আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মক্তব শিক্ষা ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:

কুরআন শিক্ষার প্রাথমিক স্তর মক্তব। মক্তব আরবি শব্দ। পারিভাষিক অর্থে মুসলিম পরিবারের শিশুদের ইসলামী শিক্ষাদানের জন্য যে সকল স্থানে একত্রিত করা হয়, তাই মক্তব। মক্তব শিক্ষা সর্বযুগে সবার জন্য ছিলো উন্মুক্ত; মসজিদে নববীতে আছহাবে ছুফ্ফা নামক সাহাবাদেরকে শিক্ষাদানের জন্য রাসুল (সা.) একজন শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন, তখন থেকেই মক্তব শিক্ষার যাত্রা। ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের মক্তবই হচ্ছে মুসলিম মিল্লাতের প্রথম পাঠশালা।

৭১১ সালে মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয়ের পরপরই ভারতবর্ষে মক্তব ও মাদ্রাসা শিক্ষার সূচনা হয়। তবে শুরুর দিকে এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ছিল না। মুহাম্মদ ঘোরি দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে ভারতবর্ষে তুর্কি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১১৯১ সালে আজমিরে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। তবে ভারতবর্ষে মক্তব ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিস্তার ঘটে মূলত মোগল আমলে। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ছিল সব মহলে। ভারতবর্ষে মুসলিম শাসকদের শাসনামলে শিক্ষাব্যবস্থা ও ধর্ম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিল।

ভারতীয় উপমহাদেশ মুসলিম সুলতানি যুগ থেকে মোগল আমল পর্যন্ত দীর্ঘ ৮০০ বছর র্পর্যন্ত মুসলমানদের প্রধান শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ধর্মীয় শিক্ষা। সেসব প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন শাসকরা। কিন্তু ইংরেজরা ছলে-বলে-কৌশলে এদেশের রাজ্য ক্ষমতা নিছিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয় মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তদস্থলে চাপিয়ে দেয় পাশ্চাত্য ধ্যান-ধারণাপ্রসূত আধুনিক শিক্ষা নামে কোরআন-হাদীসবিহীন দ্বীন শিক্ষা তথা ধর্মীয় শিক্ষাহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সন্তানদের ইংরেজ প্রবর্তিত ও পরিচালিত স্কুল-কলেজে পাঠাতেন না, বরং তারা মসজিদ ও কাচারি ঘরে উস্তাদ রেখে সীমিত পরিসরে হলেও সন্তানদের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করতেন।

তখন মক্তবে শিক্ষকদের মাসিক বেতন ছিল না, বার্ষিক আমন ধান জনপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ কেজি করে বেতন হিসেবে দেয়া হতো। কোনো কোনো মক্তবের শিক্ষকরা শুধু ছাত্রদের বাড়িতে খাবার খেয়ে (বেতন ছাড়া) জীবন-যাপন করতেন।

এটা ছিল প্রতিটি মুসলিম পরিবারের অপরিহার্য প্রথা। নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে গড়ে তোলার পেছনে মক্তব শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মসজিদগুলোতেও সকালবেলা শিশুদের মক্তব খুলে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার রেওয়াজ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মক্তব শিক্ষাই হচ্ছে ইসলামের আদি এবং মৌলিক শিক্ষা।

একসময় বাংলার পথে-ঘাটে ভোরবেলা ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা দল বেঁধে মক্তবে কুরআন শিক্ষার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতো। বর্তমানে তা দ্বীনি শিক্ষার অন্তরায়। জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। বিশেষত ধর্মীয় জ্ঞান না থাকলে ধর্ম মোতাবেক জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। মুসলিম সুলতানি যুগ থেকে শুরু করে মোগল আমল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৮০০ বছর মুসলমানদের নিকট ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ছিল প্রবল। রাজধানীর কথা না হয় বাদ-ই দিলাম গ্রামের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় হাজারো মক্তব-মাদরাসা ছিল। মুসলমানদের ঐতিহ্যের ধারক মক্তবগুলো আজ বিলুপ্তপ্রায়।

হারিয়ে যাচ্ছে ইসলামের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র। যখন কোনো সন্তানের বয়স চার বছর চার মাস চার দিন পূর্ণ হতো, তখন তার বিদ্যা শিক্ষার সূচনা হতো। বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কুরআনের কিছু অংশ শিশুকে পাঠ করে শোনানো হতো। শিশু তা পুনরাবৃত্তি করত।

রোজ সকালে কোরআনের আওয়াজ কঁচিকাঁচা শিশুদের কন্ঠ থেকে বের হয় না। শিশুদের অভিভাবকদের অবহেলার কারণে মসজিদের ইমাম সাহেবরা এখন মক্তবে কোরআন পড়ানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। যার কারণে এলাকার শিশু-কিশোররা কোরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে, মক্তবগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও যা-ও চালু আছে, সেগুলোতেও আগের মতো জৌলুস নেই। শিশুদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

এর প্রভাবে তৈরি হচ্ছে ধর্মীয় জ্ঞানশূন্য বিশাল জনগোষ্ঠী। দেশের সর্বত্রে আজ মক্তবের সময় বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে মর্নিং শিফট চালু হওয়ায় একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী মক্তবের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। একশ্রেণির অভিভাবক মক্তব শিক্ষার ব্যাপারে উদাসীন হওয়ায় শিশুদের কচি মনে ইসলামী মূল্যবোধের পরিবর্তে বিজাতীয় সংস্কৃতি প্রথিত হচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিপদজনক। মক্তব শিক্ষার সে মূল্যবান সময়টুকু যদি পুনরুদ্ধার করা না যায়, তাহলে এটা নিশ্চিত যে, ঈমান-আক্বিদায় সমৃদ্ধ মুসলমান জাতি ভবিষ্যতে একটি দুর্বল জনগোষ্ঠিতে পরিণত হবে। বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি মসজিদে মক্তব চালু রয়েছে।

কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শিশু শিক্ষার এই অন্যতম মাধ্যম। মক্তব  শিক্ষা ব্যবস্থা এখন আর দেখা যায় না। ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ায় কিন্ডার গার্টেন, ক্যাডেট মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা, হিফজখানা, কোচিং ব্যবস্থার আড়ালেই হারিয়ে গেছে মক্তব শিক্ষা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের প্রায় ৯০ ওয়ার্ডেই এক সময় মক্তব শিক্ষাব্যবস্থা চালু ছিল। একাধিক প্রবীণ জানান, মক্তব শিক্ষা বিলুপ্তির কারণে আমাদের দেশে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দিকে শিশুরা ভবিষ্যতে ধর্মীয় জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে।

যদিও অপর একটি জেলা কুষ্টিয়ার কোনো কোনো এলাকায় এখনো মক্তব শিক্ষা চালু রয়েছে, কিন্তু শিক্ষকরা আগের মতো ধান বা বেতন ছাড়া শিক্ষা দেয়ার নিয়ম নীতি নেই। এ শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষকরা ছাত্র/ছাত্রী দের কাছ থেকে মাসে জনপ্রতি ৫০/১০০ টাকা পর্যন্ত বেতন হিসেবে নেয়া হয়, যা একেবারেই অপ্রতুল।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলার কয়েকজন মক্তব শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তি হওয়ায় বেতনভাতাদি না নিলে চলা যায় না। আবার অনেক শিক্ষার্থী গরীব প্রতিমাসে বেতন ঠিকমতো উঠে না, বেশিরভাগ বড় লোকের সন্তানদের মক্তবে পড়ান না। ছাত্র/ছাত্রী দিন দিন কমে যাচ্ছে। শুধু মক্তবে শিক্ষকতা করে সংসার পরিচালনা করা আমাদের কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

রাজবাড়ী জেলার একাধিক ছাত্র অভিভাবক বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা একসময় মক্তবে পড়ালেখা করেছি। এখন মক্তব শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন ঝিমিয়ে পড়ায় আমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষাসহ ধর্মীয় রীতিনীতির জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বর্তমানে অসচেতনতার কারণে অভিভাবকরা সন্তানদের মক্তবে না পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষা অর্জনের জন্য কোচিংয়ে পাঠিয়ে দেন।

রাজবাড়ীর কয়েকজন ইমাম সাহেবের সাথে মক্তবের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে এখন অভিভাবকেরা কঁচি-কাঁচা ও শিশু-কিশোরদের মক্তবে পাঠাতে চান না। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা সকালে ঘুম থেকে উঠলেই স্কুল, কোচিং অথবা কিন্ডার গার্টেনে ক্লাসের সময় হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে।

দেশের প্রতি গ্রামে অন্তত একটি করে হলেও মক্তব থাকা প্রয়োজন। আগের মতো মক্তব না থাকায় ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে শিশুশ্রম।

এভাবে চলতে থাকলে আবহমান বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইসলামী বুনিয়াদি শিক্ষার এ অবারিত ও ঐতিহ্যগত শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে; চিরতরে হারিয়ে যাবে এবং স্থান পাবে ইতিহাসের পাতায়।

তাই অতীব গুরুত্বপূর্ণ এ শিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য কোনো বিকল্প পথ বের করা সময়ের দাবি।


আরও খবর



সোমালি দস্যুদের কবল থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা আল-কাম্বার ৭৮৬ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আরব সাগরে চালানো এই অভিযানে নৌকাটিতে থাকা ২৩ জন পাকিস্তানি নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাতে বলছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে আরব সাগরের সোকোত্রা লেট থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই নৌকাটি অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তাতে উঠে পড়েন নয়জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহলদারি জাহাজ আইএনএস সুমেধা শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেখানে যায় যুদ্ধাজাহাজ আইএনএস ত্রিশূল

প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর দস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজের ২৩ জন পাকিস্তানি নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। আর নৌকাটিকে ভালো করে পরীক্ষানিরীক্ষার পর তা নিরাপদ স্থানে এনে স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এক্সে করা এক পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে ইন্ডিয়ান নেভি।

প্রসঙ্গত, আরব সাগরে বিগত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন জাহাজ এবং নৌকাকে সোমালি জলদস্যুদের হামলার কবলে পড়তে হয়েছে। বেশ  কয়েক বছর পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই দস্যুরা। এর আগে ১৭ মার্চ প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজকে উদ্ধার করে  ইন্ডিয়ান নেভি। জাহাজের দখল নেয়া ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা নেয়া হয় ভারতে। উদ্ধার করা হয় জাহাজের ১৭ সদস্যকেও।


আরও খবর



অবসর নিয়ে মুখ খুললেন চোটে ভোগা মেসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ক্যারিয়ারে চোটের সঙ্গে খুব বেশি যুদ্ধ করা না লাগলেও মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই লিওনেল মেসিকে ভোগাচ্ছে চোট। চোটের কারণে মায়ামির হয়ে ঠিকঠাক খেলতে পারেননি প্রাক-মৌসুমে। আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচেও খেলতে পারেননি বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। তাইতো ভক্তদের মনে শঙ্কা জেগেছে, তবে কি অবসরের সময় ঘনিয়ে আসছে প্রিয় তারকার?

একটি সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন মেসি। অবসর নিয়ে সঞ্চালকের করা প্রশ্নের জবাবে মেসি বলেন, আমি যেই মুহূর্তে মনে করব যে আমি আর পারফর্ম করার জন্য তৈরি না, নিজেকে (মাঠে) উপভোগ করছি না বা সতীর্থদের সাহায্য করতে পারছি না, আমি অবসরে যাব।’

নিজের ব্যাপারে বিশ্বসেরা এই ফুটবলার বলেন, আমি নিজের অনেক বড় সমালোচক। আমি জানি কখন আমি ভালো, কখন খারাপ, কখন আমি ভালো খেলি, কখন খারাপ খেলি। যখন আমি অনুভব করব যে পদক্ষেপ (অবসরের) নেওয়ার সময় এসেছে, আমি বয়সের কথা চিন্তা না করেই নিয়ে নেব। যদি আমি ভালো বোধ করি, আমি খেলা চালিয়ে যাবো। কারণ, এটিই আমি পছন্দ করি এবং আমি জানি কীভাবে করতে হয়।’

অবসরের পর কী করবেন সেই চিন্তাও এখনো পর্যন্ত করেননি মেসি, অবসর নেওয়ার পর আমি কী করব তা নিয়ে এখনো ভাবিনি। ভবিষ্যতের কথা না ভেবে, প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তগুলো উপভোগের চেষ্টা করি আমি। আমার কাছে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়, আমি আশা করি খেলা আরও দীর্ঘ সময় চালিয়ে যেতে পারব, যা আমি পছন্দ করি।’

খেলোয়াড়ি জীবনে কোনো কিছু অপূর্ণ নেই উল্লেখ করে মেসি বলেন, আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমার পক্ষে যা কিছু সম্ভব, সব স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পেরেছি।’


আরও খবর



ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গোপনে পাওয়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করেছে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মার্চে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন। এ মাসে অস্ত্রের চালান দেশটিতে পৌঁছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রুশ লক্ষ্যবস্তুতে কমপক্ষে একটি হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের আরও একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) পাঠিয়েছিল। ওই সময় তারা আরও শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার পাঠাতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনায় ইউক্রেনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস পাঠানো হয়েছে।  তিনি বলেন, ইউক্রেনের অনুরোধে কৌশলগত নিরাপত্তার কারণে বিষয়টি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ঠিক কতগুলো অস্ত্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। আর নতুর সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে গত মঙ্গলবার অধিকৃত বন্দর নগরী বেরদিয়ানস্কে রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় এবং রুশ সৈন্যরা ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে আসায় কিয়েভ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি করে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যুদ্ধে উভয়পক্ষের ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ সেনাসদস্য। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া ২২ জনকে সহযোগিতা করছে সংস্থার সদস্যরা।

আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়।

গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।


আরও খবর



কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার: যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া চাই আমরা।

এরপর ভারত সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবানাকে তলব করে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ৪০ মিনিটের বৈঠক করেন তার সঙ্গে।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন আচরণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানায়। তারা জানান, প্রত্যেক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ও সার্বভৌমত্বের ওপর শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চার জন্য এই শ্রদ্ধাবোধ সবার দায়িত্ব। নাহলে অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের আইনি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হন তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় কেজরিওয়ালকে জেরা করার জন্য ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি আসেননি। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে।


আরও খবর