আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। তাদের আন্দোলন তর্জন-গর্জনেই সার। ফলে বিএনপির আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে না। তিনি বলেন, সংবিধানের মধ্য থেকেই সমাধান বের করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করে নতুন কিছু করার মতো এত বিপদে আওয়ামী লীগ পড়ে যায়নি। আজ সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির কর্মসূচির দিনে আওয়ামী লীগের পাল্টা শান্তি সমাবেশকে একাত্তরের শান্তিবাহিনীর নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করেছে। ফলে আমরা জনগণের জানমাল রক্ষায় শান্তিসমাবেশ করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে রাজপথে আমাদের দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি। আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভাও করতে পারিনি। বিএনপি নেতারা সব ধরনের প্রোগ্রাম করছে। ফ্রি স্টাইলে আমাদের বিরুদ্ধে ও সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছে।

দেশের রাজনৈতিক আকাশের মেঘ কেটে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের মধ্য থেকেই সমাধান বের করতে হবে। বিএনপির উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হঠানো। তারা শেখ হাসিনাকে হঠিয়ে অস্বাভাবিক কিছু একটা করতে চায়।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ডিজির অনুপস্থিতিতে এডিজি সাত দিনে হাতিয়ে নিলেন সাড়ে ৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অসুস্থতার কারণে গত বছরের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। সেই ৯ দিন অধিদপ্তরের শীর্ষপদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। এর মধ্যে অবশ্য দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করেন সাত দিন। আর এটুকু সময়েই আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বকালে এক দিনেই ছাড় করেন মাল্টিপল পাসপোর্টের ৫০০ ফাইল। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রতিটি ফাইল অনুমোদনের জন্য নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। সব মিলিয়ে এই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) সরাসরি কর্মকর্তা সেলিনা বানু পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা এডিজির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসন বিভাগের এডিজির পদটি শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই বিভাগের এডিজির দায়িত্বও পালন করছেন। পুরো অধিদপ্তরে তার ওপরে শুধু প্রেষণে আসা মহাপরিচালক রয়েছেন। অধিদপ্তরে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তার কথাতেই চলে সবকিছু। অনিয়ম-দুর্নীতিতে এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের নির্দেশনাও অমান্য করে নিজের মতো ডিআইপির কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পেয়েই দীর্ঘদিন আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের ফাইলগুলো ছাড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। অধিদপ্তরে তার সিন্ডিকেটে থাকা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ফাইলগুলো অনুমোদন দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করতে পাঠানো হয়। প্রতি পাসপোর্ট থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়ে তা সিন্ডিকেটে ভাগবাটোয়ারা হয়। কথিত আছে, ওই সময়ে পাসপোর্ট ভবনের তলায় তলায় কোরবানি ঈদ’ চলেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত হলেও বিষয়টি রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন।

এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্টকে মাল্টিপল পাসপোর্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকেই বিদ্যমান পাসপোর্টের তথ্য গোপন রেখে নতুন করে পাসপোর্টের আবেদন করেন। তবে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মেলানোর সময় তা আটকে যায়। আবার অনেকে প্রকাশ্যেই তথ্য পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন। তখন কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের অন্তত ১২ হাজার আবেদন তদন্তের জন্য জমা পড়ে আছে। এসব আবেদন যাচাই করে পুলিশের বিশেষ শাখার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে আবেদনকারীর বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও রয়েছে; কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এডিজি সেলিনা বানু অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিপত্র জারি করে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এরপর নিজের ক্ষমতাবলে টাকার বিনিময়ে পছন্দমতো ফাইল ছাড় করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের হাজার হাজার ফাইলের মধ্যে ৫০০ ফাইল অনুমোদন দেওয়া নিয়ে খোদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেলিনা বানু প্রভাবশালী কর্মকর্তা হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। অধিদপ্তরের সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই তার রোষানলে পড়তে হয়। পরে টার্গেট করে কর্মকর্তাদের বদলি বা ন্যূনতম কারণেও বিভাগীয় মামলা ও বদলির মতো হয়রানিতে পড়তে হয়।

অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সেলিনা বানু পাসপোর্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। বদলিজনিত চাকরি হলেও তিনি ঢাকার বাইরে খুব বেশি দায়িত্ব পালন করেননি। এ সুযোগে তিনি একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাছাড়া দেশের প্রায় প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে তার নিজস্ব বলয়ের কর্মকর্তা বা কর্মচারী রয়েছেন। বিদেশি মিশনগুলোর কয়েকটিতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরেও কর্মী রয়েছে। সেলিনা বানু অধিদপ্তরের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ায় সবাই তাকে অতি সমীহ’ করে চলেন। বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিস থেকে তার অনুগতরা মাল্টিপল আবেদনগুলো বাছাই করে দিয়েছেন। সেগুলোই মূলত তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে ছাড় করিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ওই সূত্রটি জানায়, প্রতিটি মাল্টিপল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সেলিনা বানু ও অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট নিয়েছে দেড় লাখ টাকা করে। তবে দালাল চক্র ও অন্যান্য জেলা অফিসে তার অনুগত কর্মীরা আবেদনকারীদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা করে নেন। বছরজুড়েই সেলিনা বানু টাকার বিনিময়ে এ ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকেন। তবে ডিজির অনুপস্থিতিতে একসঙ্গে ৫০০ আবেদন অনুমোদন করায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাল্টিপল আবেদনের সবকিছু ঠিক থাকলেও একজন আবেদনকারী টাকা না দেওয়ায় পাসপোর্ট পাননি। এরপর ওই আবেদনকারী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে গত ২৫ জানুয়ারি দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সূত্র জানায়, শুধু মাল্টিপল পাসপোর্টই নয়, সেলিনা বানু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারীদের নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) সিল দেওয়ার জন্যও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ কাজের জন্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাদিরা আক্তারকে ভিসা শাখার দায়িত্বে রেখেছেন। এই কর্মকর্তা সেলিনা বানুর অনুগত হওয়ায় তাকে পার্সোনালাইজেশন সেন্টার থেকে ভিসা শাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংযুক্ত করে রেখেছেন। প্রতিটি পাসপোর্টের এনভিআর দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা করে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো বিদেশি পাসপোর্টধারী দেশে এসে নো ভিসা রিকোয়ার্ডের আবেদন করলে তার আর বাংলাদেশে আসতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না।

ওই সূত্রটি জানায়, এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে দেশে বসবাসকারী বিদেশিদেরও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টাকার বিনিময়ে ভিসা এক্সটেনশন বা মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে আফ্রিকার নাগরিকরা টাকার বিনিময়ে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেশে মাদক কারবারসহ না অনিয়ম করছে।

মাল্টিপল পাসপোর্ট ইস্যু করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে এডিজি সেলিনা বানুর দপ্তরে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়; কিন্তু তিনি সময় দেননি। পরে তাকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অভিযোগের বিষয়ে টেলিফোনে তার বক্তব্য চাওয়া হয়। তবে তিনি গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানানো হলে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও আমি তো বক্তব্য দিতে পারব না, আমি তো পত্রিকায় বক্তব্য দিতে পারি না।’

বেনামি চিঠিতে গুরুতর তথ্য সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে:

এদিকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ তুলেছেন, সেলিনা বানুর অপকর্ম নিয়ে কথা বললেই তাদের ওপর খড়্গ নেমে আসে। এ জন্য মুখ না খুলে আতঙ্কিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্প্রতি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও দেশের প্রায় সব পাসপোর্ট অফিসে বেনামি চিঠি দিয়ে এই কর্মকর্তার দৌরাত্ম্য থেকে নিস্তার চেয়েছেন। এসব চিঠিতে সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সেলিনা বানু পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ৩০ বছর ধরে চাকরি করলেও তিনি ৬৪ জেলার কোথাও বদলি হননি। একবার অনিয়মের কারণে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও বেশি দিন থাকতে হয়নি। তার স্বামী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ কে এম মাসুদুল হক রিজভী জামায়াতের পদধারী। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কামারুজ্জামান তাদের স্বজন। শুধু তাই নয়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন এই দম্পতি।

চিঠিতে বলা হয়, এডিজি সেলিনা বানুর বাড়ি জামালপুরে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরে রেলে নাশকতার ঘটনায় তার স্বজনরাও জড়িত।

ওই চিঠির সূত্র ধরে সেলিনা বানুর গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পরিবারের কেউ সরকার সমর্থক নয়। তার স্বামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার পরিচিত কয়েক শিক্ষক এবং সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের একাধিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক মাসুদুর রহমান কখনো স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলয়ে ছিলেন না। তবে প্রকাশ্যে তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায় না।

সেলিনা বানু আতঙ্কে পুরো পাসপোর্ট অধিদপ্তর:

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত দুই বছরে এডিজি সেলিনা বানু আইফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে কর্মকর্তাদের কয়েকটি প্রাইজ পোস্টিং দেন। তার আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে না পারলে দেশের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে বদলি হতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। দেওয়া হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদ। কয়েক বছর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে তার ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়েছে ময়মনসিংহসহ ওই এলাকার বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। বিভিন্ন সময়েই কর্মকর্তাদের উপঢৌকন দিতে হয়। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তার অনুগত করতে সামান্য ভুলেও বিভাগীয় মামলা, নানা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার ভয় দেখানোসহ নানাভাবে হুমকি দেন। উড়ো চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব অনিয়ম থেকে রক্ষা পেতে আবেদন জানিয়েছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সেলিনা বানুর নানা অনিয়ম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে। তবে কেউ গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। সবাই নাম প্রকাশ না করে তার অপকর্ম তুলে ধরেন।

সরকার সমর্থক না হয়েও সেলিনা বানু এত প্রভাবশালী কীভাবে? সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা সব সময়েই কৌশলে চলেন। যখন যে মহাপরিচালক দায়িত্বে আসেন, তিনি কৌশলে তার লোক হয়ে যান। নিজেকে সৎ কর্মকর্তা হিসেবে প্রচার চালায় তার অধিনস্তরা। তা ছাড়া মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগেও কিছু কর্মকর্তাকে নানাভাবে ম্যানেজ করে তিনি পুরো অধিদপ্তরই নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা অনিয়ম করে চলেছেন।


আরও খবর



হিথরো বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী ২ উড়োজাহাজের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় হিথরো বিমানবন্দরে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উড়োজাহাজ দুটির পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অল্পের জন্য বেঁচে যান অন্তত ১২১ যাত্রী। রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকের বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাছে রানওয়েতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের উড়োজাহাজ ও ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইনসের  উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে  ১২১ যাত্রী থাকলেও ভার্জিন এয়ারলাইনসে কোন যাত্রী ছিল না। 

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বলেছে, আমাদের উড়োজাহাজের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। যাত্রীদের যেন অসুবিধা না হয়, তাই আমরা আরেকটি বিকল্প ফ্লাইট দিয়েছি।

অন্যদিকে, ভার্জিন আটলান্টিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দল উড়োজাহাজের মেইনটেন্যান্স পরীক্ষা করে দেখছে।

হিথরো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, কোনো যাত্রী আহত হননি। তবে এ ঘটনায় বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা বিঘ্ন ঘটতে পারে। জরুরি সেবা বিভাগসহ অন্য অংশীজনেরা এ নিয়ে কাজ করছে।


আরও খবর



দুইশোর আগেই গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম টেস্টে তৃতীয় দিনে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে ধস নামে টাইগার ব্যাটিং লাইনে। ৭৩ রান যোগ করতেই আরও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে ৩৫৩ রানের বিশাল লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা।  

তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল ওপেনার জাকির হাসান। প্রথম ঘন্টায় মাত্র ৩০ রান তুললেও হারাননি কোনো উইকেট। জাকিরের হাফ সেঞ্চুরির পরই টাইগার শিবিরে আঘাত হানে বিশ্ব ফার্নান্ডো। তার ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্স করতে ব্যর্থ হন জাকির। উপড়ে যায় তার লেগ স্টাম্প। এর আগে তিনি করেন ৫৪ রান।

এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। প্রবাত জয়াসুরিয়া ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন স্টাম্পের ওপর। ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে দিমুত করুনারত্নের হাতে ক্যাচ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আগে তিনি করেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোর শিকার হন গতকাল নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল।

বাংলাদেশের নাইটওয়াচম্যানও হয়েছেন জাকিরের মতো বোল্ড। আবার ভেতরের দিকে ঢোকা বল ছিল, সেটি ভেদ করে তাইজুলের রক্ষণ। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরেই ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন সাকিব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। সিলেটের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।

এরপর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি শাহদাত হোসেন দিপু। দলীয় ১৫৫ রানে ৩৬ বলে ৮ রান করে ফিরে যান তিনি। দিপুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মুমিনুল হক।

তবে একবার জীবন পেয়েও ব্যর্থ হন মিরাজ। ৩১ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল। তবে দলীয় ১৭৫ রানে ৮৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

শেষ ব্যাটার হিসেবে খালেদ আহমেদ আউট হলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন ৪টি উইকেট।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে অগ্রণী ব্যাংকের নতুন ডিএমডিদের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আবুল বাশার ও শামিম উদ্দিন আহমেদ।

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁরা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের উধ্বর্তন নির্বাহীগন ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের উপ মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান এস এম ইস্রাফিল হোসাইন এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতা সহ ১৫ আগস্টে নিহত মহান শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শোক বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকবার্তা লেখা হয়।

নিউজ ট্যাগ: গোপালগঞ্জ

আরও খবর



ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার জোরালো ভূমিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের ঘাটতি যেন না থাকে, তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার স্যালাইনের কোনো অভাব হবে না। পাশাপাশি কেউ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জনবল সংকটে ভুগছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। এতে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের চাপ কমবে।


আরও খবর