আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

বিএসএমএমইউর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভারতের এইমস পরিদর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভারতের  দিল্লীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্স (এইমস)  পরিদর্শন করেছে।  সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে এ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গবেষণায় অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। গবেষণার মান আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা বিশ্বের প্রখ্যাত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে বিএসএমএমইউ'র দোয়ার উন্মুক্ত করেছে। পারস্পারিক জ্ঞান বিনিময়ের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে সমঝোতা করছি।

বিএসএমএমইউ প্রতিনিধি দল এইমসের ফুল অটোমেটেড  স্মার্ট ল্যাব পরিদর্শন করেন।একই সময় অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্সের সাথে গবেষণা, গবেষণা প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিনিমযের আলোচনাও হয়। আলোচনায় ভবিষ্যতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে সম্মত হয় এ দুটি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট এবং ফ্যাকাল্টিরা এইমস থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।  বিএসএমএমইউ সেখান থেকে আধুনিক চিকিৎসার প্রযুক্তি জ্ঞান নেবে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্সও গবেষণার কাজে বিএসএসএমইউর কাছ থেকে সহযোগিতা পাবে।

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ,  ল্যাবরেটোরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শ্রীনিভাস, এক্সট্রানাল এফিয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ডা. মিনু ভাজপাই,  এইচওডি  অধ্যাপক ডা. সুব্রত স্নিহা, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদ্বীপ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপাচার্যের নেতৃত্বে এ উচ্চ প্রতিনিধি দল ভারতের আরেকটি প্রখ্যাত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল পরিদর্শন করেন।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট (ইডি)। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডির ১২ সদস্যের একটি দল তল্লাশির ওয়ারেন্ট নিয়ে আম আদমি পার্টি প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসায় যায়। গ্রেফতারের আগে সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলাটি তারা মানিলন্ডারিংয়ের দিক থেকে তদন্ত করছিল।

ইডির দল বাসায় ঢুকে কেজরিওয়াল ও তার স্ত্রীর ফোন নিয়ে নেয়। এছাড়া দুটি ট্যাবলেট ও একটি ল্যাপটপ থেকে তথ্য স্থানান্তর করে।

ইডির দল যখন তাকে বাসায় জিজ্ঞাসাবাদ করছিল তখন বাইরে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন ছিল। এসময় সেখানে দলের অনেক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করতে থাকেন।

এ সময় দিল্লির মন্ত্রী অতিশি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ইডি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। দুই বছর আগে থেকে তদন্ত শুরু হলেও ১০ হাজার বার তল্লাশি চালিয়েও দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের কাছ থেকে ইডি বা সিবিআই এক রুপিও উদ্ধার করতে পারেনি।

কেজরিওয়ালকে নির্দোষ দাবি করে অতিশি বলেন, তাদের লড়াই চলবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। আজ রাতেই এই মামলার শুনানির জন্য আমাদের আইনজীবী কোর্টে যাবেন।

স্বাধীন ভারতে কেজরিওয়ালই প্রথম যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হলেন। তবে গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সাজা মৃত্যুদণ্ড করার মত হাইকোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কোরআন শরিফ, নবী-রাসুলসহ সকল ধর্মীয় বিষয়ে কটূক্তি করলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে জামিন অযোগ্যসহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করতে মতামত দিয়েছেন হাইকোর্ট। হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় করা মামলায় এক আসামির জামিন আদেশে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমন মত দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, পূর্ববর্তী আইনে জামিন অযোগ্য ধারা ছিল। বর্তমান আইনে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কটূক্তি করলে জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। আদালত বলেছেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। কোরআন শরিফ ও হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিজ্ঞানী নিউটন, আইনস্টাইনসহ কেউ কখনো প্রশ্ন তোলেননি। এ সময় আদালত পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা আশশুরার কয়েকটি আয়াতের বিষয়ে অবতারণা করেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাহাব উদ্দিন আহমেদ টিপু ও মো. মজিবুর রহমান মুজিব। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ২৫ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির বিনিময়ে রুল নিষ্পত্তি করে আসামি সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আর আসামি নাফিসা চৌধুরীকে সম্পূরক চার্জশিট করে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে গত বছরের ২ নভেম্বর ফেসবুকে নাফিসা চৌধুরী একটি পোস্ট দেন। তাতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সেলিম খান নামে এক ব্যক্তি হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ওই ঘটনায় কুষ্টিয়ার হানিফ শাহ ৪ নভেম্বর ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গ্রেপ্তার হন সেলিম খান। তিনি জেলা আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে রুল জারি করা হয়। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ওই রুল নিষ্পত্তি করে জামিন দেন হাইকোর্ট।

তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেন। যাতে আসামি সেলিম খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে পোস্টকারী নাফিসা চৌধুরীকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। হাইকোর্ট বলেছেন, তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকায় সম্পূরক চার্জশিটের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর



গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে নিহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) গাজার আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে এসব ত্রাণ ফেলা হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সংবাদিক সিএনএনকে জানান, বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছে। তবে কোন দেশের বিমান ছিল, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

মাথায় ত্রাণ পড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-শেখ। আহত কয়েকজনকে ওই হাসপাতালেই প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ৫ মাস ধরে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে গাজাবাসী। অনাহারে থাকা এসব মানুষকে সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ধরে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ। তবে গাজার দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, যে পরিমাণ মানুষ অনাহারে রয়েছে সেটির তুলনায় এই ত্রাণ কিছুই না।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত এবং ১৪২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে টানা ৫ মাসের ইসরায়েলি হামলা ও অভিযানে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।


আরও খবর



গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার বিএনপি নেতা বাবু গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় ২০১২ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ২০১২ সাল থেকে পলাতক এজাহার নামীয় কুখ্যাত আসামী রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ বাসাবো এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবু (৫২)-কে গ্রেফতার করা হয়।

বিবৃতিতে আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। উক্ত সময় সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস আসলে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং গাড়ির যাত্রীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখে গাড়ির যাত্রী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কিছুসংখ্যক সাধারণ লোকজন গুরুতর আহত হয়। গাড়ী ভাংচুরের শিকার ড্রাইভার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

গ্রেফতারকৃত কাজী বাবু ২০১২ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৪নং ওয়ার্ড এর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিল। উক্ত সময়ে তার নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একাধিক নাশকতা কার্যক্রম চালায়। সে ২০১৩ সালের নাশকতা মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন জেল খেটে  জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই ধৃত আসামী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত মামলায় কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত কাজী বাবুর বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় ০৩ টি নাশকতা মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।


আরও খবর



চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, গুরুতর আহত চালক হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রেনের চালক মো. আতিকুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি বোকাইনগর এলাকায় একটি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রেনচালক আতিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্তব্যরত রেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বোকাইনগর এলাকার একটি সেতুর কাছে আসতেই দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করে। এতে পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক আতিকুল ইসলামের নাক ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছাকাছি নিয়ে থামিয়ে দেন। পরে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান রেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া।


আরও খবর