ভারতের বিহারে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে উড়ে গেছে বাড়ি। এতে শিশুসহ নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রাজ্যের পুলিশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর জিনিউজের।
পুলিশ জানিয়েছে, ভাগলপুর জেলার তাতারপুর থানা এলাকার কাজভালিচকের একটি বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরণটি ঘটে। এর ফলে পুরো শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশের নজর এড়িয়ে অবৈধভাবে কীভাবে বোমা বাঁধা চলছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশপাশের ৪টি বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে। ঘটনাস্থলের ১৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে ভাঙা বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর ভাগলপুর রেঞ্জের ডিআইজি সুজিত কুমার, জেলা শাসক সুব্রত কুমার সেন, এসএসপি বাবু রাম ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ডিআইজি জানান, একটি বাড়িতে অবৈধভাবে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। ঠিক সে সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। তাতেই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেককে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ কয়েক ঘণ্টার পরিশ্রমের পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেয়।
প্রতিবেশীরা এবং আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, আতশবাজি তৈরির আড়ালে ওই বাড়িতে বোমা তৈরি করা হয়েছিল।