যশোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য রইশুদ্দীনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, আজ বিকেল ৪টায় শিবগঞ্জ উপজেলা স্টেডিয়ামে বিজিবির হেলিকপ্টারে মরদেহের কফিন নিয়ে আসা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ৫৯ বিজিবিরসহ অধিনায়ক মেজর ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে নিহতের বাড়িতে তার পরিবারের কাছে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় নিহতের বাবা-মা, স্ত্রী ও ভাইসহ আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রইশুদ্দীনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য আশপাশের হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। পরে ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। রইশুদ্দীন নিহত হওয়ার ঘটনাটি এ সময় সবার সামনে তুলে ধরেন ৫৯ বিজিবির পক্ষে সহঅধিনায়ক মেজর ইমরুল কায়েস। পরে শ্যামপুর-ভবানীপুর গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। সেখানে ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেনসহ বিজিবির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে যশোরের বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে রইশুদ্দীন নিহত হন। তিনি দুই সন্তান, স্ত্রী ও মা-বাবা রেখে গেছেন।
এর আগে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ জামিল চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে। পরে দায়িত্বরত বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা গেছেন।