকারি বক্তব্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার এবারের ভারতে আগমন ছিল সাময়িক

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত ৬ অগাস্ট দেশটির পার্লামেন্টে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে ফর দ্য মোমেন্ট (এখনকার মতো) কথাটা ব্যবহার করেছিলেন এবং তারপর থেকে ভারত সরকার আর এ বিষয়ে নতুন করে কোনো ভাষ্য দেয়নি।

তার কারণ হলো, শেখ হাসিনাকে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চেষ্টা এখনো পুরোদস্তুর অব্যাহত রয়েছে। তবে সেটি যদি চট করে সফল না-ও হয়, তাহলে দিল্লি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে যতদিন খুশি ভারতে রাখতে কোনো দ্বিধা করবে না।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার কথায়, উই আর হোপিং ফর দ্য বেস্ট, প্রিপেয়ারিং ফর দ্য ওর্স্ট!

অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ভারত এখনো আশা করছে, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালোটাই ঘটবে (তৃতীয় কোনো বন্ধু দেশে গিয়ে থাকতে পারবেন), কিন্তু সেটা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে সবচেয়ে খারাপটার জন্যও (শেখ হাসিনাকে লম্বা সময়ের জন্য ভারতেই রেখে দিতে হবে) দিল্লি প্রস্তুত থাকবে।

বিবিসি জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রস্তাব প্রথমেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং ইউরোপের দু-একটি দেশের সঙ্গে ভারত এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিল।

যদিও এসব আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর নেই। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি প্রভাবশালী দেশ কাতারের সঙ্গেও ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে শেখ হাসিনা নিজে এখনো কোনো দেশে আশ্রয়ের জন্য লিখিত আবেদন করেননি। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে তো নয়ই, উল্লেখিত দেশগুলোতেও না। তার হয়ে এবং তার মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে যাবতীয় কথাবার্তা ভারত সরকারই চালাচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হলো, যদি তৃতীয় কোনও দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে রাজিও হয় তাহলে কোন পাসপোর্টে তিনি দিল্লি থেকে সেখানে যাবেন?

ঢাকায় ভারতের সাবেক হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বিবিসিকে বলেন, এটি বড় কোনো সমস্যা নয়। বাংলাদেশ সরকার যদি তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েও থাকে, ভারত সরকারের ইস্যু করা ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট বা পারমিট দিয়েই তিনি অনায়াসেই তৃতীয় দেশে যেতে পারবেন।

রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান-

একান্ত প্রয়োজন হলে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে রেখে দিতে ভারত যে দ্বিধা করবে না, সেই ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে দিল্লিতে।

অতীতে তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামা, নেপালের রাজা ত্রিভুবন বীর বিক্রম শাহ বা সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর মতো বহু বিদেশি নেতাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেও ১৯৭৫ সালে সপরিবার ভারতের আতিথেয়তা পেয়েছিলেন।

তবে এই পদক্ষেপ যদি একান্তই নিতে হয়, তবে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী পড়বে, সেটিও দিল্লিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ১৯৫৯ সালে দালাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল আজ ৬৫ বছর পরেও কিন্তু তার রেশ রয়ে গেছে।

দালাই লামাকে ভারতে বা আন্তর্জাতিক বিশ্বে যতই শ্রদ্ধার চোখে দেখা হোক, দিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কে তিনি বরাবর অস্বস্তির কাঁটা হিসেবেই থেকে গেছেন।

ভারতেও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, শেখ হাসিনাকে ভারত যদি আশ্রয় দিয়ে রেখে দেয় তাহলে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সেটা অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।

দিল্লিতে আইডিএসএর সিনিয়র ফেলো স্ম্রুতি পট্টনায়কের কথায়, যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, তাতে একটা স্পষ্ট ভারতবিরোধী চেহারা ছিল। সেটি যেমন হাসিনাবিরোধী আন্দোলন ছিল, তেমনি ছিল ভারতবিরোধীও!

এখন যদি সেই ভারতই তাকে আশ্রয় দেয়, তাহলে বাংলাদেশে তা একটা ভুল বার্তা দেবে এবং সে দেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্টকে অবশ্যই আরও উসকে দেবে।

এই সমস্যার কথা ভারত সরকারও খুব ভালোভাবেই জানে। তারপরও প্রথম অপশন যদি কাজ না করে, তাহলে এই দ্বিতীয় অপশনটার দিকে তাদের বাধ্য হয়েই ঝুঁকতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিনের বন্ধু শেখ হাসিনার বিপদে পাশে না দাঁড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়!

রাজনৈতিক কামব্যাকে সাহায্য করা-

ভারতে সরকারের শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের পর্যায়ে একটি প্রভাবশালী মহল এখনো বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে শেখ হাসিনা মোটেও চিরতরে ফুরিয়ে যাননি এবং উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ এলে ভারতের উচিত হবে তার রাজনৈতিক পুনর্বাসনে সাহায্য করা।

এই চিন্তাধারায় বিশ্বাস করেন, এমনই একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা অন্তত তিন-তিনবার কামব্যাক করেছেন ৮১তে, ৯৬তে আর ২০০৮-এ! এই তিনবারই অনেকে ভেবেছিলেন, তার পক্ষে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। কিন্তু প্রতিবারই তিনি তাদের ভুল প্রমাণ করেছেন!

তবে এটিও মনে রাখা দরকার, তখন কিন্তু তার বয়স অনেক কম ছিল। আর এখন তিনি ৭৬ পেরিয়ে সামনের মাসেই ৭৭ পূর্ণ করতে চলেছেন সেটা কি কোনও বাধা হবে না?

জবাবে ওই কর্মকর্তা বলছেন, বয়স হয়তো পুরোপুরি তার সঙ্গে নেই। কিন্তু ৮৪ বছর বয়সে মুহাম্মদ ইউনূস যদি জীবনে প্রথম সরকারের প্রধান হতে পারেন, তাহলে তার চেয়ে বয়সে ছোট শেখ হাসিনা কেন পারবেন না?

তবে ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত মনে করেন, আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভারত প্রচ্ছন্ন সমর্থন হয়তো দিতে পারে, কিন্তু শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করা খুবই কঠিন কাজ হবে।

তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আমি মনে করি না। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারবে নিশ্চয়, কারণ তাদের নিশ্চিহ্ন করা অত সহজ নয়। কিন্তু দলের নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনা ছাড়া কোনো উপায় নেই!

ফলে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন যখনই হোক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাতে লড়ছে- এটিকে কোনো বাস্তবসম্মত দৃশ্যপট বলে মনে করছেন না ভারতের এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পরিবর্তনের সুফল যাতে জনগণ পায় সেজন্য একসাথে কাজ করতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

দেশব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপকূলীয় অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

ভোলা জেলার সার্বিক নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুরক্ষা এবং যৌথ বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ভোলা সার্কিট হাউজে নৌ কন্টিনজেন্ট, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। 

মতবিনিময় শেষে এক প্রেস ব্রিফিং কালে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র জনতার সফল আন্দোলনে দেশে যে পরিবর্তন এসেছে এ পরিবর্তনের সুফল যাতে এদেশের জনগণ পায় তাই সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। ভোলায় ১৫০ কিলোমিটার এলাকার জলপথ রয়েছে। এ জলপথ পাহারা দেয়ার জন্য আগে থেকেই পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মোতায়েন ছিল। বর্তমানে নৌ বাহিনী এখানে কাজ করছে। জনগণের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। বিশেষ করে সাগর মোহনায় বাংলাদেশের জল সীমানায় কোনো বহিরাগত জেলেরা যেনো আমাদের মৎস্য সম্পদ নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হবে যাতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজী ও সহিংসতা না হয় সেজন্য নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দেড় মাস যাবত আমাদের নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম দেখার জন্যই আজ এখানে এসেছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনকে আমরা সহায়তা করছি। ভোলা এরিয়ায় যে কমান্ডার আছে তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে বসে সমস্যার সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করবে। তবে এখানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে জনগণের কিছু দাবি রয়েছে। এখানে প্রচুর গ্যাস রয়েছে, স্থানীয় এলাকাবাসী যাতে এই গ্যাস পায় সেজন্য তাদের দাবীগুলো আমি সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো।

সরকার পতনের পর ভোলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নৈবাহিনী প্রধান বলেন, ৫ আগস্টের পর এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা জানতে পেরেছি ভোলায় ৯৭ টি বৌধ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ঢাকা দুইটিসহ মোট ৮৬টি অস্ত্র জমা পড়েছে। বাকি ১১ টি লাইসেন্স এর বিপরীতে কোন আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়নি বলে জানা গেছে। উপকূলের চরাঞ্চলে যেসব অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ বাহিনী কাজ করবে।

এ সময় নৌবাহিনী প্রধান, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি জনবান্ধব ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও খবর



আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লাকে মানিকগঞ্জে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইলে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাঞ্জগঞ্জে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোষাখানা ইউনিটের পরিচালক মোস্তাফা আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চায়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোণা, আরপিএটিসির উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াকফ প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুরে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুস সালামকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ পদায়ন করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান ফাতেমা তুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব আবদুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জে, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব আজাদ রহমানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপপরিচালক সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক আজাহারুল ইসলাম কে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইলে, সেতু বিভাগের শরীফা হককে নীরফামারীতে, ভূমি সংস্কার বোর্ডের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার নুসরাত সুলতানাকে কুড়িগ্রামে, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের এইচএম রকিব হায়দারকে লালমনিরহাট, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মোহাম্মদ দোয়ার হোসেনকে বরিশাল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ইশরাত জাহানকে ঠাকুরগাঁওয়ে, জননিরাপত্তা বিভাগের মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরীকে নরসিংদীতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলামকে দিনাজপুরের জেলাপ্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।

এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপসচিব পদমর্যাদার ২৫ কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।


আরও খবর



বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করা হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফি মাদরাসা পরিদর্শন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা একটি বিতর্কিত ইস্যু। এটি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছুতে আমরা হাত দেবো না।

তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে যুক্ত নয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে যা প্রমাণিত। বরং তারা জাতীর দুর্দিনে সবার আগে এগিয়ে আসে। জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের এখন বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদ, মন্দির এবং মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দেশে বিক্ষিপ্তভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর