আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতে চায় জামায়াত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপির দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনেও সওয়ার হতে চায় বিএনপির কাঁধেই। চার দলীয় জোটের শরিক হিসেবে দলটি এখনও বিএনপির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। তাদের এ মাখামাখি সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান গুঞ্জন থাকলেও জামায়াত নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতোই আছে। কেউ কেউ এ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাইলেও কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন না থাকায় আগামী নির্বাচনে তারা সরাসরি অংশ নিতে পারবে না। তাই বিএনপিই হচ্ছে তাদের একমাত্র ভরসা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে চারদলীয় জোটের (পরে ২০ দলীয় জোট) অন্যতম প্রধান শরিক জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব বেড়েছে বিএনপির। কিন্তু জামায়াত এই দূরত্বের কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কোনো দূরত্ব নেই। কৌশলগত কারণে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই নিজেদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতের দাবি, জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই। জামায়াতে ইসলামীর বেশকয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য তেমন কোনো তৎপরতা নেই। তবে ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী ফ্যাক্টর। সংগঠনটির সাংগঠনিক শক্তি যেমন আছে তেমনি আর্থিকভাবেও সংগঠনের অবস্থান জোরালো। মাঠ পর্যায়েও দলের সাংগঠনিক অবস্থান বেশ শক্ত এবং জনসমর্থনও আছে বলে দাবি জামায়াত নেতাদের। তবে তারা বলছেন, রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে জামায়াতের উপর। যাতে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কটা না থাকে। তারপরও তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে ছাড়বে না, ছাড়ার কথাও ভাবে না।

এদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে সমমনা ছোটবড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। সেই সংলাপে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করলেও জামায়াতের বিষয়ে বিএনপি নিরব রয়েছে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করছেন কি না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, কেন নয়? বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ধারাবাহিকতায় আমরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও আলোচনা করব, দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

জামায়াতও চায় একটা সুযোগ। কারণ নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলের রাজনৈতিক মোড় ঘোরানোর একটা সুযোগ হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা। সেজন্য তারা বার বার বলছে, বিএনপির সঙ্গে তাদের সখ্যতা আগের মতোই আছে। এদিকে বর্তমানে জামায়াতের কার্যক্রম চলছে গোপনে ও প্রকাশ্য দুইভাবেই। এতে করে জামায়াত আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যদিও ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহানগর কার্যালয় দুটিই গত এক দশক ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে দলের কোনো নেতা অফিসমুখী হননি। তবে রাজধানীতে দলীয় পোস্টার লাগানো ছাড়াও দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও অনলাইনে।

জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, দলটির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। এ বিশেষ সেল তিন ধরনের কাজ করবে- প্রথমত, আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী দলের নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা, দ্বিতীয়ত, নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা কারাগারে রয়েছে তাদের জামিনসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তৃতীয়টি, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে পালিয়ে বেড়ানো দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারকে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেই বিষয়ে খোঁজখবর রাখা।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিহিংসায় জামায়াতের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে আন্দোলন করতে হবে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে জামায়াত ইস্যুতে বিএনপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়। এর মধ্যে রাজনীতিতে নানামুখী অস্থিরতা সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেটা আংশিক সত্য হলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বিবেচনায় রেখে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা দরকার।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, রাজপথ এখন অনেকটাই ঠান্ডা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই। ইস্যুভিত্তিক বেশকিছু কর্মসূচি বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলেও জোটগতভাবে কবে শেষ কর্মসূচি পালন করেছে সেটি মনে করা কঠিন। জামায়াতে ইসলামী অতীতে এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ভাবলে মনে হবে- বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? সেক্ষেত্রে যদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকবে বলেও আমি মনে করি।

অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, দল গোছাতে বিএনপি দীর্ঘ সময় নিলেও জামায়াতে ইসলামী খুব একটা সময় নিচ্ছে না। দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম গোছানো। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে যেসব সাংগঠনিক শাখা কমিটি করতে পারেনি সেগুলোর কমিটি দ্রুতই গঠনের কাজ শেষ হবে।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তাদের ভাষ্য, জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আইনি জটিলতায় তাদের নিবন্ধন আটকে আছে। বিএনপির এক নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি এতো কিছু করতে পারে তাহলে জামায়াত কে নিষিদ্ধ করছে না কেন?

নিউজ ট্যাগ: জামায়াতে ইসলামী

আরও খবর
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ

শুক্রবার ১০ মে ২০২৪




স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে যা বললেন কারিগরির সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হওয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর এ বিষয়ে নিজ স্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ডিবি কার্যালয়ে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এদিন সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় তাকে তলব করে প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন? প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর বলেন, আমার স্ত্রী কোনো ভুল করেছে কি না আমি জানি না। আমি তার বিষয়ে কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা তার কাছে কি তথ্য পেয়েছে সেটিও জানি না। আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।

তাহলে আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।

কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কতগুলো হয়েছে।

সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।

২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ওএসডি হয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় গ্রুপের (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরীক্ষায় মোট ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ২৯ মার্চ ২০২৪ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোট একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন তারা।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬শ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইসি জানায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

ইসি আরও জানায়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছে ইসি। সে হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮/১৯ সদস্য এবং দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০/২১ সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দু থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের আগের দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবে।

ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জনের ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুহাজার ৬৪৮ ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশনও নিয়েছি।


আরও খবর