যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের চাহিদার
কমতি নেই। যে কারণে এই মুদ্রা ডলারের মান গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। একই
সময়ে কমেছে ইউরো, ইয়েন ও অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার মান অস্বাভাবিক
বৃদ্ধি আর অন্যান্য মুদ্রার দরপতনে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেড।
এদিকে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ব্যাংক কমনওয়েলথ
ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ক্যারোল কং রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ডলারের
মান যে হারে বাড়ছে, ফলে চলতি মাসেই ডলারের দর ১১০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যেতে পারে। একদিকে
ডলারের দাম বাড়ছে, আবার অন্যদিকে ইউরো ও অস্ট্রেলিয়ান ডলার, পাউন্ড ও ইয়েনসহ মার্কিন
মুদ্রার প্রতিযোগী অন্যান্য তারল্যের দাম। ফেডের রিজার্ভ সিস্টেমের মান সূচকের তথ্য
অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী মুদ্রা ইউরোর দর কমেছে দশমিক
২৫ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের মান কমেছে দশমিক ৫ শতাংশ।
বর্তমানে জাপানের মুদ্রা ইয়েনের চেয়ে দশমিক
৮ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে ডলার। অস্ট্রেলিয়ান ডলার, চীনের মুদ্রা ইউয়ান ও নিউজিল্যান্ডের
ডলারের দরও কমেছে। ডলারের এই টানা দরবৃদ্ধি অন্যান্য মুদ্রার মানের পতনের ফলে আন্তর্জাতিক
অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলে বৈশ্বিক
মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফেড।