আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০২ জানুয়ারী 2০২1 | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপির আন্দোলনের ডাক শুনে জনগণ হাসে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ১২ বছর পার হয়ে গেলেও বিএনপি কোন বছরে আন্দোলন করবে দলটির কাছে সে প্রশ্নও রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

নতুন বছরে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না।

বিএনপি নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই।

বিএনপির আন্দোলনের ডাক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর।

নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে।

সারাদেশে যেসকল জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিতর্কিতরা যাতে দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।

বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও কারও দালালদের সঙ্গে যোগসাজস আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সড়কে তিন চাকার মোটরযান বন্ধ এবং মোটরযান নির্মাণের কারখানাগুলোও বন্ধ করার নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের মালিক-শ্রমিকদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, গাড়িগুলোতে যত আসন তত সিট অবশ্যই মানতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

রাজধানীর বনানী'র বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ'র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


আরও খবর



বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে: আইএমএফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত বছর বৈশ্বিক ঋণের ভান্ডারে আরও ১৫ ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি যোগ হয়েছে। এর ফলে মোট বৈশ্বিক ঋণ ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইএমএফের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ অনেক দেশেই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেভাবে সরকারের ঋণ বাড়ছে, তার প্রভাব মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার চার বছর পর এখন উন্নত দেশগুলোতে সরকারি ব্যয় প্রাক্ মহামারি পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপির ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। সরকারি ঋণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মহামারি শুরুর চার বছর পর এই দুই দেশে সরকারি ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের গতি কমে যায়। ফলে যেসব দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে গেলে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা পড়ে।

২০২৪ সাল জুড়ে বিশ্বের অনেক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসংখ্যার হিসাবে এসব দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। ইতিহাসে দেখা যায়, নির্বাচনের বছরে সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করহার কমে যায়। নির্বাচনের বছরে দেশে দেশে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে যায়। এবারের নির্বাচনি বছরে এই ঘাটতি যেন লাগামছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। উদীয়মান দেশগুলোতে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ।


আরও খবর



‘হিটস্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকে। তিনজনই পুরুষ।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও পাঁচজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

তারা জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০১ মে) সকালে ই-মেইলে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্কুলগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কয়েকটি স্কুল চত্বর খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড এবং দমকল বাহিনী। পুরো ঘটনায় তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সকালের দিকে দ্বারকার স্কুল, চাণক্য়পুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুলে মেইল আসে। এরপর থেকে প্রায় ১০০টি স্কুলেই একই উড়ো ই-মেইল আসে।

স্কুলগুলোকে তল্লাশি চালাতে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড। পরে দমকল বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্কুলেই বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’

পুলিশের মতে, হুমকিমূলক ই-মেলের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কে এবং কোথায় থেকে ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

এখানে ছায়াহীন রৌদ্র

শূন্যতার পরে শূন্যতার অনুবৃত্তি

অবাধ্য ভালবাসা নিয়ে বুকে

আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে।

আসবে তুমি? কোন এক সকালে

শিশিরের বুকে পা ফেলে

হাঁটবো দুজন পাশাপাশি।

আমাদের অভিবাদন জানাবে

একজোড়া শালিক পাখি।

অসুখে পরেছি

এমন অসুখ সচারাচর নয়

ক্ষুদ্র হৃদয়ের সমস্ত গর্ব বিসর্জন দিয়ে

আত্মসমর্পণ করছি।

ফিরে আসো

আকণ্ঠ মরেছি তোমার ভালোবাসায়।


আরও খবর



অস্ত্র মামলায় যুবকের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জুয়েল চন্দ্র ওরফে জুয়েল রানা (২৭) নামে এক যুবকের ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (১২ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন ।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন চরবাটা গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে। আদালতের রায়ের সময় আসামী অনুপস্থিত ছিলেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অস্ত্র মামলায় আসামী জুয়েল রানা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

আদালত তাকে অস্ত্র আইনের ১৯ ধারায় ১০ বছর ও ১৯ এফ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত মো. সুজন (৩৩) নামে অপর আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। সুজন রামগতির চরগাজী গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। মো. জুয়েল নামে এ মামলার আরেক আসামী কিশোর হওয়ায় তার মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হয়।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির হাজিরহাট বাজার থেকে পুলিশ একটি একনলা দেশীয় বন্দুক ও নয়টি কার্তুজসহ জুয়েল রানা ও জুয়েলকে আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, অস্ত্রটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য মো. সুজন নামে এক ব্যক্তি জুয়েলের কাছ থেকে অস্ত্র ভাড়া করেন। পরে নির্বাচন শেষে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটক করে।

এ ঘটনায় রামগতি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বাদী হয়ে আটক দুজনসহ পলাতক সুজনকে আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। একই বছরের ১১ এপ্রিল থানার এসআই মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত জুয়েল ও সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন। অন্য আসামী জুয়েল কিশোর হওয়ার বিচারের জন্য পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন কিশোর আদালতে দাখিল করা হয়। 


আরও খবর