দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি
মেনে গত ১৬ অক্টোবর খুলেছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ। প্রথম দিনেই মুক্তি পায় আলোচিত-সমালোচিত
হিরো আলম অভিনীত ও প্রযোজিত ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিটি। কিন্তু
ছবিটি দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে নিতে পারেনি। এরপর আর নতুন ছবি মুক্তি পায়নি। কেউ ঝুঁকি
নিয়ে নতুন ছবি মুক্তি দিতে সাহসও করেননি। সবাই পরিস্থিতি বুঝে ছবি মুক্তির পরিকল্পনার
কথা জানান সে সময়।
সেরকম পরিস্থিতি বোধহয় সৃষ্টি হয়েছে। কেননা,
বিজয়ের এই মাসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি নতুন ছবি। এর মধ্যে আগামী ১১ ডিসেম্বর
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছোটপর্দার গুণী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় প্রথম
চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’। এই ছবিতে সিয়াম আহমেদ ও পরীমনিও জুটি
বেঁধেছেন প্রথমবার। আরও আছেন আলমগীর, চম্পা, ফজলুর রহমান বাবু, মুনিরা মিঠু, আনন্দ
খালেদ, হীরা, সুজন, সীমান্ত সহ আরো অনেকে। ছবির প্রযোজনায় রয়েছে পিকচার্স লিমিটেড।
এ মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে জনপ্রিয়
অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস অভিনীত ‘প্রিয় কমলা’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম
প্রযোজিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম
জয়। এই ছবিতে অপু বিশ্বাসের বিপরীতে রয়েছেন বাপ্পী চৌধুরী।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি
পাবে বাংলা সিনেমার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন শাকিব খান অভিনীত ‘নবাব এলএলবি’। অনন্য মামুন
পরিচালিত এই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহি। আরও আছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া, শাহেদ, আনোয়ার
প্রমুখ। প্রথমবারের মতো শাকিব খানের কোনও ছবি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
একই দিনে জয়া আহসান বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন
নতুন এক সিনেমা নিয়ে। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের উপন্যাস ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে নির্মিত
হয়েছে ‘নকশি কাঁথার জমিন’। আকরাম খান পরিচালিত
এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
তানভীর মোকাম্মেল নির্মিত ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রটিও
চলতি মাসে মুক্তির কথা রয়েছে। এছাড়া মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া
ভাই’। এ ছবির মাধ্যমে
নায়িকা হয়ে রুপালি পর্দায় ফিরছেন এক সময়ের আলোচিত শিশুশিল্পী প্রার্থনা ফারিদ দীঘি।
ছবিটি বিজয় দিবস উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে প্রযোজনা
প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া।
এই ছবিতে দীঘির বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত
শান্ত খান। ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ পরিচালনা করেছেন
সেলিম খান। অনেকেই প্রত্যাশা করছেন, বিজয়ের মাসে ঘুরে দাঁড়াতে পারে চলচ্চিত্রশিল্প।
নতুন ছবি মুক্তি পেলে আবারও সিনেমা হলে দর্শক ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র
সংশ্লিষ্টরা।