আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর লাশ উদ্ধার : স্বামী-শ্বশুর গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত ওই ছাত্রীর নাম নিশাত তাসনীম উর্মী (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে নির্যাতনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। মেহেরপুরের গাংনী থানায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।

এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত নিশাতের স্বামী প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে। এদিকে নিহত নিশাতের সহপাঠীরা বিকালে গাংনী প্রেস ক্লাবের সামনে হত্যার তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছেন।

সহপাঠীরা জানান, গাংনী পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাশেম শাহের ছেলে আশিকুজ্জমান প্রিন্সকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন উর্মী। কলেজে পড়াকালীন তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে উর্মীর। চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আবনাব আবির প্রত্যয় নামে ১৩ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী প্রিন্স নেশাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায়ই ঝামেলা হতো এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতেন নিশাত উর্মী।

নিশাতের পরিবার জানায়, রাতে শ্বশুর হাসেম শাহ্ মোবাইল ফোনে উর্মী অসুস্থ হওয়ায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানান। অসুস্থতার কারণ হিসেবে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়েছে বলে জানানো হয়; কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকরা জানান- উর্মী অনেক আগেই মারা গেছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। এটিকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বিকালে দাফন করা হয়েছে। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, উর্মীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। উর্মীর বাবা হত্যা মামলা করেছেন। আমরা অভিযুক্ত প্রিন্স ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। যৌতুকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা অনুমান করছি।


আরও খবর



জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখছেন পরীমণি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ক্যারিয়ারজুড়েই নানা কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। কখনো বিয়ে-বিচ্ছেদ কাণ্ডে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন, আবার কখনো জেলে গিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।

তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কেন জেলে গিয়েছিলেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় তার কাছে। তবুও জেলজীবনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেটা নিয়ে বই লিখবেন। যেখানে তিনি কারাবাসের দিনগুলোর গল্প তুলে ধরবেন।

পরীমণি বলেন, আমি কাউকে খুন করিনি, জঙ্গি হামলা করিনি, আমার বাসায় কোনো বোমা ছিল না। আমি আসলে কী করেছি এটাই জানি না। ভালো বিষয় হলো, এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছি।

পরী মনে করেন স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলেই ব্যক্তিজীবনে তার লড়াইটা কঠিন ছিল সবসময়।

এ বিষয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, একটু স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলে হয়তো আমার সঙ্গে এমনটা হচ্ছে। তবে এখন আমি জানি মানুষ কী পছন্দ করে আর কী পছন্দ করে না। মানুষ চায় নিজের গলাবাজির নিচে সবার গলাবাজি থাকুক। সবাই চায় আমি আস্তে কথা বলি, অন্যেরা যা চায় সেটা করি। সমাজের চাপানো কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে চললেই তুমি লক্ষ্মী মেয়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, আমাকে নিয়ে যত নেগেটিভ কথা হয়েছে, ঠিক ততটুকু পজিটিভ কথাও হয়েছে। আমি যখন জেল থেকে বের হই তখন মানুষজন আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে, বিশেষ করে মেন্টালি। তাদের সঙ্গে আমার কিন্তু রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমার কাজের জন্যই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: পরীমণি

আরও খবর



আজ রমজানুল মোবারকের দ্বিতীয় জুমা; ফজিলত ও করণীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে মাহে রমজান। কুপ্রবৃত্তি দমন ও আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাস এই রমজান। দেখতে দেখতে ইতোমধ্যে আমাদের মাঝ থেকে রমজান মাসের রহমতের দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ মার্চ)। হিজরি ১৪৪৫ সালের রমজানুল মোবারকের দ্বিতীয় জুমা মোবারক।

রমজান মাসের অনন্য ইবাদত রোজা পালন। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।

ফজিলত :

প্রত্যেক জুমার দিনই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র রমজানের জুমার দিন হওয়ায় এর ফজিলত আরও অনেকগুণ বেশি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)।

পক্ষান্তরে, রমজানে ইবাদত করলে সওয়াব বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশগুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৭০৭)।

এছাড়া নবী (সা.) অন্য এক হাদিসে এরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

তাই এ বর্ণনার আলোকে আমরা পাই, সাধারণত বান্দার নেক আমল দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে সাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়, আর রমযানে এটা আরও বৃদ্ধি পায়।

করণীয় :

রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ভরপুর। আর জুমার দিন হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও বেশি। পবিত্র কোরআনে জুমার দিন দ্রুত মসজিদে গমনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া হাদিসেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর : ১০৪৮)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্তটি তোমরা আছরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এছাড়া, জুমার দিন নবীজি (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করা কর্তব্য। আউস বিন আবি আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেয়া হবে এবং এই দিনে সবাইকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণ দুরুদ পড়ো। কারণ জুমার দিনে তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

সাহাবারা বললেন, আমাদের দুরুদ আপনার কাছে কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনার দেহ একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে? তিনি বলেন, আল্লাহ জমিনের জন্য আমার দেহের ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

জুমার অন্যতম আমল হচ্ছে সুরা কাহাফ পাঠ করা। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (সহিহ তারগিব, হাদিস : ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক : ২/৩৯৯)


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




লাইভে এসে ফোনালাপের রহস্য ফাঁস করলেন তামিম

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোনালাপকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। একদিন পর সেই ফোনালাপের রহস্য ফাঁস করলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে হুট করেই কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তামিম এবং মিরাজের ফোনালাপ ফাঁস হয়। সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের চাঞ্চল্যকর এই ফোনালাপে মুশফিকুর রহিম এবং মিরাজকে হুমকি-ধামকি দিতে শোনা যায় তামিমকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। একদিন পরে তামিম নিজেই বিষয়টি সবার সামনে নিয়ে আসেন।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরেই নিজের ফেসবুকে লাইভে আসার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন তামিম। ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় মিরাজকে নিয়ে লাইভে আসেন তিনি। এসময় লাইভে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমকেও যুক্ত করেন এই ক্রিকেটার। এই ৪ ক্রিকেটার মিলে ফাঁস করেন আসল রহস্য।

মূলত ইচ্ছা করেই নিজেদের ওই ফোন কল ফাঁস করেছেন তামিম এবং মিরাজ। ওই ফোন কলটি ছিল মোবাইলভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের নতুন একটি ক্যাম্পেইনের অংশ। তামিম-মিরাজের সঙ্গে এই ক্যাম্পেইনে কাজ করছেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকও। লাইভে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তারকা এই ক্রিকেটাররা।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




নিখোঁজের পরদিন ভুট্টা ক্ষেতে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নিখোঁজের একদিন পর ভুট্টা খেতে মিলল সোহেল হোসেন (৩৫) নামের এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর মরদেহ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের পাশের ভুট্টা খেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে দোকান থেকে নিখোঁজ হন সোহেল।

নিহত সোহেল হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীর এয়ারপোর্ট মোড় থেকে ইলেকট্রিক দোকানদার সোহেল হোসেন নিখোঁজ হয়। রাত গভীর হওয়ায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও লালপুর থানায় খোঁজ নেন। সেখানেও না পেয়ে আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের (বিমানবন্দর) পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইল দিয়ে একটি মহিলা যাওয়ার পথে সোহেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন। সোহেল স্থানীয়ভাবে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত। ভুট্টা ক্ষেতটি লালপুর থানার অধীনে হওয়ায় সেখানে লালপুর থানার পুলিশ  প্রাথমিক তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। মৃত সোহেল মিস্ত্রির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।


আরও খবর