ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে মিয়ানমার। জাতিগত
সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সৈন্যদের লড়াই দেশটির উত্তরাঞ্চলে রূপ
নিচ্ছে নতুন মাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ লড়াইয়ে সামরিক চৌকি ও স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে
সেনাবাহিনী। লড়াই তীব্র হওয়ায় হাজার হাজার বাসিন্দা প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক
সময়ে সামরিক বাহিনীর বেশকিছু নিরাপত্তাচৌকি ও স্থাপনার দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। মিয়ানমারের
সামরিক জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি সব কর্মী ও সামরিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজনে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে প্রস্তুত করছে।
মিয়ানমারের এমন অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে
দেশটির একটি বন্দরে ভিড়েছে চীনের তিন যুদ্ধজাহাজ। জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত
পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অংশ হিসেবে চীনা এসব জাহাজ দেশেটিতে গিয়েছে।
চাইনিজ পিপল লিবারেশন নেভি (পিএলএন) এক
বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ জিবো এবং
ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ জিংঝু মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ
লাইট জানিয়েছে, জাহাজগুলো চার দিন মিয়ানমারে অবস্থান করবে। এ দলে ৭০০ সেনা রয়েছে, যার
নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন সান বো। এ দলে চীনের এই দুই জাহাজকে সহযোগিতার জন্য কিয়ানদাওহু
নামের অপর একটি জাহাজ রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ সফরে চীনের যুদ্ধজাহাজগুলো
মিয়ানমারের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নেবে।
মিয়ানমারে বন্দরে অবস্থান করা চীনা এ যুদ্ধজাহাজগুলো
তাদের বহরের ৪৪তম সংযোজন। এগুলো ২০০৮ সাল থেকে এডেন উপসাগর ও সোমালিয়া উকূলে জলদস্যুদের
বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। চলতি মাসে এ সংযোজনগুলোকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখা গিয়েছে।