আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির দুর্নীতি আর গণমাধ্যম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে পোস্টটি দেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সম্প্রতি বিএনপির দুর্নীতিবাজ শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টিআইবির কর্মকর্তা। তার সূত্র ধরে সংবাদ প্রচার করেছে সময় টিভি। সেই সংবাদে প্রচার করা হয়েছে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আর বিএনপির ২৭ দফার প্রথম দিকেই বলেছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার কথা। এতেই চটেছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল। কারণ তাদের লন্ডনে পলাতক নেতার পক্ষে কথা না বলায় সময় টিভির রিপোর্ট শুদ্ধ হয়নি। এভাবেই দলের ভেতরে ও বাইরে বাকস্বাধীনতার চর্চা করে বিএনপি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেছেন, যেমন তারা (বিএনপি) করেছিল, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একাধিক পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।

প্রকৃতপক্ষে, বিএনপির গণতন্ত্র মানেই তারেক রহমান বা খালেদা জিয়ার শাসন ফেরত আনা। তাদের সেই হীন উদ্দেশ্য সফল করতে প্রধান বাধা আসলে গণমাধ্যম। কারণ, এই গণমাধ্যমেই বিএনপির দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের স্বরূপ উত্থাপিত হয়েছে বার বার।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা মূল্যে কোথাও নেই সয়াবিন তেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সরকার খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা ও বোতলজাত ১৬৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এই দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে ১৬০ এবং বোতলজাত তেল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার ও শুক্রাবাদ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে তেলের বাজারে দাম নিয়ে এমন হুলস্থুল কাণ্ডের কারণে অনেকে সাময়িকভাবে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা আসে। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান। ১ মার্চ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছিল।

দোকানিরা বলছেন, দাম কমানোর ঘোষণার পর পাইকারি বাজার থেকে পর্যাপ্ত তেল ছাড়ছে না। আর সরকার দাম কমানোর পর পাইকারি বাজার থেকে অর্ডারের তেল এখনও দোকানে আসেনি। অন্যদিকে সরকার কর্তৃক দাম কমানোর ৬ দিন পরও সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা।

তেলের দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান নূর আলম জেনারেল স্টোরের মালিক নূর আলম বলেন, কম দামের তেল আমরাই পাচ্ছি না। কম দামে বিক্রি করব কীভাবে।”

তিনি আরও বলেন, ডিলাররা এখনো পুরোনো দামেই সয়াবিন দিচ্ছে। দাম সামান্য করে কমাচ্ছে। তাতে আমরা আগের থেকে কিছুটা কম দামে ক্রেতাদের সয়াবিন দিতে পারছি।”

সরকার ঘোষণার আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি করতেন বলে জানান এই খুচরা বিক্রেতা।

শামীম নামের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে বাড়তি দামের মোড়ক লাগিয়ে রাখে। কিন্তু কমানোর সময় ধীরগতিতে কমায়। এবার নতুন দাম কার্যকরের ঘোষণা বেশ আগেভাগে দেওয়া হলেও মিল থেকে ডিলার হয়ে এখনো নতুন দামের পণ্য আসেনি। সে জন্য ভোক্তা পর্যায়ে এখনো ভোজ্যতেলের দাম কমানোর সুবিধা পুরোটা মিলছে না।”

অন্যদিকে তেলের বাজারের এই পরিস্থিতির কারণে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে কারওয়ান বাজারের জনতা স্টোরে। দোকানের মালিক সিকান্দার বলেন, সরকার যে ঘোষণা দেয়, যে দাম ঠিক করে দেয়, কোম্পানি সেই দামে মাল ছাড়ে না। ছাড়লেও যে দামে দেয় তাতে মালা বিক্রি করে আরও লস হয়। আবার বেশি মাল রাখলে হুট করে সরকার দাম কমিয়ে দেয়। এতে আমাদের লসে পড়তে হয়। এ কারণে বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছি।”

কারওয়ান বাজারে তেল কিনতে আসা রাইসুল অরণ্য বলেন, সরকার থেকে দাম কমানোর পরও বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা বলছেন, নতুন তেল আসেনি তাই তারা দাম বেশি রাখছেন। কিন্তু দাম বাড়ালে তখন তো নতুনের জন্য অপেক্ষা করে না। দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা সেটি বাস্তবায়ন করে ফেলেন।”

এ বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।

আব্দুল গফুর নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকার বা কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো কর্তৃত্ব নেই। সরকারের বাজার মনিটরিং বা ভোক্তা অধিদপ্তর ঠিক মতো মনিটরিং করে কিনা সেটাও বড় একটা প্রশ্ন। সরকার দাম বাড়ানোর পরই যদি বাজারে দাম বাড়তে পারে তাহলে দাম কমানোর পর যদি দাম না কমে তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন চলে আসে, দাম কমাতে সরকারের স্বদিচ্ছা আছে কিনা। যদি সে ইচ্ছা থাকতো তাহলে বাজার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”

মঙ্গলবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে ১৬৩ টাকায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ১৪৯ টাকায় খোলা তেল পাওয়া না গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে কোনো বাজারে গিয়ে যদি দেখেন ১৬৩ টাকা মূল্যের তেল নেই, তাহলে আমাদের জানাবেন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ তারিখ থেকে সব করাখানা থেকে ১৬৩ টাকা দরে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বাজারজাত করা হচ্ছে, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।”


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভারত মহাসাগরে জিম্মি জাহাজে ২৫ দিনের খাবার আছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ২৫ দিনের মতো খাবার রয়েছে। এ ছাড়া জাহাজটিতে বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন।

জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। জাহাজটি জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার এক বার্তায় জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের কাছে তিনি এ গোপন অডিও পাঠান।

আতিকউল্লাহ খান অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের জাহাজে ২০২৫ দিনের রসদ (খাবার) আছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি আছে। আর জাহাজে রয়েছে ৫৫ হাজার টন কয়লা। রসদ যাতে দ্রুত ফুরিয়ে না যায়, সে জন্য অপ্রয়োজনে ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রথমে নাবিকদের সুরক্ষার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি। তারা সুস্থ আছে। জাহাজে নাবিকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

জাহাজে নাবিকদের খাবার ফুরিয়ে গেলে কীভাবে সামাল দেওয়া হয়, জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর এখন রেশনিং করে চলতে হবে। ২০০ টন পানি দিয়ে সাধারণত এক মাস চলা যায়। রেশনিং করলে আরও বেশি দিন যাবে। একইভাবে ২৫ দিনের খাবার রেশনিং করে আরও কিছুদিন চালিয়ে নেওয়া যাবে। তবে জ্বালানি নিয়ে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, যত দ্রুত জাহাজ ও নাবিকদের ছাড়িয়ে আনা যাবে, তাহলে খাবারজ্বালানি নিয়ে সমস্যা হবে না। আবার জলদস্যুরা উপকূলের কাছাকাছি নেওয়ার পর প্রয়োজনে খাবারপানির ব্যবস্থা করে।

এর আগে ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে।


আরও খবর



চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। এই চুক্তিকে মালদ্বীপের ভারতীয় বলয় থেকে বেরিয়ে আসার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সেনাদের দ্বীপপুঞ্জটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির সঙ্গে মালের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

মালদ্বীপের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাদের দ্বীপরাষ্ট্রটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন তারা।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স প্ল্যাটফর্মে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও সামরিক সহায়তা পেতে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর ‍করেছে মালদ্বীপ।

জানা গেছে, ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও চীনের একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক ছিল মালদ্বীপের।

কিন্তু গত বছরের নির্বাচনে ইন্ডিয়া আউট স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসেন চীনপন্থী রাজনীতিক মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে।

ভারত মহাসাগরের পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে ভারত।ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের সেনাদলকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে। কারণ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মালদ্বীপকে তার সামুদ্রিক সীমা পর্যবেক্ষণে ভারত তিনটি অনুসন্ধান বিমান দিয়েছিল। সেগুলো পরিচালনায় সাহায্য করতে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে ভারত। আর সেসব সেনাকে আগামী ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিমানগুলো পরিচালনায় সামরিক কর্মীদের পরিবর্তে বেসামরিক কর্মীদের কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশা করছে ভারত। গত সপ্তাহে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, মালদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরের ভারতীয় লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের মিনিকয় থেকে অপারেশনাল নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

গত মাসে চীনের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ৩-কে মালদ্বীপে নোঙরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারিতে বেইজিং সফরের গিয়ে চীনের সঙ্গে অবকাঠামো, জ্বালানি ও কৃষি সম্পর্কিত কয়েকটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাসহ ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারত।


আরও খবর



‘জিম্মি জাহাজ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর দাবি ভিত্তিহীন’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে যে অসত্য খবর প্রচার করা হচ্ছে, তাতে জিম্মি ২৩ নাবিকের জীবন আরও শঙ্কায় পড়ছে বলে মনে করছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।

প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আটক জাহাজ মুক্ত করতে নানাভাবে চেষ্টা চলছে। তবে নানা জটিলতায় এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এমভি আব্দুল্লাহকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় মুক্ত করা গেছে বলে প্রকাশিত সংবাদটি গুজব।

এদিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে এম ভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে বলে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই খবর ভিত্তিহীন।

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নির্ভরশীল একটি সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাতে নাবিকেরা জানিয়েছেন, মিডিয়ায় জিম্মি জাহাজ মুক্তির খবর দেখে তাঁরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

নাবিকেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সোমালিয়ার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ইউরোপ আর ভারতীয় দুই যুদ্ধজাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের থামতে বলে। ওদের ডেকে আনা হয়েছে এমন ধারণা থেকে জলদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ব্রিজে জড়ো করে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখে বেশ কিছু সময়। এ সময় জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেনকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে দূরে সরে যাওয়ার বেতার বার্তা পাঠাতে বাধ্য করে। ফলে নৌবাহিনীর জাহাজ দুটোও পিছু হটে। এরপরই এমভি আবদুল্লাহকে আরও উত্তরদিকে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। যাচাইবাছাই ছাড়া কোনো ধরনের খবর প্রকাশ না করার জন্য নাবিকদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জনানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও জিম্মি হওয়া জাহাজ নিয়ে সতর্ক হয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশে নাবিকদের স্বজনদের আহাজারি ও সরকারের এ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ ও তৎপরতা প্রতিনিয়ত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখছে জলদস্যুরা। এতে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রভাব পড়তে পারে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।

জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তাঁরা।


আরও খবর



‘আমার মন্ত্রী-সচিব আছে, জেলা এক্সেন গোনা লাগে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

রাস্তার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন—‘আমার মন্ত্রী, সচিব আছে। জেলা এক্সেন (জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী) আমার গোনা লাগে না। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার খেজুরতলা এলাকায় এলজিইডির একটি রাস্তার কার্পেটিংয়ের চলমান কাজের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে এমন কাণ্ড করে বসেন ওই উপজেলা প্রকৌশলী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কনেশ্বর ইউনিয়নের খেজুরতলা এলাকায় একটি পিচঢালাই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিলো। চলমান কাজে নিম্নমানের ও পুরোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে যান দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, বাংলা টিভির নয়ন দাস ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের বিটুমিন মেশানোর জায়গায় পুরোনো সেতুর ভাঙা পাথর দেখতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এমন সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যাই। আমরা সেখানে বেশকিছু পুরোনো পাথর ভাঙা দেখতে পেলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি। এরপরই তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন এবং একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন।

দৈনিক ডেইলি স্টারের জাহিদ হাসান রনি বলেন, পুরোনো কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ মিলিয়ে তারা নতুন রাস্তা করছিলেন। আমরা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল আমাদের গেট লস্ট বলেন। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তিনি আমাদের পড়াশোনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং বলেন গেট লস্ট

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল বলেন, তারা (সাংবাদিকরা) পুরোনো মালামাল আর নতুন মালামাল মিলিয়ে ভিডিও করছিল। তারা কেন এটা করবে? তাদের আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। তারাই আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাফেউল ইসলাম বলেন, কার্পেটিংয়ে পুরোনো মালামাল নতুন করে বিটুমিনে মেলানোর সুযোগ নেই। রাস্তার পুরোনো কার্পেটিং ওঠানোর পর রোলার দিয়ে তা রাস্তাতেই মিলিয়ে ফেলতে হবে। এটা পাশেও রাখা যাবে না।

গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে (উপজেলা প্রকৌশলী) কথা বলবো। তিনি যদি দোষী হয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তিনি কেন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করেছেন, তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


আরও খবর