আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে রেখেছে, বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমার মনে হয়, বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো। কারণ খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাস নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয় তাহলে তার জীবন শঙ্কায় পড়বে। সেটি বলার মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে পেলাম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হচ্ছেন এবং তিনি খুব আলো আছেন। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা ও দেখানো। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি সেটা সব সময় করে আসছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটি তাদেরই সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে আমি মনে করি গণমানুষের সংগঠন যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচনের বাইরে থাকে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে সে সংগঠন আর গণমানুষের সংগঠন থাকে না। সেই সংগঠন একটি স্বার্থ রক্ষা করার একটি সংগঠন হয়ে দাঁড়ায়।

বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিল রোজার ঈদের পর এমন আন্দোলন করা হবে যাতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেখুন এ ধরনের বক্তব্য ১৪ বছর ধরে শুনে আসছি। এগুলো শুনতে শুনতে মানুষের কাছেও হাস্যকৌতুক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি এ ধরনের হুমকি-ধমকি মানুষের কাছে হাস্যরসের তৈরি করে। বিএনপির কর্মীরাও এসব বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, গত বছরের ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপির ভেতরে আলোচনা হচ্ছে আন্দোলনের কি হলো, আন্দোলন এভাবে মাঠে মারা গেলো কেন? যে আন্দোলন তাদের মাঠে মারা গেছে সে আন্দোলন আর জীবিত করতে পারবে না।

বিএনপির মহাসচিব বিভিন্ন সমাবেশে বলে আসছেন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, তারা নির্বাচন করতে চায় না এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় গেছে। আমরা জনগণের শক্তিতে ও জনগণের রায় বিশ্বাস করি। বরং বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। সেজন্য তারা নির্বাচন বর্জন করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও সাধারণ মেম্বার নির্বাচন পর্যন্ত বর্জন করেছে। তার মানে তারা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছেন নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করেছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। বিএনপি বরং নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।


আরও খবর



আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলা যশোরের তাপমাত্রা কমেছে। এই জেলায় শনিবার (৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ৩টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল এই জেলায়। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিল মাসজুড়েই তীব্র তাপে পুড়েছে যশোর। এপ্রিলের শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এই জেলায়। সেদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতেই ভেঙে গেলো চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সব রেকর্ড।

এদিকে মে মাসের শুরুতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু গরম কমেনি। ১ মে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২ মে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও গতকাল রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৫ ও মোংলায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



২০২৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।

আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।

শুক্রবার ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।

এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে আয়োজন হয়ে আসছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ। সর্বশেষ গত বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। এ ছাড়া সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে লাতিন কোনো দেশ এখনো পর্যন্ত একবারও শিরোপার স্বাদ পায়নি। এবার বড় সুযোগ তাদের সামনে।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

আজ মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর ও মুজিবনগর নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৪ টি কেন্দ্রে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ' ৪ চারজন ভোটার রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ),আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) ও মোঃ হাসেম আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম (চশমা) ও মোহাম্মদ শাহিন (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপচেলা চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাশিরা পলি (হাঁস) এবং রোমানা আহমেদ (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ৮৫ হাজার ২শ' ৫৯ ভোটার রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হাসান চাদুঁ (ঘোড়া), এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিএম জাহিদ হাসান (টিউবওয়েল) ও মতিউর রহমান (চশমা), মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন (ফুটবল) ও যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তকলিমা খাতুন (কলস) প্রতীক পান।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো: ওয়ালি উল্লাহ জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচন এ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সট-মোঃ শামিম হাসান, জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেরপুর।


আরও খবর