আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫ কেজি ৩৩৬ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের সকাল ৭টার ফ্লাইটে ২ জন যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হতে পারে এমন গোপন তথ্য পায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। পরবর্তীতে লিউ ঝংলিয়াং এবং চেং গ্যাং নামের দুইজন বিদেশি যাত্রীর কাছ থেকে ৩টি চার্জার লাইটের ভেতর থেকে ৪৬ পিস স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।

জব্দকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ৫ কেজি ৩৩৬ গ্রাম। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আটককৃত স্বর্ণবারগুলো ঢাকার কাস্টমস হাউসে মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে। আটককৃত যাত্রীদের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে নিহত ১, আহত ৩৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঘরের ওপর ভেঙে পড়া গাছ অপসারণের সময় ডাল ভেঙে পড়ে আব্দুর রহমান বয়াতি (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লেমুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রহমান বয়াতি ওই এলাকার মৃত্যু খুতি বয়াতির ছেলে।

জেলা প্রশাসক মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঘরের ওপর ভেঙে পড়া গাছ অপসারণের সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলায় প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ৩৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বরগুনায় এখন পর্যন্ত যে তথ্য রয়েছে তাতে ৩ হাজার ৩৩৭টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ১৩ হাজার ৩৪টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। পুরো জেলায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। যার কারণে ৩০০ গ্রাম সাগরের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ৪ হাজার ১৫৭ হেক্টর মাছের ঘের পুকুর ভেসে গিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী বরগুনা জেলায় ৯০০ এর মতো খুঁটি পড়ে গিয়েছে। ২৫০টির মতো খুঁটি ভেঙে গিয়েছে। ১ হাজার ২০০ এর মতো স্পটে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ হেলে রয়েছে এবং ৯০০ এর মতো স্পটে বিদ্যুতের তারের গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গিয়েছে। পুরো জেলায় ২ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যার দুর্ভোগ আছে। তবে সবকিছু সচল করতে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই প্রশাসন কাজ করছে।


আরও খবর



ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল আবহাওয়া অফিস।

১০ নম্বব বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কোথায় কোন সংকেত

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ দেশ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (১৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।


আরও খবর



গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে যে সমস্যায় পড়বেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানাকে নজিরবিহীন অপমান বলে বর্ণনা করেছে ইসরাইল। তবে আইসিসির এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও স্লোভেনিয়া।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ আপত্তিকর

এর আগে সোমবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালেন্টকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় নিতে হবে। এ জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির জুরি প্যানেলের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি হামাস নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। তারা হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ইসমাইল হানিয়া ও মোহাম্মদ দাইফ।

এর আগে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরাইল কেবল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, যারা গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি আধুনিককালে সবচেয়ে বড় ইহুদিবিদ্বেষী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালেন্টও।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরাইল ও হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা চলতি সপ্তাহেই জারি হতে পারে। তবে এটি কোনো নিশ্চিত সময়সীমা নয়। করিম খান তার আবেদন বিচারিক প্যানেলের কাছে পাঠিয়েছেন। তারা পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেবেন। এ পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু আইসিসির ১২৪ সদস্য দেশে সফর করতে বাধার মুখে পড়বেন। এসব দেশে তিনি গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আইসিসির সদস্য দেশ নয়। এর আগে ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

গাজায় ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৬৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। হতাহত অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত।


আরও খবর



আদালতে লোহার খাঁচায় থাকা অত্যন্ত অপমানজনক: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালতে শুনানি চলাকালে একজন নিরপরাধ নাগরিকের লোহার খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সবাই মিলে একটু আওয়াজ তুলুন, যাতে বিষয়টা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। একটা সভ্য দেশে কেন এ রকম হতে যাবে!  আদালতে শুনানিকালে কেন একজন নাগরিককে খাঁচার ভেতরে পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। যেখানে এখনও বিচার শুরুই হয়নি, যেখানে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার কোনো সুযোগই হয়নি। নিরপরাধ নাগরিককে কেন খাঁচার ভেতরে থাকতে হবে এ প্রশ্নটা তুললাম।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

ড. ইউনূস বলেন, আমি আগেও প্রশ্নটা তুলেছি, আবারও সবার জন্য তুলছি। আমার বিষয় না, যেকোনো আসামি; যার বিরুদ্ধে একটা করতে যাচ্ছে, তাকে খাঁচায় নিয়ে যাওয়া। আমি যতটুকু জানি, যত দিন আসামি অপরাধী প্রমাণিত না হচ্ছে, তত দিন তিনি নির্দোষ-নিরপরাধ। একজন নিরপরাধ নাগরিককে একটা লোহার খাঁচার ভেতরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আদালতে শুনানি চলাকালে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে মনে হয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, অনেক হয়রানির মধ্যে আছি। সেটারই অংশ, এটা চলতে থাকবে।

আজকে সারাক্ষণ খাঁচার মধ্যে ছিলাম, আমরা সবাই মিলে ছিলাম। যদিও আমাকে বলা হয়েছিল যে, আপনি থাকেন। আমি বললাম, সবাই যাচ্ছে, আমিও সঙ্গে থাকি। সারাক্ষণই খাঁচার ভেতরে ছিলাম। যোগ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে নির্মিত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক’র রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে, এখন পার্কটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না দর্শনার্থীরা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুইটি দল পার্কে অবস্থান নেয়।

পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয় তারা।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে আজ থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে।

এ অভিযানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির উপর বেনজির গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর