বাংলাদেশ সেপসিস অ্যালায়েন্স এর আয়োজনে “বিশ্ব সেপসিস দিবস” পালিত হয়েছে। গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় “হলিডে ইন” হোটেলে দুপুরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আহমেদুল কবির, এডিজি (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক ও সমন্বয়কারী ছিলেন-ডা.ফজলে রাব্বি চৌধুরী সহযোগী প্রফেসর (মেডিসিন) বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর (মেডিসিন) মোঃ রিদওয়ানুর রহমান এবং প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বাংলাদেশের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হেলথ সার্ভিসের লাইন ডিরেক্টর।
অনুষ্ঠানের
চেয়ারপার্সন ছিলেন প্রফেসর এম. এ. ফয়েজ সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোঃ মাঝহারুল হক,
লাইন ডাইরেক্টর এইচএসএম। অনুষ্ঠানের সায়েন্টিফিক
পার্টনার রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চিকিৎসা বিপণন প্রধান ডাঃ জাবেদ
সোবহান।
বিশ্ব সেপসিস
দিবস প্রতি বছর ১৩ই সেপ্টেম্বর স্মরণ করা হয়, জীবন-হুমকির অবস্থা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী
সচেতনতা বাড়াতে প্রচেষ্টা চালায়। গ্লোবাল সেপসিস অ্যালায়েন্স বলেছে এই দিনটিকে “সেপসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একত্রিত
হওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য একটি সুযোগ” হিসাবে দেখা হয়।
সেপসিস একটি
সাধারণভাবে ঘটতে থাকা জীবন-হুমকিপূর্ণ রোগ এবং এতে উল্লেখযোগ্য মৃত্যুহার এবং স্বাস্থ্যসেবা
ব্যবস্থার জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসার বিকল্প রয়েছে। প্রতি বছর ৫০ মিলিয়নেরও বেশি সেপসিস
ঘটনা ঘটে এবং সেপসিস অনেক মৃত্যুর কারণ হয়। গ্লোবাল সেপসিস অ্যালায়েন্স (জিএসএ) সারা
বিশ্ব থেকে ১১৫ টিরও বেশি সদস্য সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এবং এর লক্ষ্য হল
সেপসিসের বিশ্বব্যাপী বোঝা কমাতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করা। এশিয়া প্যাসিফিক
সেপসিস অ্যালায়েন্স (এপিএসএ) এশিয়া প্যাসিফিককে সেপসিস মুক্ত করার লক্ষ্যে জিএসএ-এর
সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে।