জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, সি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ শহীদ ডা. মিলন হলে কেক কাটা হয়।
কর্মসূচির শুরু হয় শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনসহ জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর বেলুন উড়ানো হয়। পরে বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে এবং সি ব্লকের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালে জাতির পিতার নামে আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের দিনে সবার শপথ নিতে হবে, যে যার কাজ সততার সঙ্গে করবো। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিরলস পরিশ্রম করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। শিক্ষার মান আরও বাড়াতে হবে। গবেষণার মানও বাড়াতে হবে। সেবার মান আগের থেকে যেমন করে করোনার সময় বাড়াতে পেরেছি ঠিক তেমন করে আরও বাড়াতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা এমন করতে হবে যাতে দেশের বাইরে কাউকে চিকিৎসা নিতে যেতে না হয়। বিশ্বের সর্বাধুনিক অপারেশনের ব্যবস্থাপনা করার জন্য প্রয়োজনী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমাদের এখানে শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসার মান বাড়াতে পারলে শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করা হবে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ ছিল না, রোগীদের সুবিধার্থে তা চালু করা হয়েছে। শিগগির রোবোটিক সার্জারি চালু হবে। গবেষণা কার্যক্রম অতীতের তুলনায় অনেক জোরদার করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং রোগীদের যাতে বিদেশে যেতে না হয় সে লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।
কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।