আজঃ মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার ২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার- ২০২৩ ফ্যালকন হল, ঢাকা সেনানিবাসে ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি সেমিনারে চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্লাইট সেফটি ট্রফি বিতরণ করেন।

বিমান বাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং ২০২২ সালে উল্লেখযোগ্য ২৪,২৯৪ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘন্টা অর্জন করায় বিমান বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রশংসা করেন। বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, অপারেশনাল উড্ডয়ন কার্যক্রমে বছরটি পরিপূর্ণ ছিল। তিনি জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমস্ত কর্মকর্তা, সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে তাদের কার্যক্রম পালন করার জন্য প্রশংসা করেন। তিনি মাতৃভূমি রক্ষায় বিমান বাহিনী সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বিগত বছরে অনুষ্ঠিত পদ্মাসেতু উদ্বোধনী ফ্লাইপাস্ট, বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিবস উদ্যাপন, প্রেসিডেন্ট প্যারেড, কিলো ফ্লাইটের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গ্রæপ ক্যাপ্টেন (অবঃ) শামছুল আলম, বীরউত্তম এর ফিউনারেল প্যারেড ফরমেশন ফ্লাইপাস্ট এবং বিজয় দিবস ফ্লাইপাস্ট সফলভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন। তিনি বছরজুড়ে সংঘঠিত বিমান মহড়া, সরকার ও সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে বহুবিধ অপারেশনাল কার্যক্রম নিরাপদ ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আফগানিস্তানের কাবুলে মানবিক সাপোর্ট মিশন পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা অর্জনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। অতি সম্প্রতি তুরষ্ক এবং সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিমান বাহিনীর ভয়সী প্রশংসা করেন।

অবশেষে তিনি উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্বের এবং সহযোগীতার সংমিশ্রণের সুযোগ তৈরী করার জন্য কমান্ড সেফটি সেমিনার-২০২৩ এর মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানান। ভবিষ্যৎ উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে তিনি উপস্থিত সকল এয়ারক্রু, টেকনিশিয়ান, কন্ট্রোলারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিবিড় তত্ত¡াবধান বাড়ানোর পাশাপাশি অতীত অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যবহারিক জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ও উড্ডয়ন নিরাপত্তা প্রক্রিয়াসমূহ কঠোরভাবে অনুসরণের আহবান জানান। উল্লেখ্য যে, পরিচালক, উড্ডয়ন নিরাপত্তা পরিদপ্তর, প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২২ সালের বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন সংক্রান্ত সকল অর্জন ও ঘটনার পর্যালোচনা উপস্থিত সকলের মাঝে তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারকে আন্তঃ ঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি এবং ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টরস্ স্কুল (এফআইএস) কে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘন্টা অর্জনের জন্য আন্তঃ বহর খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ১, ৩, ৮, ৯, ১৮, ২৫, ৩১ ও ৩৫ নং বহর, ১০১ এসএফইউ, ১০৩ এটিটিইউ, ১০৫ এজেটিইউ, এফআইএস, ইঅঘটঅট, ইঅঘঅগটঐট কে এক্সিডেন্ট ফ্রি ইয়ার এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মত এ বছর সেরা বিমান প্রকৌশল বহর হিসেবে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর বিমান প্রকৌশল বহরকে গ্রাউন্ড এবং ফ্লাইট সেফটি ট্রফি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিসমূহের মনোনীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনাগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য সদস্যগণ ভিডিও টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

 


আরও খবর
খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪




সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খনন করছে আফগানিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হার না মানা এক দেশ আফগানিস্তান। ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো নবজন্ম নিচ্ছে দেশটি। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।

প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি।

এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য গেমচেঞ্জার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।

আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।

এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।

২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।

তথ্য বলছেদীর্ঘদিন ধরেই এই খাল খননের স্বপ্ন দেখে আসছিলেন আফগানরা। এতদিন কোনো অগ্রগতি না হলেও দেশটির ইসলামিক সরকারের হাতে এর অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।


আরও খবর



শ্রীলংকাকে হারিয়ে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নাজমুল হোসেন শান্তর হাফসেঞ্চুরি হতে তখন দরকার ৩ রান, জয়ের জন্য প্রয়োজন ২। অধিনায়ক দলকে জয় এনে দিলেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে। নিজের ফিফটিও হলো, বাংলাদেশও মাতলো জয়োল্লাসে।

প্রথম ম্যাচে অসাধ্য সাধনের কাছে এসেও পারেনি বাংলাদেশ। বাঁচামরার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কাকে রীতিমত নাকাল করে দাপুটে এক জয় তুলে নিলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (বুধবার) বাংলাদেশ জিতেছে ৮ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে টাইগাররা।

রান তাড়ায় ভালো শুরু করেন সৌম্য সরকার আর লিটন দাস। লিটনকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখালেও সৌম্য অবশ্য শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। বারকয়েক বেঁচে যান আউট থেকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তো আম্পায়ার আউট দিয়েই বসেছিলেন।

বিনুরা ফার্নান্দোর শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন সৌম্য। বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। শ্রীলঙ্কার আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেল আঙুল তুলে দেন। সৌম্য সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখা যায়।

কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান নটআউট ঘোষণা করেন সৌম্যকে। বল আর ব্যাটের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁক ছিল দাবি করেন আম্পায়ার। স্পাইকও বল ব্যাট পেরিয়ে যাওয়ার পর এসেছে, জানানো হয়। যে আউট নিয়ে মাঠে অনেকটা সময় খেলা বন্ধ করে রেখেছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা।

ওপেনিং জুটিতে আসে ৪১ বলে ৬৮ রান। সৌম্য সুযোগ পেয়ে যে খুব কাজে লাগাতে পেরেছেন, তা না। ১৪ রানে জীবন পেয়েছিলেন, এরপর ২২ বলে ২৬ করে পাথিরানার বলে ম্যাথিউসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পাথিরানা নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন লিটনকেও। ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬।

সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন তাওহিদ হৃদয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৫ বলে তারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৮৭ রানে। শান্ত ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ৫৩, হৃদয়ের ব্যাট থেকে ২৫ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় আসে ৩২ রান।

এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শরিফুল ইসলাম বোলিং ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শুরু করেন মেইডেন দিয়ে। প্রথম ওভারে এক রানও নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদও সেই চাপ ধরে রাখেন। ৫ রান দিয়ে তুলে নেন আভিষ্কা ফার্নান্ডোর উইকেট। ৭ বলে ০ করা ফার্নান্ডো ঝুঁকি নিতে গিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন আকাশে, তাসকিন নিজেই নেন ক্যাচ। ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

তবে শুরুর সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাসকিন দেন ১৭ রান, পঞ্চম ওভারে শেখ মেহেদি ৯। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নিয়ে বিলিয়ে দেন ১৫ রান। ফলে প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটেই ৪৯ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা।

দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৬৬ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস আর কামিন্দু মেন্ডিস। অবশেষে সৌম্য সরকারকে বোলিংয়ে এনে এই জুটিটি ভাঙেন অধিনায়ক। ২২ বলে ৩৬ করে কুশল মেন্ডিস ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষককে।

কামিন্দু মেন্ডিস মারমুখী হয়ে উঠছিলেন ক্রমেই। দারুণ বোলিং করা রিশাদ হোসেনকে মেরেছিলেন ছক্কা। তবে পরের বলেই সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের ফাঁদে পড়তে হয় তাকে। ২৭ বলে করেন ৩৭। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আটকে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৭ করে মোস্তাফিজের কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আসেন সাদিরা।

১৪তম ওভারে জোড়া ছক্কা খেয়ে চারিথ আসালাঙ্কাকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি। আসালাঙ্কা ১৪ বলেই দুইশ স্ট্রাইকরেটে করেন ২৮। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

শেষদিকে ৩৬ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি এনে দেন দাসুন শানাকা আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শানাকা ১৮ বলে ২০ আর ম্যাথিউস ২১ বলে করেন ৩২ রান।

শরিফুল উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শেখ মেহেদি। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন এই অফস্পিনার। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪২ এবং তাসকিন ৩৮ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট। সৌম্য সরকার ১ ওভারে ৫ রানে নেন এক উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা: ১৬৫/৫, ২০ ওভার (কামিন্দু মেন্ডিস ৩৭, কুশল মেন্ডিস ৩৬, ম্যাথিউজ ৩২*; তাসকিন ১/৩৮, মেহেদী হাসান ১/৩৯, সৌম্য ১/৫)।

বাংলাদেশ: ১৭০/২, ১৮.১ ওভার (নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৩*, লিটন ৩৬, তাওহিদ হৃদয় ৩২*, সৌম্য ২৬; মাথিসা পাতিরানা ২/২৮)।


আরও খবর



রিজার্ভ বাড়াতে আসছে অফশোর ব্যাংকিং, হচ্ছে আইন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রিজার্ভ বৃদ্ধি, আর্থিক কাঠামোকে সমৃদ্ধ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আসছে অফশোর ব্যাংকিং, এজন্য একটি আইন করছে সরকার।

এজন্য অফশোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, এই আইনের মাধ্যমে অনিবাসী ব্যক্তি বা বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান যারা এখানে ইনভেস্ট করবে তারা অফশোর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। অফশোর ব্যাংকিং করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এর যারা এই লাইসেন্স পেয়েছে তাদের নতুন করে আর লাইসেন্স নিতে হবে না। মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন এবং চাইনিজ ইয়ান- এ পাঁচ মুদ্রায় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।

এই আইনের আওতায় অফশোর ব্যাংকিং করার জন্য তফসিলি ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো লাইসেন্স গ্রহণ করবে। এরপর অনিবাসী বাংলাদেশে বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত গ্রহণ করতে পারেব, ঋণ দিতে পারবে। ওই আমানত স্বাভাবিক ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারবেন। বিদেশে যে বাংলাদেশি আছেন তার পক্ষে তার কোনো আত্মীয় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, সহায়তাকারী হিসেবে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।

অফশোর ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো ঋণসীমা বেঁধে দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে বলেন, ঋণসীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। যে কোনো পরিমাণ ঋণ নিতে পারবে।

সমসাময়িক আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সঙ্গে সংগতি রেখে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৫ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম ইপিজেডে শুরু হয়, সেখানে কিন্তু কারেন্ট অ্যাকাউন্টের মতো, কোনো ইন্টারেস্ট দেওয়া হয়। এখন অফশোর ব্যাংকিংয়ে ইন্টারেস্ট দেওয়া হবে। ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারলে, ব্যাংকের নরমাল ব্যবসার প্রয়োজনে সে যখন বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তার তুলনায় ব্যয় কম হবে।

মাহবুব হোসেন বলেন, বহু দেশ এ পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের বৈদেশিক রিজার্ভ ও আর্থিক কাঠামো সমৃদ্ধ করেছে। তারা বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যখন টাকা জমা রাখে তখন কিন্তু টাকা নিয়ে যেতে পারমিশন নিতে হয়। অফশোর হলে স্বাধীনভাবে এটা অপারেট করা যাবে। এখানে ব্যবসা করে যারা লাভবান হবে তারা এখানে টাকা রাখতে আগ্রহী হবে বলে আমরা আশা করছি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শুধু রিজার্ভ বাড়াতেই এটি করা হচ্ছে না। অর্থনৈতিকভাবে আমরা লাভবান হব সেজন্য আমরা এটি করছি।

আইন অনুযায়ী ওই অ্যাকাউন্টে যে লেনদেন হবে সেই সুদের ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ইকনোমির দিকে তাকিয়ে এটি চালু করা হচ্ছে। সরকার মনে করেছে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে অনেক দেশ সুফল পেয়েছে।

সেভিং অ্যাকাউন্ট যেভাবে পরিচালনা করেন সেভাবেই এ অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যাবে। ওই অ্যাকাউন্টে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা জমা দেওয়া যাবে বলেন মাহবুব হোসেন।

নিউজ ট্যাগ: অফশোর ব্যাংকিং

আরও খবর



কানাডায় ৪ শিশুসহ ৬ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন অল্প বয়সি শিশু এবং তাদের মা রয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত চার শিশুসহ ছয়জনই শ্রীলংকার নাগরিক, যারা কিছু দিন আগে কানাডায় এসেছিলেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশুটি তিন মাসের কন্যাসন্তান। এ ঘটনায় ১৯ বছর বয়সি একজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ওই পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। তার নাম ফেবরিও ডি-জয়সা।

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫২ মিনিটে একটি জরুরি কল পেয়ে পুলিশ বারহেভেনের ওই বাড়িতে গিয়ে ছয়জনের লাশ দেখতে পান।

নিহতরা হলেন— ৩৫ বছর বয়সি দর্শনি বানবারানায়েক এবং তার চার শিশুসন্তান। শ্রীলংকার পরিবারটির পরিচিত নিহত আরেকজন হলেন ৪০ বছর বয়সি আমরাকুনমুবিয়ানসেলা গে গামিনী আমারাকুন।

নিহত শিশুদের বাবাকে আহতাবস্থায় অটোয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অটোয়াতে শ্রীলংকার হাইকমিশন নিশ্চিত করেছে, ওই পরিবারটি শ্রীলংকার। এর বেশি কোনো তথ্য হাইকমিশন থেকে দেওয়া হয়নি।

অটোয়া পুলিশপ্রধান বলেন, হত্যাকাণ্ডে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অটোয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বেদনাদায়ক এবং এর তদন্ত জটিল প্রক্রিয়া।

এ ঘটনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শোক প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনাটিকে ভয়ানক ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন।


আরও খবর



উত্তর আমেরিকার ‘কিনোয়া’ মিরসরাইয়ে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

উত্তর আমেরিকার ফসল কিনোয়া এবারই প্রথম চাষ হয়েছে চট্টগ্রামে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২৪ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো সম্ভাবনার এ ফসল চাষ করেছেন কৃষক দীলিপ নাথ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে তাঁর স্বপ্নের ফসল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়, খরচ আর পরিশ্রমের হওয়ায় আবারো চাষের লক্ষ্যে এগুচ্ছেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক আগ্রহী হয়েছেন শস্যদানা কিনোয়া চাষে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘড়িয়াটোলা এলাকার কৃষক দীলিপ নাথ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রথম জানতে পারেন বিদেশি এই ফসল সম্পর্কে। শুনে মনে কিছুটা সংশয় কাজ করলেও শেষমেশ নেমে পড়েন ফসল ফলাতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করা হয় বাংলাদেশে কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাসের কাছ থেকে। ১৭ ডিসেম্বর তিনি বীজ আবাদ করেন। ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে এখন ফসল ঘরে উঠার অপেক্ষায়।

গতকাল সরেজমিন দেখতে আসেন কিনোয়ার নতুন বীজ উদ্ভাবক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস।

কৃষক দিলীপ নাথ বলেন, কিনোয়া সম্পর্কে জানতাম না। তাই ফলনের ব্যাপারে শুরুতে কিছুটা ভয় কাজ করেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিনোয়া নিয়ে যে সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছেন তাতে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়ে ২৪ শতক জমিতে কিনোয়া চাষ করি। এখন পুরো ক্ষেতে ফসলে ভরপুর। আনন্দ লাগছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারবো। আশা করছি ভালো দাম পাবো।

২৪ শতকে ১৪ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। দুই থেকে তিন মণ ফসল উঠার সম্ভাবনা’— বলেন কৃষক দীলিপ নাথ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চট্টগ্রামে এই প্রথম হলেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে কিনোয়ার চাষ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো পরিচিতি না পেলেও এই সফলের বেশ চাহিদা রয়েছে ইউরোপ আমেরিকায়। বাংলাদেশের সুপারশপগুলোতেও বাজার গড়ে উঠছে বিদেশি এই ফসলের। কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রান্না করলে এই কিনোয়াবীজ প্রায় চারগুণ ফুলেফেঁপে ওঠে এবং কিছুটা স্বচ্ছ দানাদার আকৃতি ধারণ করে। মৃদু স্বাদের কিনোয়া একেবারে গলে যায় না এবং কিছুটা চিবিয়ে খেতে হয়।

সুপারফুড নামে পরিচিত পাওয়া কিনোয়ায় রয়েছে হাইপ্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই বৈশ্বিক বাজারে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, কিনোয়া উত্তর আমেরিকার ফসল। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পরিমল কান্তি বিশ্বাস স্যার বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কিনোয়া নিয়ে কাজ করছেন। স্যারের কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো চাষ করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। ধীরে ধীরে চাষের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, অপরিচিত ফসল হওয়ায় এখনো স্থানীয় বাজার গড়ে উঠেনি তবে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বেশ কয়েকটি সুপারশপ বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি করছে। দিলীপ নাথের ফসল অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন ঢাকার বেশ কয়েকজন। হারবেস্ট/হারভেস্ট করলেই তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে।


আরও খবর