আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

বিএসএমএমইউতে স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস উদযাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান, র‌্যালি, সেমিনার, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ ও হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এসকল কর্মসূচীর প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। তবে আমরা যদি স্বেচ্ছায় রক্তদান করি বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তি রাখতে সহায়তা করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, দেশের মানুষ ভালো থাকবে। মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে সুস্থ মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার এবং রক্তের ক্যান্সার প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

মহতী এই আয়োজনে মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন শাহ, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন প্রমুখসহ উক্ত বিভাগ দ্বয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   


আরও খবর
আরও কোমল টিস্যু নিয়ে বাজারে এলো বসুন্ধরা

বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিশ্বের সব থেকে বিষধর দশটি সাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাপের নাম শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। অনেকে আবার সাপ দেখলে ঘৃণাতে মুখ সরিয়ে নেন। সাপকে প্রাণি হিসেবে আমরা যে কারণে ভয় পাই তার মূল কারণ হচ্ছে এর বিষ। বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়, তাই বিষাক্ত সাপ থেকে সবাই দূরে থাকে। এই সাপের মধ্যে কিছু আছে বিষহীন, আবার কিছু আছে খুবই বিষাক্ত। পৃথিবীর সব থেকে বিষধর সাপ কোনগুলো? এ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

১০.র‌্যাটল স্নেক

যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায় এই র‌্যাটল স্নেক। এদের লেজের দিকে ঝুনঝুনি সদৃশ বিশেষ অঙ্গ তাকে যার সাহায্যে তারা শব্দ করতে পারে। শরীরে দুই-তৃতীয়াংশ লাফিয়ে আক্রমণ করে থাকে। এটি উত্তর আমেররিকার সব থেকে বিষধর সাপ। এই সাপে কামড়ালে শিশুদের দ্রুত মৃত্যু হয়। এই সাপের বিষ টিস্যু নষ্ট করে ফেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় ফলে এর সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এই সাপে কামড়ানোর পর শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস, বমি, রক্ত বমি, চেতনাহীন হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৯. ডেথ এডার

ডেথ এডার সাপ বিষের দিক থেকে নবম স্থানে রয়েছে। নামের সাথে এই সাপের কামড়েরও যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউগিনিতে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। ডেথ এডার মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে কামড়িয়ে মারে এবং খেয়ে ফেলে। এক কামড়ে এই সাপ ৪০-১০০ মিলিগ্রামের মত বিষ ঢেলে দেয়। এই সাপে কামড়ালে শ্বাস কষ্ট ও প্যারালাইসিস দেখা দেয়। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কামড়ে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে। এই সাপ একবার বিষ ঢালার পর দ্রুততম সময়ে এদের বিষ থলিতে আবারও বিষ উৎপাদন করতে পারে।

৮. ভাইপারস

ভাইপারস মূলত সাপের একটি জাত। এই জাতের অনেক ধরনের সাপ আছে। সারা বিশ্বেই ভাইপারসদের দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়ার ভারত, চীন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এদের বেশি দেখা যায়। এরা খুব দ্রুত রেগে যায় এবং প্র্রধানত রাতের বেলা শিকারে বের হয়। এরা খুব দ্রুত আক্রমণ করে থাকে। ভাইপারসে কামড়ালে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পরে শ্বাসকষ্টের সাথে প্যারালাইসিস দেখা দেয় এবং হৃদস্পন্দন আস্তে আস্তে কমে যায়। এই সাপে কামড়ালে শরীরের উপর থেকেই বোঝা যায় যে রক্ত জমাট বেধে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। যদি দ্রুত চিকিৎসা দেয়া যায় তাহলেও ২-৪ সপ্তাহ নাগাদ প্রচণ্ড ব্যথা থাকে।

৭.ফিলিপাইনন্স কোবরা

পৃথিবীর সব কোবরাই বিষাক্ত এবং ভয়ানক সাপ। কিন্তু অন্যসব কোবরা থেকে ফিলিপাইন কোবরা একটু আলাদা। কোবরা প্রজাতির মধ্যে এরাই সব থেকে বেশি বিষধর। এরা প্রায় তিন মিটার দূর থেকে বিষ ছুড়ে মারতে পারে।এই সাপে কামড়ালে আধা ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর অবশ, মাথা ঘোরানো, বমি, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পাতলা পায়খানাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৬. টাইগার স্নেক

টাইগার স্নেক অন্যতম বিষাক্ত সাপ। এই সাপে কামড়ানোর তিরিশ মিনিটের মধ্যে মানুষ মারা যায়। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এরা সাধারণত মানুষ দেখলে ভয়ে পালায়। কিন্তু একবার ক্ষেপে গেলে এই সাপ বেশ ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে। টাইগার স্নেকের নিশানা কখনো মিস হয় না।

৫. ব্ল্যাক মামবা

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্ল্যাক বামবা নামক ভয়ঙ্কর এই সাপের দেখা মেলে। ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের জন্য এরা বিশ্বে প্রথম। কোন ব্যক্তি যদি একবার ব্ল্যাক বামবার পাল্লায় পড়েন, তাহলে কামড় না খেয়ে ফিরে আসতে পারবেন এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এই সাপ যাদের উপর ক্ষেপে যায় তাদেরকে ঘোড়ার মত তাড়া করে কামড়ে দেয়। এরা বেশ দ্রুতগামী। দেখতে প্রধানত কাল হয়। প্রায় বিশ কিলোমিটার ঘন্টা গতিতে তাড়া করার ক্ষমতা রাখে ব্ল্যাক বামবা। একই সারিতে ১২বারের বেশি কামড়ে দেয় এরা। এদের প্রতিটি কামড়ে ১০০-১২০ গ্রাম বিষ বের হয় যা ১০-২৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

৪. টাইপান

টাইপান সাপ অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। টাইপানের এক কামড়ে ১২ হাজার গিনিপিগের মৃত্যুর মত যথেষ্ট বিষ থাকে। এর বিষ রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। এই সাপের কামড় থেকে বেঁচে ফিরেছেন এই সংখ্যা খুবই কম। যথার্থ চিকিৎসা দেয়া হলেও অনেক সময় রোগিকে এক নাগারে বহুদিন নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকতে হয়।

৩. ব্লু ক্রিট

ব্লু ক্রিট সাপ দেখতে পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে। ক্রিট অন্য সাপ শিকার করে এবং খেয়ে বাঁচে। রাতের বেলা বের হয়।অন্ধকারে আক্রমণ করতেই এরা বেশি পছন্দ করে। এই সাপ নিজেদের প্রজাতিকে খেয়ে ফেলে। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ। এই সাপের বিষ একবার শরীরের ভিতরে ঢুকলে শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়।

২.ইনল্যান্ড টাইপান

টাইপান সাপের মধ্যে এই ইনল্যান্ড টাইপান্ড আরেকটি জাত। বিষের কার্যক্ষমতার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান সাপের অবস্থান দ্বিতীয়। এদেরকে ক্ষুদ্র-আঁশের সাপও বলে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে সাপটি দানদারাবিল্লা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, এই সাপ এক দংশনে যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে তাতে অনায়াসে শতাধিক পূর্ণ-বয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটা সম্ভব। কোনরূপ প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিলে এই সাপে দংশনের সময় থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। এরা ঋতুর সাথে রঙ বদলায়- গ্রীষ্মে জলপাই রঙের আর শীতে ধূসর। আফ্রিকার ব্ল্যাক মামবা বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লম্বা কিং কোবরার মতো এরা ক্ষিপ্র ও আক্রমণাত্মক নয়। ভয়াবহ রকমের বিষাক্ত এই সাপ সচরাচর মানুষের সান্নিধ্যে আসতে চায় না, আক্রমণও করতে চায় না। এদের বিষ কোবরার থেকে ১৫ গুন বেশি শক্তিশালী।

১. বেলচারস সী স্নেক

ভেনামাস প্রাণিকূলে সরীসৃপের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত হলো বেলচারস সী স্নেক। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলের সাগরের জলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এই সাপের এক কামড়ে যতটুকু বিষ বের হয় তা দিয়ে প্রায় এক হাজার পূর্ন বয়স্ক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু এই সাপটি খুবই শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার সময় জালের ভিতরে ধরা পড়ে। এই সাপ মাঝে মাঝেই ভূমিতে যায়।পানির নিচে এরা ৭৮ ঘন্টা দম বন্ধ করে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তারা শিকার ধরে এবং বিশ্রাম নেয়।


আরও খবর



নির্বাচনে ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চায় না ইসি: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক তা নির্বাচন কমিশন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি একথা বলেন।

নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এমন বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, তফসিলের আগে এমন চিঠি দিতে কোনো বাধা নেই। পাঁচ বছরের পুরো সময়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য ও এখতিয়ার রয়েছে।

সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব- যেগুলো বাধ্যতামূলক আমাদের করতেই হবে। তফসিলটা হচ্ছে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়। যেখান থেকে ধাপে ধাপে আমাদের পোলিং ডে এবং নির্বাচন ঘোষণা করতে হয়। এখন নির্বাচনের আগেও যদি কোনো কিছু যা নির্বাচনের আস্থাভাজন, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের তাদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জামালপুরের ডিসির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আমরা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তাকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকদের সতর্কবার্তা দিতে যেন এ ধরনের আচরণ না হয়। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে বিরোধী দল যা বলছে তা নিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এমন জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না এই মুহূর্তে। তবে অবশ্যই আমরা ভোটের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ। নির্বাচন ৩ মাস পরে, ৪ মাস পরে, ছয় মাস পরে হবে। কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন>> নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা তো বলেন আমরা পারি না। মনে করেন কালকে জেলা প্রশাসকরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলো। তারা ঢাকায় চলে এসে বললো এবার আমরা একটা বিশেষ দলকে অবশ্যই অবশ্যই ক্ষমতায় আনবো। নির্বাচন মনে করুন ছয়মাস পরে। এখন আমরা কী নিশ্চুপ বসে থাকবো? তাদের কিছু একটা ইনস্ট্রাকশন তো দিতে হবে। যে এভাবে আপনারা আচরণ করতে পারেন না। কারণ জেলা প্রশাসক পদটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের দেখতে হয়। কাজেই আমরা কোনো অবস্থাতেই চাইবো না জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ।

জামালপুরের ডিসির প্রত্যাহার আইওয়াশ বলে বিরোধীদল মনে করছে। এমন প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, এর উত্তর দেব না। জামালপুরের ডিসির মতো আরও কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা নির্বাচন কমিশন- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যদি আমাদের কাছে এমন কিছু প্রতীয়মান হয় তাহলে অবশ্যই এমন উদ্যোগ নেব।

সিইসির কাছে প্রশ্ন ছিলো- প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়ার বিষয়ে কী কমিশনের কোনো এখতিয়ার আছে কিনা।জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর চট করে দিতে পারবো না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, সবাই কথা বলছেন। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন আপনারা আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি। কিন্তু তিনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টিও ভোট চাইছে কিন্তু বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় তারপরে যে নির্বাচনী আচরণ...তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না সেটা আমরা জানি না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না সেটা আমরা জানি না। কাজেই সেটা সময় হলে আমরা দেখবো।

নতুন করে যে সংলাপ হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে কিনা, এ থেকে অর্জন কী- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, অর্জন তো ওখানে বলা হয়েছে। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। যেমন এই আমার ওপরও একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। যারা বিশিষ্টজন তারা কী বলতে চান। দায়িত্বটা শুধু আমাদের না। সরকার, রাজনৈতিক দল, ভোটার সবার যে দায়িত্ব রয়েছে এমন সেমিনার বা আলোচনা থেকে সে ব্যাপারে কিছুটা হলেও দায়িত্ববোধ বা চাপ সৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



ছাড়ের খবরে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক, ফাঁকা নেই হোটেল-মোটেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

সপ্তাহব্যাপী চলা পর্যটন মেলা ও সরকারি ছুটিতে লাখো পর্যটক ভিড় করছেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। শুধু সমুদ্রকৈতদ নয়, পর্যটকরা ছড়িয়ে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও। এসব পর্যটকদের বিভিন্ন সেবার পাশাপাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিচ কার্নিভ্যালের নানা অনুষ্ঠান থাকায় পর্যটকের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যটকে ঠাসা। শুধু সৈকত নয়, পর্যটকরা দিনব্যাপী ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানীর পাথর রাণী সৈকত, হিমছড়ি ঝর্ণা, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, শহরের বার্মিজ মার্কেট, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও রামুর বৌদ্ধ বিহারসহ কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিন দিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছেন লাখো পর্যটক। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। ফলে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। উৎসবে মেতেছে পুরো কক্সবাজার।

তবে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হলেও, তা অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ছাড় দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক পর্যটক। তবে সার্বিক নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

কুমিল্লা থেকে আসা সোহেল, আরমান হোসেন ও রিমনের অভিযোগ, ১৫টি খাতে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা শুনে বুধবার কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছি। কিন্তু ওই দিন একাধিক হোটেল-মোটেলে গিয়ে কোনো ছাড় পাইনি। উল্টো কক্ষ খালি নেই বলে বেশি দাম নিয়েছেন হোটেল মালিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাতলী হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌখিন খান বলেন, দুই-একটি হোটেল-মোটেলের মালিক এমনটি করতে পারে। বিষয়টি অস্বীকার করছি না। তবে গত দুই দিন ছাড় দেওয়া হয়েছে, এটা সত্য। এরই মধ্যে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। হোটেলগুলোর সব কক্ষ বুকিং থাকায় হয়তো কেউ কেউ এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। তবে আমরা কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুরো সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানালেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, মেলায় নিরাপত্তায় ঘাটতি নেই। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সৈকতে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম আশা করা হচ্ছে। পর্যটন দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী চলমান পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল ঘিরে পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে তারা। কোনো পর্যটন স্পটে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পর্যটকদের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। যেখানে অনিয়ম হবে, সেখানে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও পর্যটক আসুক। পর্যটন শিল্পের বিকাশ হোক।


আরও খবর



জাজিরায় আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর)প্রতিনিধি:

দেশের জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ বছর পুর্তি উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল এগারোটায় উপজেলা পরিষদ ভবনে দ্বিতীয় তলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা ও কেক টাকার আয়োজন করা হয়।

দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শাওন বেপারীর সঞ্চালনায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানজিদ মাহমুদ (সুজন) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি  অনুষ্ঠিত হয়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সোহেল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাজিরা পৌর মেয়র ইদ্রিস মাদবর, জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন, জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমন মোল্লা, জাজিরা থানার ওসি তদন্ত সুজন হক, জাজিরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ, জাজিরা উপজেলার সহকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ মিয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  অফিসারের সিএ শাহরিয়া আহমেদ শৈবাল,  কুন্ডেচড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বেপারী, জাজিরা পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রতন বেপারী, জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি মোঃ ফারুক হোসেন। উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন, জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সর্বোচ্চ কমিটি সদস্য মোঃ সিরাজ জমাদ্দার, দিন প্রতিদিন পত্রিকার জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধ সাইদ আকন, সাপ্তাহিক হৃদয়ের শরীয়তপুর পত্রিকার জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি সাগর মিয়া, দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম নয়ন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ পত্রিকায় জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ, দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রাজিব মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা।

পরে বিশেষ আলোচনা ও কেক কেটে অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



শিক্ষকতার চাইতে মহান পেশা আর নেই : ফরহাদ হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মেহেরপুর প্রতিনিধি

Image

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, শিক্ষকতার চাইতে মহান পেশা আর নেই। আমি নিজে একজন শিক্ষক, এখনও ঢাকা সিটি কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। একটি সন্তানকে সফল হিসেবে গড়ে তোলা একটি মহৎ কাজ। সে সফল হলে সম্মান বাড়ে পুরো পরিবার, শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশিদেরও। আর সেই কাজটিই করে থাকেন শিক্ষকেরা।

আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ সুপেয় পানির একটি প্লান্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলে বলেন।

তিনি আরো বলেন, এ বিদ্যালয়ে কেটেছে আমার শৈশব। এখানেই পড়ালেখা করেছি আমি। ফলে এ বিদ্যালয়ের প্রতি আমার একটি আলাদা অনুভূতি কাজ করে। যদিও জেলার সকল বিদ্যালয়ে অবকাঠোমে নির্মাণ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার পড়ালেখা করা বিদ্যালয়টি ও সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত অবকাঠোমো নির্মাণ করতে পারিনি। তবে মাটি পরিক্ষার কাজ চলছে। দ্রুত দুটি বিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

৬ তলা বিশিষ্ট ভবনে থাকবে ১৮ টি ক্লাস রুম। তিনটি রুম মিলে তৈরি করা হবে একটি অডিটরিয়াম। সেখানে ক্লাস পরিক্ষা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানোর আয়োজন করতে পারবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান এর সভাপতিত্ব  বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের প্রশাসক শফিকুল ইসলাম। এসময় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরাসহ অভিভাবক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর