রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে দলে দলে আসছেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
শুধু ঢাকা নয়, আশপাশের জেলা থেকেও আসছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ব্যাপক শোডাউনে অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা। ঘুরছে না গাড়ির চাকা। দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে সড়কে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর রমনা, মতিঝিল, শাহবাগ এলাকার সড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে। কাকরাইল এলাকা প্রায় বন্ধ। মৎস্য ভবন পুরোপুরি বন্ধ। শাহবাগ থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে চলাচল করতে পারছে না কোনো যানবাহন। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে অলিগলিতেও।
ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা ফাঁকা লেনে মিছিল করে সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। আরেক লেন যানবাহনের দখলে। মোড়ে মোড়ে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে যানবাহনগুলো আটকে থাকছে সড়কে। সড়ক ‘ক্লিয়ার’ না হওয়ায় স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছে।
সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী আখলাস হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। পথে ভোগান্তির শেষ নেই। এক ঘণ্টা এক জায়গাতেই আটকে আছি। সামনে কিংবা পেছনে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
আলিমুল ইসলাম নামে এক বাসযাত্রী বলেন, আমরা পড়েছি বিপদে। বাস যেন চলছেই না। সার্কিট হাউস রোড থেকে কাকরাইল মসজিদের সামনে ইউটার্ন করে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মোড়ে আটকে আছি।
ডিএমপির মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের মতিঝিল জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. শইমী ইমতিয়াজ বলেন, এখন পর্যন্ত মতিঝিলে জ্যাম দেখা দেয়নি। তবে চাপ আছে। কারণ রমনা এলাকায় আজ একটি দলের সমাবেশ। সেটার প্রভাবে পল্টন মোড়, বিজয় নগর, দৈনিক বাংলায় চাপ আছে।
ট্রাফিক রমনার শাহবাগ জোনের সহকারি কমিশনার(এসি) শেখ মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, গাড়ি চলছে না। সড়ক স্থবির। শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়কে থাকা গাড়ির চাকা ঘুরছে না। আমরা শাহবাগে চেষ্টা করছি ডাইভারসন করে বিকল্প পথে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।