আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববাজারে রেকর্ড দামে সোনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববাজারে হঠাৎ করে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ ধাতুটির দাম। এতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রেকর্ড। অতীতের রেকর্ড ভেঙে বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সামনে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার মধ্যে দেশের বাজারেও এ ধাতুটির দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) থেকে হুটহাট সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসছে। এতে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে বর্তমানে সর্বোচ্চ দামে বক্রি হচ্ছে সোনা।

অবশ্য এ রেকর্ডও যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। কারণ বিশ্ববাজারে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা ধারণা করছেন, নতুন সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রথমবারের মতো দুই হাজার একশ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেটি হলে দেশের বাজারেও সোনার দাম নতুন করে বাড়ানোর ঘোষণা আসবে।

হঠাৎ সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বাচন আসছে। সবকিছু মিলে এক ধরনের অনিশ্চিত অবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে হঠাৎ সোনার চাহিদা বেড়ে গেছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দামও বেড়েছে।

বিশ্ববাজারে সোনার লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১ দশমিক ২৩ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯৭ ডলারে চলে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ৭৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ২১ ডলার বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে সোনার এমন দাম বাড়ার মধ্যে দেশের বাজারেও দফায় দফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ১০ দিনের মধ্যে তিন দফা সোনার দাম বাড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। এতে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম রেকর্ড ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত এটি সোনার সর্বোচ্চ দাম।

বাজুস থেকে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয় গত ২৯ নভেম্বর। এরপর বিশ্ববাজারে আরও দুই কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ দুই কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৪০ ডলার বেড়ে গেছে। এতে বিশ্বাবাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষে কার্যদিবসের লেনদেনে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭২ ডলার পর্যন্ত উঠে। এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫১ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল।

যোগাযোগ করা হলে বাজুসের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। সামনে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণ করা হচ্ছে এবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার একশ ডলার হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে যায়। এখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক ধরনের বৈশ্বিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বচন আসছে। ফলে এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হার্ড কারেন্সির (ডলার, ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রা) পরিবর্তে সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে দাম বেড়েছে।

বাজুসের সাবেক আরেক সভাপতি এনামুল হক বলেন, দাম বাড়ার কারণ-সোনার যে পরিমাণ চাহিদা, সেই পরিমাণ সরবরাহ নেই। এ চাহিদা বাড়ার কারণ মানুষ সোনাকে নিরাপদ মনে করে।

নিউজ ট্যাগ: সোনার দাম

আরও খবর



সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৮টি জেলায় ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বেড়েছে সোনার চাহিদা। যার কারণে এক দিনের ব্যবধানে দেশের দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা। সোনার এই দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২০ হাজার ২৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৫ হাজার ২৪১ টাকায় বিক্রি করা হবে।

এক লাখ ২৪ হাজার ৫০২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ এক হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৪ হাজার ২১৪ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়নো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

২০ আগস্ট সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৩ হাজার ১৯৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এক লাখ ২৪ হাজার ৫০২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ এক হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৪ হাজার ২১৪ টাকায় বিক্রি করা হবে।


আরও খবর



চলমান পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা বিজিএমইএ’র

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে তৈরী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ অক্লান্ত পরিশ্রম এবং যোগাযোগ রক্ষা রেখে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিজিএমইএ'র চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দরা কাস্টমস হাউস কমিশনার সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এম. এহসানুল হক, মোহাম্মদ মুসা, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, মোস্তফা সরওয়ার রিয়াদ, রাকিব আল নাসের, গাজী মোঃ শহিদুল্লাহ, বিজিএমইএ প্রাক্তন পরিচালক সাইফ উল্লাহ মনসুর, চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন বলেন, এখন তৈরী পোশাক শিল্প ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তার উপর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে যদি আমদানি-রপ্তানিতে কোন বিঘ্ন ঘটে, তবে এই শিল্প কোনভাবেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে নয়। যা আমাদের কারো কাম্য নয়। এই ক্ষেত্রে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্পের অন্যতম প্রধান সহায়ক সরকারী গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা কাস্টমস হাউজের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রয়োজন।

তাই কাস্টমস কর্মকর্তাগণ গার্মেন্টস শিল্পের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতার বিষয়ে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস প্রদান করেন।

এর আগে গত বুধবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দরা কাস্টমস হাউস, কাস্টমস বন্ড ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন।


আরও খবর



সাবেক সচিব ও পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার ও সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বরগুনার তালতলীতে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে তালতলী প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এসএ ৬২, ৭২ ও ৪০৩ খতিয়ানের ২৪ একর ৭৩ শতাংশ জমি রাখাইনদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রের মালিক আমার দাদা মো. আঃ আজিজ ও আমার পিতা মো. শাহ আলম। ক্রায়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করি। হঠাৎ ওই জমি থেকে ৯ একর ২০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি.পি বনজ কুমার মজুমদার। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা চালায়। জমি দখলে নেওয়ার জন্য ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে আমাকে তাদের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় সোহেল, জুয়েল, সজিব, ফারুক খান, মাসুমের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে হাত, পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি জমি চাষাবাদ করতে গেলে তাদের লালিত সন্ত্রাসী আমতলী পৌরসভার সাবেক কমিশারন জুয়েল, ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান, ফারুক খান, সোহেল, জুয়েল গং চাষাবাদে বাধা দেয়। এবং আমাকে ও আমার পরিবারে সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।

এছাড়াও সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তাহার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার ফুলমিয়া মুন্সী ও ফরিদা বেগম এর জমি দখল করে ড. এম. কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির জমি দখল ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো ভূয়া দলিল বানিয়ে মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করছে। ৬০ বছরে কোনো খবর নেই। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর



সারাদেশে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা দেশের ৬৪ জেলার অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার তাদের বাদ দিয়ে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে নিয়োগপ্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্তসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করছে আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয়। চলতি সপ্তাহে একযোগে বা পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার বলেন, কিছু কিছু তালিকা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আইন উপদেষ্টার কাছে নিয়োগপ্রত্যাশী অনেকে নাম ও তালিকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আইন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এবারও পরিবর্তন হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদালতের বিচারকাজেও। বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অধিকাংশ এখন আদালতেও আসছেন না। একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পক্ষেও আদালতে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে চাইলেও তাঁকে বা তাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়াই আদালতে বিচারকাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিলেও তারা আসামির বিরুদ্ধেই শুনানি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের নিয়োগের জন্য আদালতগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় জিপি-পিপি, অতিরিক্ত পিপি-অতিরিক্ত জিপিসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল সরকারের সন্তুষ্টিকাল পর্যন্ত। এ প্রেক্ষাপটে ৬৪ জেলা আদালতে আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপ্রত্যাশীর তদবির শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা প্রায় প্রতিদিনই আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছে তালিকা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম দিয়েছেন।

আইন কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। তবে কোনো সরকারই স্থায়ী নিয়োগের জন্য আইন করেনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে আইনের খসড়া করলেও পরবর্তী সময়ে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা। এজিপি ও এলজিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা; অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা।


আরও খবর



পুলিশের ৪ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ এর সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো চার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তর; মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক, ট্যুরিস্ট পুলিশ; চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী; মো. ইমাম হোসেন,  উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব), অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকা।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলামকে অবসরে পাঠায় সরকার।

এ ছাড়া গত ২১ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন এবং সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সদ্য সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

এরও আগে গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪