আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
উন্নয়নের ছোঁয়ায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে

বিলাসবহুল ও গতিবেগের ট্রেনে বদলে গেছে চিত্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। লাল সবুজ কোচের বিলাসবহুল ট্রেন, নতুন গন্তব্য, নতুন স্টেশন- সব মিলে রেলের সেবার মান এক লাফে বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য রেল এখন বড় আশীর্বাদ। তাদের ভাষায়, বিএনপি সরকারের আমলে রেলের কোনো অগ্রগতি তো হয়ইনি, বরং দিন দিন ট্রেন, স্টেশন সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। অবহেলা অবজ্ঞায় ব্রিটিশ আমলের রেল ঝিমিয়ে পড়তে পড়তে একেবারে নিঃশেষ হতে চলেছিল। সেই রেল যেনো হঠাৎ করেই প্রাণ ফিরে পেয়েছে। মাটির নীচে তলিয়ে যাওয়া রেললাইনগুলো আবার জেগেছে কংক্রিটের স্লিপারে। যার উপর দিয়ে এখন ট্রেন চলছে একশ কিলোমিটার গতিবেগে। দ্রুতগামী সেই ট্রেন দেখার জন্য এখন নতুন করে মানুষ ভিড় করে রেললাইনের পাশে। উত্তরের মানুষ এখন অনায়াসে নীলসাগর, একতা, দ্রুতযান, লালমণি, রংপুর এক্সপ্রেসে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারে। রেল যোগাযোগ একেবারে সহজ হয়েছে উত্তরে চিলাহাটি থেকে দক্ষিণে খুলনা পর্যন্ত। ভারত থেকে মালবাহী ট্রেন আসছে চিলাহাটি দিয়ে।

পশ্চিমাঞ্চলের রেলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে রেলের সেবা পায় সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশব্যাপী রেলের যে আমূল পরিবর্তন হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও হবে-এ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। ২০১২ সালে পৃথকভাবে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠিত হওয়ার পর বর্তমান সরকার রেলকে গণমুখী করার উদ্যোগ নেয়। মাটির নিচে তলিয়ে যাওয়া রেললাইন আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়ে যায় কংক্রিটের স্লিপারের উপরে। ৫০ বছরের পুরনো লোকোমোটিভকে (ইঞ্জিন) ঘানি টানা থেকে রেহাই দিতে কোরিয়া ও ভারত থেকে আনা হয় নতুন লোকোমোটিভ। ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয় বিলাসবহুল কোচ। অচল রেললাইন আধুনিকায়ন করা হয়। সেই রেল লাইন দিয়ে এখন একশ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলে ট্রেন। কয়েক বছর আগেও উত্তরাঞ্চলের চিলাহাটির মানুষের যোগাযোগের প্রধান বাহন ছিল বাস। ট্রেন ছিল কর্মজীবী কিছু গরীব মানুষের বাহন। সমাজের উচ্চবিত্ত তো দূরে থাক মধ্যবিত্তরাও যে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন সে পরিবেশ ছিল না। চিলাহাটির কুলি সর্দার তপু বলেন, ভ্রমণ করার মতো ট্রেন এই অঞ্চলে বহুদিন ধরেই ছিল না। লোকাল ট্রেন সকালে একটা বিকালে একটা চলতো। সেগুলোতে পরিবেশ বলে কিছু ছিল না। আবার ট্রেনের সময়েরও কোনো আগা-মাথা ছিল না। ডোমার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনীয়া বলেন, রেল এখন অনেক উন্নত, ট্রেনগুলো এখন অনেক স্মার্ট, বিলাসবহুল। পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে লালসবুজের দ্রুতযান, একতা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। চিলাহাটি থেকে যাচ্ছে নীলসাগর। বর্তমান সরকার আমলে রেলওয়ের উন্নয়ন হচ্ছে, নতুন নতুন ট্রেন চালু হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশন চালু হয়েছে, রেললাইন সংস্কারসহ সিগনালিং ব্যবস্থাও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে চিলাহাটি স্টেশনে নতুন ভবন নির্মাণ ও রেল লাইন সংস্কার করায় বর্তমানে এ স্টেশন এক অনন্য রূপ পেয়েছে। স্টেশনের একেকটি ভবন একেক রঙে রাঙানো হয়েছে। পুরো প্লাটফর্ম এখন চকচকে ও পরিষ্কার।

স্থানীয় বাসিন্দা সাদাত হোসেন সাদা বলেন, আগে চিলাহাটি স্টেশনের পাশ দিয়ে যারা নাক চেপে ধরে হাঁটতেন, এখন তারাই কেউ কেউ বিকেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসেন। সন্ধ্যা হলেই জ্বলে ওঠে শতাধিক বৈদ্যুতিক বাল্ব। যেগুলোর আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে দেশের সর্বউত্তরের এই স্টেশনটি।

চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম জানান, যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য চিলাহাটি-সৈয়দপুর ৫৩ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কারের কাজ শেষে চিলাহাটি নতুন রূপ পেয়েছে। এ ছাড়াও চিলাহাটি-সৈয়দপুর সেকশনে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন, চিলাহাটি স্টেশনের পরিদর্শন ঘর ও ওয়াশপিট স্থাপনে পৃথক একটি প্রকল্পের কাজও শেষ।

এক সময়ের ডেড স্টেশন চিলাহাটি স্টেশনে নতুন করে করা হয়েছে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম, স্টেশন ভবন, ইলেক্ট্রিক সাব স্টেশন, রানিং রুম (ট্রেনের স্টাফদের থাকার ঘর), নিরাপত্তা ব্যারাক, টিএক্সআর অফিস, ইঞ্জিন সেড, পানির ট্যাঙ্কি ও পানি সরবরাহ, ওয়াশ পাইপ লাইন ও কানেকটিং লাইন। তৈরী হয়েছে আবাসিক কোয়ার্টার ও অত্যাধুনিক সিগনালিং ব্যবস্থা। চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ, চলছে মালগাড়ী। খুব শীগ্রই চিলাহাটি-কলকাতা যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল করবে।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো ইউরোপীয় নৌবাহিনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাহাজটি এরইমধ্যে সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে বলে জানা গেছে। এবার বাংলাদেশি ওই জাহাজে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছে, গেল ডিসেম্বরে রুয়েন নামে মাল্টিজ-পতাকাবাহী একটি বাল্ক কার্গো জাহাজ আটক করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। দুদিন আগে (মঙ্গলবার) সোমালিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে পণ্যবাহী জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে; এই কাজে দস্যুরা রুয়েনকে ব্যবহার করে থাকতে পারে। খবর রয়টার্সের।

২০১৮ সাল পর্যন্ত এক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক জলপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এরপর তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড কমে আসলেও, গত বছরের শেষ দিক থেকে বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে।

রয়টার্স বলছে, ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে মঙ্গলবার জলদস্যুদের হামলার (বাংলাদেশি জাহাজে) তথ্য সঠিক হয়ে থাকলে তা এই দস্যুদের পুরনো কৌশলে ফিরে আসাকেই বুঝাবে। অর্থাৎ তারা যে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এ ঘটনা হবে তারই প্রমাণ।

ইইউ’র জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান ইউন্যাভফর (EUNAVFOR)-এর তথ্যানুযায়ী, ছিনতাইয়ের সময় অন্তত ১২ জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহ-তে উঠেছিল।

ইউন্যাভফর বলছে, এমভি রুইন ছিনতাই করা জলদস্যুরাই এই ছিনতাইকাণ্ডে (বাংলাদেশি জাহাজ) অংশ নিয়ে থাকতে পারে। তবে এমভি আবদুল্লাহ’র ক্রুরা নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে জানিয়েছে, অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালানোর জন্য মাদারশিপ’ হিসেবে এই জাহাজটিকে (এমভি রুয়েন) ব্যবহার করা হতে পারে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর



বাংলাদেশি রুহেলকে ধরিয়ে দিলে ২২ লাখ টাকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে রুহেল চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশিকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে দুজনকে অপহরণ, নির্যাতন এবং মুক্তিপণের জন্য হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছে এফবিআই। পরে বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কুইন্সের রাস্তা থেকে দুজনকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সাতজন সন্দেহভাজনের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী রুহেল চৌধুরী হলেন শেষ ব্যক্তি। তাকে ধরিয়ে দিতে গত ১ মার্চ এফবিআই একটি পোস্টারও প্রকাশ করে।

ফেডারেল প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, গত বছরের ২৭ মার্চ জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউয়ের কাছে ১৮১তম সেন্ট থেকে অপহরণকারীরা এক ব্যক্তিকে একটি হোন্ডা এসইউভিতে জোর করে তুলে নেন। পরে গাড়ির ভেতরেই তাকে মারধর করা হয়। পরে অপহরকারী দলটির সঙ্গে থাকা রুহেল চৌধুরী সারারাত ভিকটিমকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকিও দেন।

এ ঘটনায় অপহরকারী চক্রের সদস্য আবু চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইফফাত লুবনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রুহেল চৌধুরী এখনও অধরা রয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও বেশকয়েকটি অপহরণ, অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এফবিআইয়ের নোটিশে রুহেল চৌধুরীকে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করে কুইন্সের হলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা এলাকায় তার যাতায়াত রয়েছে বলে জানানো হয়। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং চোখের রঙ বাদামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ তাকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এফবিআই অফিস বা নিকটস্থ আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



আসন বাড়ানো নয়, মানসম্মত শিক্ষার পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ানো নয় বরং মানসম্মত চিকিৎসা ও শিক্ষার পক্ষে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, মনসম্মত চিকিৎসক-শিক্ষক ও পড়ার পরিবেশ থাকলে আসন বাড়ানো হবে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দিলাম কিন্তু মানসম্মত শিক্ষক বা ট্রেনিং দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে সেই আসন বাড়ানোর পক্ষে আমি না। যখন দেখব মানসম্মত চিকিৎসক আছেন, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ আছে, ভালো মানের ডাক্তার আছে তখনই আমি আসন বাড়াব।

বেসরকারি হাসপাতাল খাতে মনিটরিং জোরদার করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিষয়ে আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয় তাও নিশ্চিত করতে বলেছি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এবার মোট ৫০৭৯৫ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছে। এ বছর ডেন্টাল বিভাগে সরকারি মোট ৫৪৫টি এবং বেসরকারি মোট ১৪০৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র সংখ্যা মোট ১২টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ২০টি।

মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ১টি ও বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ৮টি ডেন্টাল ইউনিট আছে। বেসরকারি পর্যায়ে মোট ২৬টি ডেন্টাল কলেজ আছে। সারা দেশে পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ইসরাইলের কাছে পাঁচ মাসে শতাধিকবার মারণাস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে। গত বছর ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও চাপ উপেক্ষা করে ঘনিষ্ট মিত্র ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্রসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন তেলআবিবের কাছে শতাধিকবারেরও বেশি অস্ত্র বিক্রয় অনুমোদন দিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি নেতারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ না নিলেও অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখে ওয়াশিংটন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক এক গোপন নথিতে মার্কিন কর্মকর্তারা কংগ্রেসের সদস্যদেরকে জানিয়েছেন, হাজার হাজার দূরনিয়ন্ত্রিত অস্ত্র, ছোট ব্যাসের বোমা, বাঙ্কার বাস্টার, ছোট অস্ত্র ও অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্রসরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর শত বছরের নজিরবিহীন নির্যাতন-নিপীড়ন ও আল আকসা মসজিদের অবমাননার জবাবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূল-ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র কয়েকটি গোষ্ঠী। এরপরই হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল যা পাঁচ মাসের বেশি সময় অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার।

তেলআবিবের এই হত্যাযজ্ঞকে এরই মধ্যে গণহত্যা অভিহিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ। গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেই শুরু থেকেই এই গণহত্যায় জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে চলেছে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি নিয়ে অনেক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার গভীর উদ্বেগ সত্ত্বেও শতাধিকবার অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের মানে হলো পাঁচ মাসব্যাপী সংঘাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনও।


আরও খবর



রোজার আগে ৯০০ পণ্যের দাম কমাল কাতার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আসন্ন রমজানের আগেই ৯০০ পণ্যের দাম কমাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, যা রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।

রোববার (১০ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।

কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

কাতারে এবারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ আরও অনেক কিছু।

২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর