দিন দিন বিশ্বের
বিভিন্ন দেশেই বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। তবে মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণ অন্যদিনের
তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
অবস্থায় থাকলেও আজ রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দূষণের মাত্রা একটু কম।
সকাল পৌন ৮টার
দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় প্রতিদিনই
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে থাকলেও ১৩৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত
বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ ১২তম স্থানে রয়েছে। সে হিসাবে বলা যায়, ঢাকার বাতাসের কিছুটা উন্নতি
হয়েছে। তবে ঢাকার আজকের বাতাসও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সকাল পৌন ৮টার
দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৩৯ স্কোর
নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ ১২তম স্থানে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের
মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৫০ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের
লাহোর, ২১৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি; ১৮০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় থাইল্যান্ডের
চিয়াং মাই শহর; ১৭৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি এবং
১৬২ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহর আছে পঞ্চম স্থানে।
একিউআই স্কোর
শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে
২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু
বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর
মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা
হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের
কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা
একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে
বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই
নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫),
এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর
স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ
ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।